ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল: আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাস্তাঘাট বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা সংবিধান অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কেননা, সংবিধানে উল্লেখ আছে, মানবাধিকার রক্ষায় রাস্তাঘাট বন্ধ করে কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

কেউ কেউ এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, যাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় তারাই বাংলাদেশের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এছাড়া যারা বিদেশে বসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে যুক্ত রয়েছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে না।

রাষ্ট্রদূত হয়ে যারা বাংলাদেশে আছেন তারা তাদের রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যখন কথা বলেন তখন তাদের দেশের পরিস্থিতি মাথায় রেখে কথা বলা উচিত। বিদেশিদের এমনভাবে কথা বলা উচিত যেন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ।

এদিকে, নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন আইনের মত চলবে, সেক্ষেত্রে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না এবং করবে না।

বিএনপির গণসমাবেশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের গণসমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই কিন্তু তারা গণসমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে।

তিনি জানান, দেশে সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আনিসুল হক বলেন, বিএনপির মতো একটি দলের কার্যালয়ে বোমা থাকাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেটি বিবেচনায় নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাস্তাঘাট বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা সংবিধান অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কেননা, সংবিধানে উল্লেখ আছে, মানবাধিকার রক্ষায় রাস্তাঘাট বন্ধ করে কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

কেউ কেউ এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, যাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় তারাই বাংলাদেশের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এছাড়া যারা বিদেশে বসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে যুক্ত রয়েছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে না।

রাষ্ট্রদূত হয়ে যারা বাংলাদেশে আছেন তারা তাদের রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যখন কথা বলেন তখন তাদের দেশের পরিস্থিতি মাথায় রেখে কথা বলা উচিত। বিদেশিদের এমনভাবে কথা বলা উচিত যেন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ।

এদিকে, নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন আইনের মত চলবে, সেক্ষেত্রে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না এবং করবে না।

বিএনপির গণসমাবেশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের গণসমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই কিন্তু তারা গণসমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে।

তিনি জানান, দেশে সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আনিসুল হক বলেন, বিএনপির মতো একটি দলের কার্যালয়ে বোমা থাকাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেটি বিবেচনায় নিতে হবে।