ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেলকুচি থানায় ঢুকে দুই প্রার্থীর বাকবিতণ্ডা

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ঢুকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুআ চেয়ারম্যান প্রার্থী বাকবিতণ্ডে জরালেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতের এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই রাতেই একটি অভিযোগ করেন এক প্রার্থী। এই অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আমিনুল ইসলামের কর্মী আবু তালেবকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনায় প্রার্থী বদিউজ্জামান অভিযোগ দিলেও আরেক প্রার্থীর আমিনুল ইসলাম এখনো কোন অভিযোগ দেননি।

প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির বলেন, আমি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি জেলার এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছি। ঘটনার দিন রাতে আমি দেলুয়া হয়ে চালা সাত রাস্তা মোড় পার হওয়ার সময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালায়। আমি বিষয়টি জানাতে থানায় আসলে আমিনুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা থানাতেই এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়র আমিনুল ইসলাম। আমিনুল ইসলাম বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বলেন, আমি ঐ রাতে চালা সাত রাস্তা মোড়ে কর্মী সমর্থদের সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলতে ছিলাম ঠিক সেই সময় বদিউজ্জামান তার প্রচারনার বিধি অমান্য করে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে আমার সমনে এসে আমার কর্মী আবু তালেবকে বকাবকি করে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে। আমি তাদের সরিয়ে দেই। তিনি এমন ঘটনার পর থানায় এসে আমাদের নামে অভিযোগ করছে শুনে আমি থানায় যাই। তাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি থানার ভিতরেই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন আমিও তার সাথে বাকবিদন্ডে জরাই। তখন পুলিশ উভয়কে থানা থেকে সরিয়ে দেয়।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ঐ দিন আমার মামা মারা গিয়েছিলো। আমি থানায় ছিলামনা। আমি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলান বলেন, আমি এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলকুচি থানায় ঢুকে দুই প্রার্থীর বাকবিতণ্ডা

আপডেট সময় : ১২:০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ঢুকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুআ চেয়ারম্যান প্রার্থী বাকবিতণ্ডে জরালেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতের এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই রাতেই একটি অভিযোগ করেন এক প্রার্থী। এই অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আমিনুল ইসলামের কর্মী আবু তালেবকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনায় প্রার্থী বদিউজ্জামান অভিযোগ দিলেও আরেক প্রার্থীর আমিনুল ইসলাম এখনো কোন অভিযোগ দেননি।

প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির বলেন, আমি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি জেলার এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছি। ঘটনার দিন রাতে আমি দেলুয়া হয়ে চালা সাত রাস্তা মোড় পার হওয়ার সময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালায়। আমি বিষয়টি জানাতে থানায় আসলে আমিনুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা থানাতেই এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়র আমিনুল ইসলাম। আমিনুল ইসলাম বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বলেন, আমি ঐ রাতে চালা সাত রাস্তা মোড়ে কর্মী সমর্থদের সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলতে ছিলাম ঠিক সেই সময় বদিউজ্জামান তার প্রচারনার বিধি অমান্য করে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে আমার সমনে এসে আমার কর্মী আবু তালেবকে বকাবকি করে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে। আমি তাদের সরিয়ে দেই। তিনি এমন ঘটনার পর থানায় এসে আমাদের নামে অভিযোগ করছে শুনে আমি থানায় যাই। তাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি থানার ভিতরেই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন আমিও তার সাথে বাকবিদন্ডে জরাই। তখন পুলিশ উভয়কে থানা থেকে সরিয়ে দেয়।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ঐ দিন আমার মামা মারা গিয়েছিলো। আমি থানায় ছিলামনা। আমি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলান বলেন, আমি এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাখ//আর