ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যে শহরে ঢোল বাজিয়ে সাহরির জন্য ঘুম ভাঙানো হয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র এক মাস। রোজার সময় অধিকাংশ মুসল্লি সাহরি খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ বছরের একটি মাত্র মাসে তাকে ভোর রাতে উঠে সাহরী খেতে হয়। এজন্য অনেকে সময় মতো সাহরি খেতে পারেন না। ফলে বিভিন্ন দেশে ভোর রাতে মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

কেউ সাইরেন বাজিয়ে মুসল্লিদের ডেকে তোলেন, আবার কেউ পাড়ায়-মহল্লায় মাইক দিয়ে মুসল্লিদের ডাকেন। তবে এক্ষেত্রে ভোর রাতে সাহরি খাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক এক রীতি অনুসরণ করা হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে।

প্রতি বছর রমজান মাসের পত্যেক দিন ভোর রাতে ৩ হাজার ৪০০ ঢোল বাজিয়ে মুসল্লিদের সাহরি খাওয়ার জন্য ডাকা হয়। এ কাজে বিভিন্ন বয়সের মানুষজন অংশ নিয়ে থাকেন।

ঢোল বাজানোর জন্য ঐতিহাসিক পোশাক পরিধান করা হয়। অটোমান সাম্রাজ্যের বাদশারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করতেন সেই ধরনের পোশাক পরিধান করে ঢোল বাজানো হবে। ঢোল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা হবে। আর এ কাজে অংশ নিবেন ৯৬৩ জন প্রতিবেশী।

ঢোল ফেডারেসনের ইনচার্জ সেলামি আয়কুত বলেন, পবিত্র রমজান মাসে যারা ড্রাম বা ঢোল বাজাবেন তারা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঐতিহাসিক এ সংস্কৃতিতে অটোমান সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। এ কাজে আমাদের ৯৬৩ জন বাদক প্রস্তুত রয়েছে।

মূলত তুরস্কের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন করা। সেলামি আয়কুত বলেন, শিশু এবং যুবকদের কাছে রমজানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা এ আয়োজন করি। সূত্র: ডেইলি সাবাহ

নিউজটি শেয়ার করুন

যে শহরে ঢোল বাজিয়ে সাহরির জন্য ঘুম ভাঙানো হয়

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র এক মাস। রোজার সময় অধিকাংশ মুসল্লি সাহরি খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ বছরের একটি মাত্র মাসে তাকে ভোর রাতে উঠে সাহরী খেতে হয়। এজন্য অনেকে সময় মতো সাহরি খেতে পারেন না। ফলে বিভিন্ন দেশে ভোর রাতে মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

কেউ সাইরেন বাজিয়ে মুসল্লিদের ডেকে তোলেন, আবার কেউ পাড়ায়-মহল্লায় মাইক দিয়ে মুসল্লিদের ডাকেন। তবে এক্ষেত্রে ভোর রাতে সাহরি খাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক এক রীতি অনুসরণ করা হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে।

প্রতি বছর রমজান মাসের পত্যেক দিন ভোর রাতে ৩ হাজার ৪০০ ঢোল বাজিয়ে মুসল্লিদের সাহরি খাওয়ার জন্য ডাকা হয়। এ কাজে বিভিন্ন বয়সের মানুষজন অংশ নিয়ে থাকেন।

ঢোল বাজানোর জন্য ঐতিহাসিক পোশাক পরিধান করা হয়। অটোমান সাম্রাজ্যের বাদশারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করতেন সেই ধরনের পোশাক পরিধান করে ঢোল বাজানো হবে। ঢোল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা হবে। আর এ কাজে অংশ নিবেন ৯৬৩ জন প্রতিবেশী।

ঢোল ফেডারেসনের ইনচার্জ সেলামি আয়কুত বলেন, পবিত্র রমজান মাসে যারা ড্রাম বা ঢোল বাজাবেন তারা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঐতিহাসিক এ সংস্কৃতিতে অটোমান সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। এ কাজে আমাদের ৯৬৩ জন বাদক প্রস্তুত রয়েছে।

মূলত তুরস্কের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন করা। সেলামি আয়কুত বলেন, শিশু এবং যুবকদের কাছে রমজানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা এ আয়োজন করি। সূত্র: ডেইলি সাবাহ