ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে- ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোটের আলোচনায় তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অপশাসনের জন্যই আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবাধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রয়োজন।

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে শুরু হওয়া আন্দোলন বিএনপি’র একার নয় বরং এটি সকল দল ও মানুষের জন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে যে নির্বাচন হয়, সেটি ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেই নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু গতকাল বুধবার নির্বাচন ঘিরে যা ঘটেছে তা দেশের নির্বাচনব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি। এটা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন। আগে প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। তারা এভাবে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে ১৯৭১ সালের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের, আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এর পর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনটা আজকে আছে?’

তিনি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। আজকে কোন রাষ্ট্রে বাস করছি আমরা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচনব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে- ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোটের আলোচনায় তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অপশাসনের জন্যই আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবাধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রয়োজন।

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে শুরু হওয়া আন্দোলন বিএনপি’র একার নয় বরং এটি সকল দল ও মানুষের জন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে যে নির্বাচন হয়, সেটি ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেই নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু গতকাল বুধবার নির্বাচন ঘিরে যা ঘটেছে তা দেশের নির্বাচনব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি। এটা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন। আগে প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। তারা এভাবে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে ১৯৭১ সালের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের, আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এর পর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনটা আজকে আছে?’

তিনি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। আজকে কোন রাষ্ট্রে বাস করছি আমরা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচনব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।