ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লালমনিরহাটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মামলায় কারাগারে উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৩ এর বিচারক ইকবাল হাসান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমিনরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সরকারি বরাদ্দের ৮০ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি ২০ শতাংশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন উপজেলা পরিষদ। ২০ শাতাংশ পান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ২০ শতাংশের ভাগাভাগি নিয়ে গত ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের অফিসে দুই ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার উপজেলা চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন অফিস ত্যাগ করে চলে যান। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের অফিস ভাঙচুর করেন। এসময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনকে প্রধান করে আটজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার। মামলাটি হাতীবান্ধা থানায় নথিভূক্ত না করায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে হাতীবান্ধা থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি নথিভূক্ত করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। এরপর নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করলে মামলার বাদী হাতীবান্ধা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

লালমনিরহাট জেলা কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান বলেন, হাতীবান্ধার একটি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

লালমনিরহাটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মামলায় কারাগারে উপজেলা চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

মোঃ রেজাউল করিম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৩ এর বিচারক ইকবাল হাসান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমিনরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সরকারি বরাদ্দের ৮০ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি ২০ শতাংশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন উপজেলা পরিষদ। ২০ শাতাংশ পান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের টিআর ও কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের উপজেলা পরিষদের বরাদ্দের ২০ শতাংশের ভাগাভাগি নিয়ে গত ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের অফিসে দুই ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার উপজেলা চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন অফিস ত্যাগ করে চলে যান। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের অফিস ভাঙচুর করেন। এসময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনকে প্রধান করে আটজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার। মামলাটি হাতীবান্ধা থানায় নথিভূক্ত না করায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে হাতীবান্ধা থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি নথিভূক্ত করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। এরপর নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করলে মামলার বাদী হাতীবান্ধা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

লালমনিরহাট জেলা কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান বলেন, হাতীবান্ধার একটি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

 

বা/খ: জই