ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাজিরা খাতায় সই করেই বিদ্যালয় ছাড়েন প্রধান শিক্ষিকা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান না করানোর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে গেলেও শুধু হাজিরা খাতায় সই করেই চলে যান বাড়িতে। ওই শিক্ষিকার নাম জোরিনা খাতুন। তিনি উপজেলার ভানুডাঙ্গা গুচ্ছ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের টাকায় কোন কাজ ঠিকমত না করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ দিকে অভিযোগ পাবার পর গত কয়েকদিন ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে পাওয়া যায়নি।
এমন অভিযোগ স্বীকার করেছেন সহকারি শিক্ষা অফিসার জুবায়ের আহমেদ ও শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান। তারা বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষিকার আগমন প্রস্থানে সমস্যা আছে। ওই শিক্ষক কিছুই শোনেন না। আপনারা একটু দেখেন।’
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি উপজেলার শেষ প্রান্ত বগুড়ার ধুনটের সাথে লাগানো বলে কোন কর্মকর্তা তদারকি করেন না। শিক্ষা কর্মকর্তাতো সেখানে যানই না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষিকা প্রতিনিয়ত ক্লাস ফাঁকি দেন। তার এমন কাজে সহযোগিতা করেন এনামুল হক ওরফে রাজু নামের এক সহকারি শিক্ষক। তিনি স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের টাকার ভাগ বসান তিনিও। স্লিপের ৫০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিক সজ্জিত করণের ১০ হাজার, স্বাস্থ্য সরঞ্জামের ১২ হাজারের দৃশ্যমান কোন কাজই করেননি তিনি। বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেও পতাকা উঠানোই থাকে। কোন কোন দিন এ পতাকা নামান স্থানীয় এক প্রাইভেট শিক্ষক। আর কোন কোন দিন ওই অবস্থাতেই থাকে।
ওই প্রধান শিক্ষিকা নিয়মিত পাঠদান করান কিনা জানতে চাইলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলে, ‘ম্যাডাম স্কুলে আইসা এগারোটা বারোটার দিকেই চইলা যায়। আমাদের ক্লাস নেয়না। অন্য স্যার নেয়। সপ্তাহে দুই একদিন ক্লাস নেয় ম্যাডাম। তাছাড়া হেড ম্যাডাম স্কুলেই থাকে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহকারি শিক্ষক বলেন, ‘ম্যাডাম স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করেই চলে যান। আমরা কিছু বলতে পারি না। তিনি রেগে যান। এ বিষয়ে এটিও ও টিও স্যারকে বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রধান শিক্ষিকা জোরিনা খাতুনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সুখময় সরকার বলেন, বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। আমি তদন্ত করে অবশ্যই ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাজিরা খাতায় সই করেই বিদ্যালয় ছাড়েন প্রধান শিক্ষিকা!

আপডেট সময় : ১২:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান না করানোর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে গেলেও শুধু হাজিরা খাতায় সই করেই চলে যান বাড়িতে। ওই শিক্ষিকার নাম জোরিনা খাতুন। তিনি উপজেলার ভানুডাঙ্গা গুচ্ছ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের টাকায় কোন কাজ ঠিকমত না করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ দিকে অভিযোগ পাবার পর গত কয়েকদিন ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে পাওয়া যায়নি।
এমন অভিযোগ স্বীকার করেছেন সহকারি শিক্ষা অফিসার জুবায়ের আহমেদ ও শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান। তারা বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষিকার আগমন প্রস্থানে সমস্যা আছে। ওই শিক্ষক কিছুই শোনেন না। আপনারা একটু দেখেন।’
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি উপজেলার শেষ প্রান্ত বগুড়ার ধুনটের সাথে লাগানো বলে কোন কর্মকর্তা তদারকি করেন না। শিক্ষা কর্মকর্তাতো সেখানে যানই না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষিকা প্রতিনিয়ত ক্লাস ফাঁকি দেন। তার এমন কাজে সহযোগিতা করেন এনামুল হক ওরফে রাজু নামের এক সহকারি শিক্ষক। তিনি স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের টাকার ভাগ বসান তিনিও। স্লিপের ৫০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিক সজ্জিত করণের ১০ হাজার, স্বাস্থ্য সরঞ্জামের ১২ হাজারের দৃশ্যমান কোন কাজই করেননি তিনি। বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেও পতাকা উঠানোই থাকে। কোন কোন দিন এ পতাকা নামান স্থানীয় এক প্রাইভেট শিক্ষক। আর কোন কোন দিন ওই অবস্থাতেই থাকে।
ওই প্রধান শিক্ষিকা নিয়মিত পাঠদান করান কিনা জানতে চাইলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলে, ‘ম্যাডাম স্কুলে আইসা এগারোটা বারোটার দিকেই চইলা যায়। আমাদের ক্লাস নেয়না। অন্য স্যার নেয়। সপ্তাহে দুই একদিন ক্লাস নেয় ম্যাডাম। তাছাড়া হেড ম্যাডাম স্কুলেই থাকে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহকারি শিক্ষক বলেন, ‘ম্যাডাম স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করেই চলে যান। আমরা কিছু বলতে পারি না। তিনি রেগে যান। এ বিষয়ে এটিও ও টিও স্যারকে বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রধান শিক্ষিকা জোরিনা খাতুনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সুখময় সরকার বলেন, বিষয়টি আমি আগে জানতাম না। আমি তদন্ত করে অবশ্যই ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।