ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি // 

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে অস্কার বিজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে আজ বুধবার (১০ মে) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, প্রায় ২০০ বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায়চৌধুরী কালভৈরব পূজা উপলক্ষে এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ মেলা বসে। বর্তমানে কালভৈরব পূজা না হলেও বন্ধ হয়নি মেলা।
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি এলাকায় ‘রায়’ বাড়ি নামেই পরিচিত। রায় বাড়ির সামনের খোলা মাঠ ও পুকুরের আশেপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে বসে এ মেলা। জানা যায়, এ রায় বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী। ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা বিশিষ্ট ছড়াকার সুকুমার রায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির আগেই উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। কারুকার্যখচিত ভগ্নপ্রায় প্রাচীন দালান পরিবেষ্টিত বিশলায়তনের রায় বাড়িটি বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।

মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি, সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় বসবে গান ও কবিতা পাঠের আসর। কটিয়াদী দীপশিখা সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি বদরুল আলম নাঈম জানান, এ সংগঠনের আয়োজনে কবিতা পাঠ ও গানের আসর বসবে মেলার তৃতীয় দিন শুক্রবার বিকালে।
আয়োজকরা জানান, মেলায় রয়েছে রকমারি পণ্যের কয়েকশ স্টল। এসব স্টলে রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র, গৃহস্থলি নানা সামগ্রী, খেলনা, মিষ্টান্নদ্রব্য, প্রসাধনীসহ নানা ধরনের পণ্য। এছাড়া রয়েছে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ নানা আয়োজনও।

স্থানীয় বাসিন্দার সমাজকর্মী রমজান আলী জানান, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা এখন এই অঞ্চলের সম্প্রীতির প্রতীক। মেলাকে ঘিরে আশেপাশের বেশকয়েকটি গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, গ্রাম-বাংলার লোকজ সংস্কৃতি হলো মেলা। মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য বছরের ন্যায়ই থাকবে। বর্তমানে রায়বাড়িটি সংস্কারে সরকারের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর কাজ করছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে দর্শনার্থীদের কাছে এ মেলা আকর্ষণ আরো বাড়বে।

বা/খ: এসআর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

// এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি // 

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে অস্কার বিজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে আজ বুধবার (১০ মে) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, প্রায় ২০০ বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায়চৌধুরী কালভৈরব পূজা উপলক্ষে এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ মেলা বসে। বর্তমানে কালভৈরব পূজা না হলেও বন্ধ হয়নি মেলা।
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি এলাকায় ‘রায়’ বাড়ি নামেই পরিচিত। রায় বাড়ির সামনের খোলা মাঠ ও পুকুরের আশেপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে বসে এ মেলা। জানা যায়, এ রায় বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী। ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা বিশিষ্ট ছড়াকার সুকুমার রায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির আগেই উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। কারুকার্যখচিত ভগ্নপ্রায় প্রাচীন দালান পরিবেষ্টিত বিশলায়তনের রায় বাড়িটি বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।

মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি, সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় বসবে গান ও কবিতা পাঠের আসর। কটিয়াদী দীপশিখা সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি বদরুল আলম নাঈম জানান, এ সংগঠনের আয়োজনে কবিতা পাঠ ও গানের আসর বসবে মেলার তৃতীয় দিন শুক্রবার বিকালে।
আয়োজকরা জানান, মেলায় রয়েছে রকমারি পণ্যের কয়েকশ স্টল। এসব স্টলে রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র, গৃহস্থলি নানা সামগ্রী, খেলনা, মিষ্টান্নদ্রব্য, প্রসাধনীসহ নানা ধরনের পণ্য। এছাড়া রয়েছে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ নানা আয়োজনও।

স্থানীয় বাসিন্দার সমাজকর্মী রমজান আলী জানান, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা এখন এই অঞ্চলের সম্প্রীতির প্রতীক। মেলাকে ঘিরে আশেপাশের বেশকয়েকটি গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, গ্রাম-বাংলার লোকজ সংস্কৃতি হলো মেলা। মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য বছরের ন্যায়ই থাকবে। বর্তমানে রায়বাড়িটি সংস্কারে সরকারের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর কাজ করছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে দর্শনার্থীদের কাছে এ মেলা আকর্ষণ আরো বাড়বে।

বা/খ: এসআর।