ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঢাকায় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে লিখিতভাবে অনুমতিও চেয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কার্যালয়ে গিয়ে নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করার অনুমতি চায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ডিএমপি কমিশনার বরাবর বিএনপির পক্ষ থেকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে লিখিত দরখাস্ত দেয়া হয়।

নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢাকার বাইরের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর আগে গণপরিবহন বন্ধ করাসহ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ধরপাকড় চালিয়েছে সরকারি দল। পথে পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্যসচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আমানউল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের দফতর থেকে চিঠি দিয়েছি। আমরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। এখানে আমরা আগেও সমাবেশ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশটি হবে শান্তিপূর্ণ।

তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন, আগের সমাবেশগুলোর আগে সব গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আমরা বলেছি, ঢাকায় সমাবেশের আগে এভাবে গণপরিবহন বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশে যারা আসবে তারা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো ধরনের আক্রমণ করা না হয়।

এ সময় তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন বলে জানান।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সমাবেশের জন্য বিকল্প কোনো ভেন্যুর প্রস্তাব আমাদের আছে কি না। আমরা বলেছি, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাব। তবে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করছে, বাধা সৃষ্টি করছে। তাই নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে সরকারি দল তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না।

জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সাম্প্রতিক সময়ে দলের একাধিক নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে সমাবেশ করেছে দলটি। আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে এবং ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

নিউজটি শেয়ার করুন

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঢাকায় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে লিখিতভাবে অনুমতিও চেয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কার্যালয়ে গিয়ে নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করার অনুমতি চায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ডিএমপি কমিশনার বরাবর বিএনপির পক্ষ থেকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে লিখিত দরখাস্ত দেয়া হয়।

নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢাকার বাইরের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর আগে গণপরিবহন বন্ধ করাসহ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ধরপাকড় চালিয়েছে সরকারি দল। পথে পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্যসচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আমানউল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের দফতর থেকে চিঠি দিয়েছি। আমরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। এখানে আমরা আগেও সমাবেশ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশটি হবে শান্তিপূর্ণ।

তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন, আগের সমাবেশগুলোর আগে সব গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আমরা বলেছি, ঢাকায় সমাবেশের আগে এভাবে গণপরিবহন বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছি। আমরা বলেছি, সমাবেশে যারা আসবে তারা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো ধরনের আক্রমণ করা না হয়।

এ সময় তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন বলে জানান।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সমাবেশের জন্য বিকল্প কোনো ভেন্যুর প্রস্তাব আমাদের আছে কি না। আমরা বলেছি, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাব। তবে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করছে, বাধা সৃষ্টি করছে। তাই নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে সরকারি দল তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না।

জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সাম্প্রতিক সময়ে দলের একাধিক নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে সমাবেশ করেছে দলটি। আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে এবং ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।