ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৫৪টা ঘোড়ার ডিম পারবে ৫৪টি বিরোধী দল : ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের অবস্থান কর্মসূচির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  তিনি বলেন, ৫৪টি দল আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবস্থানে কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টা ঘোড়ার ডিম পারবে ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছে, তারা নাকি দেশ মেরামত করবে। দেশ মরামত তো করেন শেখ হাসিনা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বাঁচবে না, গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ করবে। তাদের হাতে আমরা দেশকে ছেড়ে দিতে পারি না।

কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করে যারা দায় মুক্তি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

বিএনপির আন্দোলন ভুয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের খবর জানেন, পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২ দলীয় জোট দেখলাম বিজয় নগরে সমাবেশ করছে, সব মিলিয়ে ২৪ দল। ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে বসে আছে, মঞ্চে ২০ জন সামনে সাংবাদিকসহ আরও ১৫ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন দল উপস্থিত ছিল চার দল নেই। সাত দলীয় ঐক্যজোট তারপর সমমনা ১২ দল, বিএনপির সমমনাদের দেখলাম।  তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চও সেটা শ্রোতাও সেখানেই, সবাই ফুটপাতকেন্দ্রিক। তারপরে এলডিপির দেখলাম সেই একই দৃশ্যপট, কয়েকজন হাতেগোনা বসে আছে। ৫৪ দল আজকে একজন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে, ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। ভুয়া…ভুয়া… ভুয়া… এটা গরুর হাট।

বিএনপিকে বাংলার মাটিতে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যেতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? রাষ্ট্রকে আবার ক্ষমতায় পেলে তারা ধ্বংস করবে। এই দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না, তারা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার আদর্শ বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক।

তিনি বলেন, বিএনপি নামক এই অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে… এদের হাতে ক্ষমতা আমরা তুলে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কী দেখাবেন আপনারা? মুখে মিথ্যাচার আর বিশোধগার। আপনাদের নেই মেট্রোরেল, নেই পদ্মা সেতু, নেই বঙ্গবন্ধু টানেল, নেই উড়াল সেতু, নেই আন্ডার পাস, নেই এক দিনে শত সেতু, কে করেছে? শেখ হাসিনা।

এ সময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করছে। আমি কোনো কোনো অনলাইনে দেখলাম যে লেখা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কেন? ১০ জানুয়ারি তো বিএনপির হৃদয়েও নেই চেতনাতেও নেই। গতকাল আমাদের কেন্দ্র  সমাবেশ করেছে, আজকে মহানগর এবং অন্যান্য সংগঠন করছে। এটা আমাদের কর্মসূচি, এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই। কার সঙ্গে পাল্টাপাল্টি করবো। কিসের পাল্টাপাল্টি করবো। ১০ জানুয়ারি তো এমনও কথা ছিল তারেক রহমান এসে নেতৃত্ব দেবে। ১০ ডিসেম্বর এমনও কথা ছিল খালেদা জিয়া জেল থেকে এসে বিজয় মিছিলের নেতৃত্ব দেবে, সরকারের পতন অনিবার্য। কী হলো? ১০ ডিসেম্বর ভুয়া, ৩০ ডিসেম্বর ভুয়া।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভার মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীদের অনেকটা ধমকের সুরে নেমে যেতে বলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাকে আদেশ দিচ্ছে কে? গেট আউট, তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? কারো চেহারা দেখাতে হবে না। নো বডি। একপর্যায়ে ডায়াস থেকে সরে গিয়ে অনেককে নামিয়ে দেন তিনি। পরে আবার বক্তব্য শুরু করেন।

ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম।

এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেসবাহুল হক সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকীও বক্তব্য রাখেন। এতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৫৪টা ঘোড়ার ডিম পারবে ৫৪টি বিরোধী দল : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের অবস্থান কর্মসূচির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  তিনি বলেন, ৫৪টি দল আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবস্থানে কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টা ঘোড়ার ডিম পারবে ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছে, তারা নাকি দেশ মেরামত করবে। দেশ মরামত তো করেন শেখ হাসিনা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বাঁচবে না, গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ করবে। তাদের হাতে আমরা দেশকে ছেড়ে দিতে পারি না।

কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করে যারা দায় মুক্তি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

বিএনপির আন্দোলন ভুয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের খবর জানেন, পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২ দলীয় জোট দেখলাম বিজয় নগরে সমাবেশ করছে, সব মিলিয়ে ২৪ দল। ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে বসে আছে, মঞ্চে ২০ জন সামনে সাংবাদিকসহ আরও ১৫ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন দল উপস্থিত ছিল চার দল নেই। সাত দলীয় ঐক্যজোট তারপর সমমনা ১২ দল, বিএনপির সমমনাদের দেখলাম।  তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চও সেটা শ্রোতাও সেখানেই, সবাই ফুটপাতকেন্দ্রিক। তারপরে এলডিপির দেখলাম সেই একই দৃশ্যপট, কয়েকজন হাতেগোনা বসে আছে। ৫৪ দল আজকে একজন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে, ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। ভুয়া…ভুয়া… ভুয়া… এটা গরুর হাট।

বিএনপিকে বাংলার মাটিতে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যেতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? রাষ্ট্রকে আবার ক্ষমতায় পেলে তারা ধ্বংস করবে। এই দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না, তারা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার আদর্শ বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক।

তিনি বলেন, বিএনপি নামক এই অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে… এদের হাতে ক্ষমতা আমরা তুলে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কী দেখাবেন আপনারা? মুখে মিথ্যাচার আর বিশোধগার। আপনাদের নেই মেট্রোরেল, নেই পদ্মা সেতু, নেই বঙ্গবন্ধু টানেল, নেই উড়াল সেতু, নেই আন্ডার পাস, নেই এক দিনে শত সেতু, কে করেছে? শেখ হাসিনা।

এ সময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করছে। আমি কোনো কোনো অনলাইনে দেখলাম যে লেখা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কেন? ১০ জানুয়ারি তো বিএনপির হৃদয়েও নেই চেতনাতেও নেই। গতকাল আমাদের কেন্দ্র  সমাবেশ করেছে, আজকে মহানগর এবং অন্যান্য সংগঠন করছে। এটা আমাদের কর্মসূচি, এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই। কার সঙ্গে পাল্টাপাল্টি করবো। কিসের পাল্টাপাল্টি করবো। ১০ জানুয়ারি তো এমনও কথা ছিল তারেক রহমান এসে নেতৃত্ব দেবে। ১০ ডিসেম্বর এমনও কথা ছিল খালেদা জিয়া জেল থেকে এসে বিজয় মিছিলের নেতৃত্ব দেবে, সরকারের পতন অনিবার্য। কী হলো? ১০ ডিসেম্বর ভুয়া, ৩০ ডিসেম্বর ভুয়া।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভার মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীদের অনেকটা ধমকের সুরে নেমে যেতে বলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাকে আদেশ দিচ্ছে কে? গেট আউট, তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? কারো চেহারা দেখাতে হবে না। নো বডি। একপর্যায়ে ডায়াস থেকে সরে গিয়ে অনেককে নামিয়ে দেন তিনি। পরে আবার বক্তব্য শুরু করেন।

ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম।

এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেসবাহুল হক সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকীও বক্তব্য রাখেন। এতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।