ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গজারিয়ায় সড়কে ঝরলো একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে যায়। এতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন-চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭), তার মামী রাহেলা বেগম (৫৫)।

আহতরা হলেন-আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরে শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এসময় তার মামী রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে রাত দুইটার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এসময়ে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনস্থলেই মারা যায় তিনজন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, আমরা দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমাদের হাসপাতালে ৫জন রোগী নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তিন জনকে মৃত ঘোষণা করি। আহত নজরুল ও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক না হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নিহতদের লাশ বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটিকে শনাক্তেদের চেষ্টা চালাচ্ছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গজারিয়ায় সড়কে ঝরলো একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণ

আপডেট সময় : ০২:১১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে যায়। এতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন-চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭), তার মামী রাহেলা বেগম (৫৫)।

আহতরা হলেন-আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরে শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এসময় তার মামী রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে রাত দুইটার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এসময়ে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনস্থলেই মারা যায় তিনজন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, আমরা দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমাদের হাসপাতালে ৫জন রোগী নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তিন জনকে মৃত ঘোষণা করি। আহত নজরুল ও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক না হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নিহতদের লাশ বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটিকে শনাক্তেদের চেষ্টা চালাচ্ছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।