ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লংগদুতে ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকের সফলতার স্বপ্ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
আরাফাত হোসেন বেলাল, লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :
ক্যাপসিকাম একটি নতুন সবজি । পার্বত্য অঞ্চলে এসব সবজির আবাদ না হলেও, চলতি বছরের রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাষ করা হচ্ছে এই নতুন সবজি ক্যাপসিকাম।
লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়া এলকায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই যারা আগে তামাক (বিষপাতা) চাষ করতো, তারা এখন ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এই ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) কাঁচা দেখতে অনেকটাই টমেটোর মত দেখা যায়।
ক্যাপসিয়াম চাষী আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবত তামাক (বিষ পাতা) চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরে তিনি তামাক চাষ বন্ধ করে ২০ শতক জায়গাতে ৩৬শ’ ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করেছে যা ইতিমধ্যেই বাজারজাত করণ শুরু হয়েছে। এলাকায় প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং শহরে ১শ’ থেকে ১শ’ ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, যেহেতু এবছর নতুন চাষ শুরু করেছি, হয়তো এবছর তেমন লাভবান হওয়া যাবেনা। কারণ এটার পরিচর্যা বুঝতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। এই ক্যাপসিকাম চাষের জন্য দোআঁশ বা বেলে মাটি উপযোগী; তবে দোআঁশ মাটি হলে ভালো। ক্যাপসিকাম খরা ও গোড়ায় পানি জমা কোনটিই সহ্য করতে পারে না। এটার বীজ বোনার উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত।
একই এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, তিনি ২৫ শতক জায়গাতে মোট ৪ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করেছে। এই ২৫ শতক জায়গাতে ফল আসা পর্যন্ত তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। তিনিও ইতিমধ্যে ক্যাপসিকামের বাজারজাতকরণ শুরু করেছে। তিনি বলছেন, তারা স্থানীয় এক যুবকের কাছে এই সবজির বিষয়ে জানতে পেরে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কৃষি অফিসের সহায়তা পেলে তারা আগামীতে আরো বড় আকারে ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকবেন। তিনি যেমন ধারণা করছেন অতীতে তিনি দীর্ঘদিন তামাক চাষ করেছিলেন, যার ফলাফল হিসেবে তিনি কিছুই পায়নি। যেহেতু ক্যাপসিকাম ১২ মাসিক সবজি তাই এটা চাষে তারা এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।
লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাপসিকাম যেহেতু নতুন একটি সবজি, সে সুবাদে কৃষকরা আমাদের কাছে যেরকম সহযোগীতা আশা করবে, আমরা তা দিয়ে সহযোগীতা করবো। ক্যাপসিকাম এখনো সবার মাঝে পরিচিত হয়নি। পরিচিত হলে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছি।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

লংগদুতে ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকের সফলতার স্বপ্ন

আপডেট সময় : ০৯:১৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
আরাফাত হোসেন বেলাল, লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :
ক্যাপসিকাম একটি নতুন সবজি । পার্বত্য অঞ্চলে এসব সবজির আবাদ না হলেও, চলতি বছরের রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাষ করা হচ্ছে এই নতুন সবজি ক্যাপসিকাম।
লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়া এলকায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই যারা আগে তামাক (বিষপাতা) চাষ করতো, তারা এখন ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এই ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) কাঁচা দেখতে অনেকটাই টমেটোর মত দেখা যায়।
ক্যাপসিয়াম চাষী আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবত তামাক (বিষ পাতা) চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরে তিনি তামাক চাষ বন্ধ করে ২০ শতক জায়গাতে ৩৬শ’ ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করেছে যা ইতিমধ্যেই বাজারজাত করণ শুরু হয়েছে। এলাকায় প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং শহরে ১শ’ থেকে ১শ’ ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, যেহেতু এবছর নতুন চাষ শুরু করেছি, হয়তো এবছর তেমন লাভবান হওয়া যাবেনা। কারণ এটার পরিচর্যা বুঝতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। এই ক্যাপসিকাম চাষের জন্য দোআঁশ বা বেলে মাটি উপযোগী; তবে দোআঁশ মাটি হলে ভালো। ক্যাপসিকাম খরা ও গোড়ায় পানি জমা কোনটিই সহ্য করতে পারে না। এটার বীজ বোনার উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত।
একই এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, তিনি ২৫ শতক জায়গাতে মোট ৪ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করেছে। এই ২৫ শতক জায়গাতে ফল আসা পর্যন্ত তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। তিনিও ইতিমধ্যে ক্যাপসিকামের বাজারজাতকরণ শুরু করেছে। তিনি বলছেন, তারা স্থানীয় এক যুবকের কাছে এই সবজির বিষয়ে জানতে পেরে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কৃষি অফিসের সহায়তা পেলে তারা আগামীতে আরো বড় আকারে ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকবেন। তিনি যেমন ধারণা করছেন অতীতে তিনি দীর্ঘদিন তামাক চাষ করেছিলেন, যার ফলাফল হিসেবে তিনি কিছুই পায়নি। যেহেতু ক্যাপসিকাম ১২ মাসিক সবজি তাই এটা চাষে তারা এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।
লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাপসিকাম যেহেতু নতুন একটি সবজি, সে সুবাদে কৃষকরা আমাদের কাছে যেরকম সহযোগীতা আশা করবে, আমরা তা দিয়ে সহযোগীতা করবো। ক্যাপসিকাম এখনো সবার মাঝে পরিচিত হয়নি। পরিচিত হলে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছি।
বা/খ: এসআর।