ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাসিনা-মমতার মধ্যে রয়েছে গভীর সুসম্পর্ক: দীপু মনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কলকাতা কখনোই আমাদের কাছে বিদেশ বলে মনে হয় না। ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমরা হয়তো দুই দেশের বাসিন্দা। কিন্তু ইতিহাস, ভাষা সংস্কৃতি সব দিক থেকেই আমাদের বন্ধন এত জোরাল যে এখানে আসতে পারলে ভালো লাগে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে মধ্য কলকাতার কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বইমেলা-২০২২ এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী নাট্যকার ব্রাত্য বসু। ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও দূতাবাসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং মেলার আয়োজকদের প্রতিনিধিরা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, তৃণমুল কংগ্রেস বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, উপ হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রকাশক ও কবি সুধাংশু শেখর দে, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, কলকাতা পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্ণা দত্ত প্রমুখ।

প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। অন্বেষা প্রকাশন, আহমেদ পাবলিশিং হাউস, মাওলা ব্রাদার্স, অনিন্দ্য প্রকাশ, নালন্দা, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সাহিত্য প্রকাশ, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, অন্য প্রকাশ, ইকরিমিকরি, সৃজনী, আগামী প্রকাশনী, সময় প্রকাশনসহ বাংলাদেশের ৬৮ টি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করছে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কলকাতায় বইমেলায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।

বইমেলার পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কলেজ স্ট্রিট হল কলকাতার বই পাড়া, চারিদিকে এত নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমন একটি জায়গায় এই বইমেলা সত্যিই খুব আনন্দের। কলেজ স্কোয়ারে হচ্ছে বই মেলার জন্য খুব ভালো জায়গা। যদিও যেকোন মেলা আনন্দের, বিশেষ করে বই মেলা। তাছাড়া বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী আর বোধ হয় কিছু হয় না।

তিনি বলেন আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে ভাতৃত্ব ও সৌহার্দের বন্ধন, তা আরো গভীর হবে। আমাদের এই বন্ধুত্বের বন্ধন জোড়ালো হয়েছিল ১৯৭১ সালে। আর আজ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছে। আমি আশা করব এই প্রচেষ্টা আরো সমৃদ্ধ জায়গায় নিয়ে যাবে।

মমতা ব্যানার্জি এবং শেখ হাসিনার মধ্যকার সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বই নিয়ে যাতে ওপার বাংলাতেও বইমেলা করা যায়, সে ব্যাপারে আশ্বাসও দিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী।

আরেক উদ্বোধক পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, দুই বাংলার মিলন স্থলে পরিণত হয়েছে। কাঁটাতার, ভিসা, পাসপোর্ট এই সব শব্দ পুঞ্জকে একটা জিনিসই অতিক্রম করতে পারে- সেটি হলো বই। বই আমাদের জুড়তে পারে।

যারা বইয়ের খোঁজে এসেছেন তাদের অভিনন্দন জানিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করেন ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তার কথায়, কলেজ স্ট্রিট হলো বইয়ের আঁতুড়ঘর। আমি এখান থেকে বহুবার বই কিনেছি। এটি কলকাতার বই পাড়া। এখানে বইমেলা হওয়াটা খুবই সৌভাগ্যের বিষয় বলেও তিনি মনে করেন বলে জানান।

কলকাতা বই মেলার আয়োজক গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে, তৃণমূল বিধায়ক দেবাশীষ কুমার এবং কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাসিনা-মমতার মধ্যে রয়েছে গভীর সুসম্পর্ক: দীপু মনি

আপডেট সময় : ১০:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কলকাতা কখনোই আমাদের কাছে বিদেশ বলে মনে হয় না। ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমরা হয়তো দুই দেশের বাসিন্দা। কিন্তু ইতিহাস, ভাষা সংস্কৃতি সব দিক থেকেই আমাদের বন্ধন এত জোরাল যে এখানে আসতে পারলে ভালো লাগে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে মধ্য কলকাতার কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বইমেলা-২০২২ এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী নাট্যকার ব্রাত্য বসু। ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও দূতাবাসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং মেলার আয়োজকদের প্রতিনিধিরা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, তৃণমুল কংগ্রেস বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, উপ হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রকাশক ও কবি সুধাংশু শেখর দে, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, কলকাতা পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্ণা দত্ত প্রমুখ।

প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। অন্বেষা প্রকাশন, আহমেদ পাবলিশিং হাউস, মাওলা ব্রাদার্স, অনিন্দ্য প্রকাশ, নালন্দা, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সাহিত্য প্রকাশ, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, অন্য প্রকাশ, ইকরিমিকরি, সৃজনী, আগামী প্রকাশনী, সময় প্রকাশনসহ বাংলাদেশের ৬৮ টি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করছে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কলকাতায় বইমেলায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।

বইমেলার পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কলেজ স্ট্রিট হল কলকাতার বই পাড়া, চারিদিকে এত নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমন একটি জায়গায় এই বইমেলা সত্যিই খুব আনন্দের। কলেজ স্কোয়ারে হচ্ছে বই মেলার জন্য খুব ভালো জায়গা। যদিও যেকোন মেলা আনন্দের, বিশেষ করে বই মেলা। তাছাড়া বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী আর বোধ হয় কিছু হয় না।

তিনি বলেন আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে ভাতৃত্ব ও সৌহার্দের বন্ধন, তা আরো গভীর হবে। আমাদের এই বন্ধুত্বের বন্ধন জোড়ালো হয়েছিল ১৯৭১ সালে। আর আজ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছে। আমি আশা করব এই প্রচেষ্টা আরো সমৃদ্ধ জায়গায় নিয়ে যাবে।

মমতা ব্যানার্জি এবং শেখ হাসিনার মধ্যকার সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বই নিয়ে যাতে ওপার বাংলাতেও বইমেলা করা যায়, সে ব্যাপারে আশ্বাসও দিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী।

আরেক উদ্বোধক পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, দুই বাংলার মিলন স্থলে পরিণত হয়েছে। কাঁটাতার, ভিসা, পাসপোর্ট এই সব শব্দ পুঞ্জকে একটা জিনিসই অতিক্রম করতে পারে- সেটি হলো বই। বই আমাদের জুড়তে পারে।

যারা বইয়ের খোঁজে এসেছেন তাদের অভিনন্দন জানিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করেন ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তার কথায়, কলেজ স্ট্রিট হলো বইয়ের আঁতুড়ঘর। আমি এখান থেকে বহুবার বই কিনেছি। এটি কলকাতার বই পাড়া। এখানে বইমেলা হওয়াটা খুবই সৌভাগ্যের বিষয় বলেও তিনি মনে করেন বলে জানান।

কলকাতা বই মেলার আয়োজক গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে, তৃণমূল বিধায়ক দেবাশীষ কুমার এবং কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।