ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রবীন্দ্রনাথের গান বাংলার প্রাণের বাণী বহন করছে-রবি উপাচার্য 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৫ মে (শুক্রবার) বাংলাদেশ  শিল্পকলা একাডেমিতে সন্ধ্যা ৬টায় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত একচল্লিশতম বার্ষিক অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ‘নদীতীরের প্রেমের গান’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান বাংলার প্রাণের বাণী বহন করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পূর্ববঙ্গের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং এখানকার মানুষের জীবনাচারের যে সাবলীলতা, সরলতা তা তাকে আকৃষ্ট করেছিল।
তিনি বলেন, কবিগুরু চিত্র এবং সংগীতকে আলাদা করে দেখেছেন, তিনি তার “সাহিত্যের তাৎপর্য’ প্রবন্ধে  লিখেছেন, চিত্র ও সংগীত সাহিত্যের প্রধান অঙ্গ, চিত্র ভাবকে আকার দেয় আর সঙ্গীত ভাবকে গতিদান করে, চিত্র হচ্ছে দেহ আর সঙ্গীত হচ্ছে প্রাণ। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন ভাব ব্যক্ত করাই সংগীতের মূল উদ্দেশ্য। তা তিনি “সংগীত ও ভাব” প্রবন্ধে পরিষ্কার করেছেন।
উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, আপনারা একটু উপলব্ধি করুন, আজকে যে সংগীত রচনা হচ্ছে, তাতে  যে কলা কৌশল, শব্দচয়ন, তা কতোটা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে সহায়তা ও মানবিকবোধ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার যোগ্য!
বিশ্বকবি পরিষ্কার করে বলেছেন সংগীত সুরের রাগ রাগিনী নহে–সংগীত ভাবের রাগ রাগিনী। উপাচার্য বিশ্বকবির সমকালীনতা, আধুনিকতা এবং আন্তর্জাতিকতার কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন আমি রবীন্দ্রনাথের গান শুনি তখন মনে হয় তিনি যেন আজকেই এটি রচনা করেছেন। রবি উপাচার্য বলেন, ১৮৯১ সালের ৪ঠা জুলাই শনিবার কবিগুরু শাহজাদপুর থেকে লিখেছেন “বাস্তবিক আমাদের দেশের করুণ রাগিনী ছাড়া সমস্ত মানুষের পক্ষে, চিরকালের মানুষের পক্ষে আর কোন গান সম্ভব না” অর্থাৎ তিনি বলেছেন যা আমাদের চিরন্তন  গান  তা করুণ রাগের। এক একটি গান- তাতে ব্যবহৃত যে রাগ রাগিণী তার একটি বিশেষত্ব আছে এবং ব্যবহারের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছ।
বিশ্বকবি কোলকাতার সঙ্গে পূর্ববঙ্গের নিসর্গের তুলনা করে বলেছেন, দিগন্তের এমন বিস্তার কেবল পূর্ববঙ্গেই উপভোগ করা সম্ভব, এখানে কোন প্রতিবন্ধকতা আকাশ পৃথিবীকে দেখতে দৃষ্টিসীমাকে প্রতিহত করে না।
অধিবেশনে ‘ নদীতীরের প্রেমের গান’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক, দেশবরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এসময় কিংবদন্তি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, প্রাক্তন সংস্কৃতি মন্ত্রী, বর্তমান  সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক আজিজুর রহমান তুহিনসহ অন্যান্য অতিথি ও শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

রবীন্দ্রনাথের গান বাংলার প্রাণের বাণী বহন করছে-রবি উপাচার্য 

আপডেট সময় : ০৯:০১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৫ মে (শুক্রবার) বাংলাদেশ  শিল্পকলা একাডেমিতে সন্ধ্যা ৬টায় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত একচল্লিশতম বার্ষিক অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ‘নদীতীরের প্রেমের গান’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান বাংলার প্রাণের বাণী বহন করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পূর্ববঙ্গের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং এখানকার মানুষের জীবনাচারের যে সাবলীলতা, সরলতা তা তাকে আকৃষ্ট করেছিল।
তিনি বলেন, কবিগুরু চিত্র এবং সংগীতকে আলাদা করে দেখেছেন, তিনি তার “সাহিত্যের তাৎপর্য’ প্রবন্ধে  লিখেছেন, চিত্র ও সংগীত সাহিত্যের প্রধান অঙ্গ, চিত্র ভাবকে আকার দেয় আর সঙ্গীত ভাবকে গতিদান করে, চিত্র হচ্ছে দেহ আর সঙ্গীত হচ্ছে প্রাণ। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন ভাব ব্যক্ত করাই সংগীতের মূল উদ্দেশ্য। তা তিনি “সংগীত ও ভাব” প্রবন্ধে পরিষ্কার করেছেন।
উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, আপনারা একটু উপলব্ধি করুন, আজকে যে সংগীত রচনা হচ্ছে, তাতে  যে কলা কৌশল, শব্দচয়ন, তা কতোটা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে সহায়তা ও মানবিকবোধ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার যোগ্য!
বিশ্বকবি পরিষ্কার করে বলেছেন সংগীত সুরের রাগ রাগিনী নহে–সংগীত ভাবের রাগ রাগিনী। উপাচার্য বিশ্বকবির সমকালীনতা, আধুনিকতা এবং আন্তর্জাতিকতার কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন আমি রবীন্দ্রনাথের গান শুনি তখন মনে হয় তিনি যেন আজকেই এটি রচনা করেছেন। রবি উপাচার্য বলেন, ১৮৯১ সালের ৪ঠা জুলাই শনিবার কবিগুরু শাহজাদপুর থেকে লিখেছেন “বাস্তবিক আমাদের দেশের করুণ রাগিনী ছাড়া সমস্ত মানুষের পক্ষে, চিরকালের মানুষের পক্ষে আর কোন গান সম্ভব না” অর্থাৎ তিনি বলেছেন যা আমাদের চিরন্তন  গান  তা করুণ রাগের। এক একটি গান- তাতে ব্যবহৃত যে রাগ রাগিণী তার একটি বিশেষত্ব আছে এবং ব্যবহারের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছ।
বিশ্বকবি কোলকাতার সঙ্গে পূর্ববঙ্গের নিসর্গের তুলনা করে বলেছেন, দিগন্তের এমন বিস্তার কেবল পূর্ববঙ্গেই উপভোগ করা সম্ভব, এখানে কোন প্রতিবন্ধকতা আকাশ পৃথিবীকে দেখতে দৃষ্টিসীমাকে প্রতিহত করে না।
অধিবেশনে ‘ নদীতীরের প্রেমের গান’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক, দেশবরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এসময় কিংবদন্তি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, প্রাক্তন সংস্কৃতি মন্ত্রী, বর্তমান  সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক আজিজুর রহমান তুহিনসহ অন্যান্য অতিথি ও শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম।
বা/খ: জই