ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুগপৎ আন্দোলনে সরকার ভয় পেয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে : নুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী মত দমনের মিশনে নেমেছে। বিএনপিসহ ৫৪টি দল রাজপথে সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করায় সরকার ভয় পেয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।

বুধবার (১ মার্চ) গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি ও হুমকিসহ সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমন-পীড়ন, মামলা-হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করে গণ পদযাত্রা শেষে পথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, সরকার গণ অধিকার পরিষদ এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ও পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। বিরোধী মত দমনে সরকার আবারও মামলা-হামলার পুরানো পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ এভাবে মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে নিজেদের ক্রেডেবিলিটি হারাচ্ছে, তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

নুর বলেন, ১৪ বছরে বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে সেনা অফিসার হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার না হওয়া প্রমাণ করে এ ঘটনায় সরকার জড়িত। সামনে বিরোধী দলকে ফাঁসাতে সরকার পুলিশকে নিয়েও নীলনকশা করছে। এ সরকারের হাতে এখন কেউ নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, গুটি কয়েক দুর্বৃত্তদের কারণে পুরো বাহিনী এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। তাই পুলিশকে এ ধরনের জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকার আবারও পাতানো নির্বাচন করতে অনেক দলকে সিটের প্রলোভন দেখাচ্ছে। আমরা সরকারের এমন পাতানো নির্বাচনের স্বপ্ন কখনও পূরণ হতে দেবো না।

সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, পৃথিবীর কোনও দেশে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র দীর্ঘায়িত হয়নি। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের আর এক্সটেনশন করতে দেওয়া যাবে না।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, সরকার দুর্বল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক মেরুকরণের ফলে সরকারের এখন আন্তর্জাতিক সমর্থন নেই। গত কয়েকমাস ধরে বিএনপিসহ সব বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনকে সহিংস করার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগকে লেলিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশে নৈরাজ্য তৈরি করছে। এভাবে হামলা, মামলা, গুম, হত্যা, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা — এসব নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তারা।

তিনি আরও বলেন, হামলা, মামলা চলছে, আরও কিছুদিন চলবে। কারণ রক্ত দেওয়া ছাড়া পৃথিবীতে কোনও গণআন্দোলন সফল হয়নি। নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়া ছাড়া কোনও গণঅভ্যুত্থান হয়নি। আজকে বিরোধী দলের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে, সেই নির্যাতন-নিপীড়নেই জনগণ ঘুরে দাঁড়াবে, শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নুর বলেন, একের পর এক বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। বাজারে অনেক ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, শিশু খাদ্য আমদানিতে সংকট হচ্ছে। সামনে আরও ভয়াবহ সঙ্কট তৈরি হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে সরকার এখন দলীয় নেতা-কর্মীদের টাকা পাচারের জন্য কঙ্গো, সুদান, লাইব্রেরিয়া, ঘানা, ইরিত্রিয়া, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডার মতো সংঘাতপূর্ণ ও দুর্ভিক্ষে পীড়িত দেশে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিচ্ছে। তাই দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে আমাদেরকে সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে হবে। জাতির মুক্তির একমাত্র পথ সরকারের বিদায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ, ড. মালেক ফরাজী, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, শাকিল উজ্জামান, পাঠান আজহার, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, তারেক রহমান, ফাতেমা তাসনিম, জিলু খান, অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার, শামসুদ্দিন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুগপৎ আন্দোলনে সরকার ভয় পেয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে : নুর

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী মত দমনের মিশনে নেমেছে। বিএনপিসহ ৫৪টি দল রাজপথে সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করায় সরকার ভয় পেয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।

বুধবার (১ মার্চ) গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি ও হুমকিসহ সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমন-পীড়ন, মামলা-হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করে গণ পদযাত্রা শেষে পথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, সরকার গণ অধিকার পরিষদ এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ও পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। বিরোধী মত দমনে সরকার আবারও মামলা-হামলার পুরানো পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ এভাবে মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে নিজেদের ক্রেডেবিলিটি হারাচ্ছে, তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

নুর বলেন, ১৪ বছরে বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে সেনা অফিসার হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার না হওয়া প্রমাণ করে এ ঘটনায় সরকার জড়িত। সামনে বিরোধী দলকে ফাঁসাতে সরকার পুলিশকে নিয়েও নীলনকশা করছে। এ সরকারের হাতে এখন কেউ নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, গুটি কয়েক দুর্বৃত্তদের কারণে পুরো বাহিনী এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। তাই পুলিশকে এ ধরনের জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকার আবারও পাতানো নির্বাচন করতে অনেক দলকে সিটের প্রলোভন দেখাচ্ছে। আমরা সরকারের এমন পাতানো নির্বাচনের স্বপ্ন কখনও পূরণ হতে দেবো না।

সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, পৃথিবীর কোনও দেশে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র দীর্ঘায়িত হয়নি। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের আর এক্সটেনশন করতে দেওয়া যাবে না।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, সরকার দুর্বল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক মেরুকরণের ফলে সরকারের এখন আন্তর্জাতিক সমর্থন নেই। গত কয়েকমাস ধরে বিএনপিসহ সব বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনকে সহিংস করার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগকে লেলিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশে নৈরাজ্য তৈরি করছে। এভাবে হামলা, মামলা, গুম, হত্যা, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা — এসব নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তারা।

তিনি আরও বলেন, হামলা, মামলা চলছে, আরও কিছুদিন চলবে। কারণ রক্ত দেওয়া ছাড়া পৃথিবীতে কোনও গণআন্দোলন সফল হয়নি। নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়া ছাড়া কোনও গণঅভ্যুত্থান হয়নি। আজকে বিরোধী দলের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে, সেই নির্যাতন-নিপীড়নেই জনগণ ঘুরে দাঁড়াবে, শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নুর বলেন, একের পর এক বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। বাজারে অনেক ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, শিশু খাদ্য আমদানিতে সংকট হচ্ছে। সামনে আরও ভয়াবহ সঙ্কট তৈরি হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে সরকার এখন দলীয় নেতা-কর্মীদের টাকা পাচারের জন্য কঙ্গো, সুদান, লাইব্রেরিয়া, ঘানা, ইরিত্রিয়া, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডার মতো সংঘাতপূর্ণ ও দুর্ভিক্ষে পীড়িত দেশে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিচ্ছে। তাই দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে আমাদেরকে সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে হবে। জাতির মুক্তির একমাত্র পথ সরকারের বিদায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ, ড. মালেক ফরাজী, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, শাকিল উজ্জামান, পাঠান আজহার, যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান, তারেক রহমান, ফাতেমা তাসনিম, জিলু খান, অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার, শামসুদ্দিন প্রমুখ।