ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ কেউ নব্য আওয়ামী লীগ হয়েছে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ কেউ নব্য আওয়ামী লীগ হয়েছে। তারা আমাদের চেয়ে বেশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। কিন্তু মৌলিক চরিত্র তাদের ভেতরে সুপ্ত আছে। সময় হলে তারা সেই চরিত্র নিয়ে আবারও হাজির হতে পারে। তাই ১০ জানুয়ারি উদযাপন করার সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের ঐক্য দরকার।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সারাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, কয়েকজন রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীকে ফাঁসি দিয়ে সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশ করতে পারিনি। সাম্প্রতিক শক্তির উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে— রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে সব জায়গায় এখনও তারা বিরাজ করছে ছদ্মবেশে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করবে বলে মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিএনপি এখনও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। সুযোগ পেলে দেশের লাখ লাখ মানুষকে একদিনে মেরে ফেলবে। এর আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরও বিএনপির অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে সাসপেক্ট করা হয়নি। তারা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সেই সুযোগ পায় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ একদিনে মেরে ফেলবে। দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের অপরাধী হিসেব চিহ্নিত করা হবে। তাদের জেলে পাঠাবে। মৃত্যুদণ্ড দেবে।

বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন মন্তব্য করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, তারা বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল ছাত্র জীবন থেকে। যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন, তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো। তিনি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।

শ ম রেজাউল বলেন, বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন। বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয় ছাত্র জীবন থেকে। যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তার রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকত। তিনি যেদিন ফিরে এসেছেন সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর বিনাশ হয় না। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, দর্শন, আদর্শ, পথচলার পাথেয় ও অবিনাশী সত্তা।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.বিমান বড়ুয়াসহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ কেউ নব্য আওয়ামী লীগ হয়েছে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৪০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ কেউ নব্য আওয়ামী লীগ হয়েছে। তারা আমাদের চেয়ে বেশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। কিন্তু মৌলিক চরিত্র তাদের ভেতরে সুপ্ত আছে। সময় হলে তারা সেই চরিত্র নিয়ে আবারও হাজির হতে পারে। তাই ১০ জানুয়ারি উদযাপন করার সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের ঐক্য দরকার।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সারাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, কয়েকজন রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীকে ফাঁসি দিয়ে সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশ করতে পারিনি। সাম্প্রতিক শক্তির উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে— রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে সব জায়গায় এখনও তারা বিরাজ করছে ছদ্মবেশে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করবে বলে মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিএনপি এখনও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। সুযোগ পেলে দেশের লাখ লাখ মানুষকে একদিনে মেরে ফেলবে। এর আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরও বিএনপির অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে সাসপেক্ট করা হয়নি। তারা এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সেই সুযোগ পায় বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ একদিনে মেরে ফেলবে। দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদের অপরাধী হিসেব চিহ্নিত করা হবে। তাদের জেলে পাঠাবে। মৃত্যুদণ্ড দেবে।

বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন মন্তব্য করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, তারা বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল ছাত্র জীবন থেকে। যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন, তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো। তিনি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।

শ ম রেজাউল বলেন, বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন। বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয় ছাত্র জীবন থেকে। যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তার রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকত। তিনি যেদিন ফিরে এসেছেন সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর বিনাশ হয় না। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, দর্শন, আদর্শ, পথচলার পাথেয় ও অবিনাশী সত্তা।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.বিমান বড়ুয়াসহ প্রমুখ।