ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেলকুচি মেয়রের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
বেলকুচিত পৌর বিধি লঙ্ঘন করে স্থায়ী তোরণ অপসারণের নোটিশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এর অনুসারীরা মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে পৌরসভার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পৌর মেয়র তার লিখিত বক্তব্য বলেন, ২০১৯ সালে জাতীয় অনলাইন এবং দেশের বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় তোরণ অপসারনের সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং এরই প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তোরণ অপসারণের নোটিশ প্রদান করেন। তাতেও এমপির ব্যক্তিগত ব্যবহারী তোরণ না সরালে  ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে এমপি সড়ক দখল করে তোরণ নির্মাণ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। সড়কের নিরাপত্তার স্বার্থে সিরাজগঞ্জ ট্রাক মালিক সমিতি তোরণ অপসারণ করার জন্য বেলকুচি পৌরসভাকে অনুরোধ করে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তোরণ অপসারনের জন্য এমপির মহোদয়কে মৌখিক জানানো হলে তোরণ অপসারণের কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ৩০এপ্রিল ২০২৩ মেয়র স্বাক্ষরিত তোরণ অপসারণের নোটিশ দিলে এমপির সমর্থীত লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমাকে হেয়করার চেষ্টা করে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত ১৩মে বিকাল ৩টায় নেতা কর্মীদের নিয়ে আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে চা আয়োজন করেছিলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি এমপি মহোদয়ের তোরণ অপসারণকে কেন্দ্র করে আমার উপর এমপি সমর্থিত লোক জন অতর্কিতভাবে হামলা করার চেষ্টা করলে  আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের বাহিরে নিয়ে আসে। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আমার এবং আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীদর নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হয়।
এছাড়া সুলতানা রাজিয়া মিলন নামে আর একজন দলীয় কার্যালয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একটি মামলা করেন। এই ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।  একটি কুচক্রীমহল পৌরসভার সমস্ত উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয় যাচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের অধীনে যে কোন উন্নয়ন  কাজের জন্য এমপির ডিও লেটার প্রয়োজন হয়। তিনি পৌরসভার উন্নয়ন কাজের ডিও লেটার প্রদান করেন না। এতে পৌরসভার উন্নয়ন কাজও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ সড়ক, পৌরসভার সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত ও পৌরসভার সকল কাজ বিধিমত বাস্তবায়নে আমি বদ্ধ পরিকর। সেক্ষেত্রে প্রশাসন , সাংবাদিকসহ সকলের সার্বিক সহযোগীতার কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলকুচি মেয়রের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
// আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
বেলকুচিত পৌর বিধি লঙ্ঘন করে স্থায়ী তোরণ অপসারণের নোটিশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এর অনুসারীরা মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে পৌরসভার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পৌর মেয়র তার লিখিত বক্তব্য বলেন, ২০১৯ সালে জাতীয় অনলাইন এবং দেশের বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় তোরণ অপসারনের সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং এরই প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তোরণ অপসারণের নোটিশ প্রদান করেন। তাতেও এমপির ব্যক্তিগত ব্যবহারী তোরণ না সরালে  ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে এমপি সড়ক দখল করে তোরণ নির্মাণ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। সড়কের নিরাপত্তার স্বার্থে সিরাজগঞ্জ ট্রাক মালিক সমিতি তোরণ অপসারণ করার জন্য বেলকুচি পৌরসভাকে অনুরোধ করে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তোরণ অপসারনের জন্য এমপির মহোদয়কে মৌখিক জানানো হলে তোরণ অপসারণের কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ৩০এপ্রিল ২০২৩ মেয়র স্বাক্ষরিত তোরণ অপসারণের নোটিশ দিলে এমপির সমর্থীত লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমাকে হেয়করার চেষ্টা করে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত ১৩মে বিকাল ৩টায় নেতা কর্মীদের নিয়ে আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে চা আয়োজন করেছিলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি এমপি মহোদয়ের তোরণ অপসারণকে কেন্দ্র করে আমার উপর এমপি সমর্থিত লোক জন অতর্কিতভাবে হামলা করার চেষ্টা করলে  আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের বাহিরে নিয়ে আসে। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আমার এবং আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীদর নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হয়।
এছাড়া সুলতানা রাজিয়া মিলন নামে আর একজন দলীয় কার্যালয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একটি মামলা করেন। এই ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।  একটি কুচক্রীমহল পৌরসভার সমস্ত উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয় যাচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের অধীনে যে কোন উন্নয়ন  কাজের জন্য এমপির ডিও লেটার প্রয়োজন হয়। তিনি পৌরসভার উন্নয়ন কাজের ডিও লেটার প্রদান করেন না। এতে পৌরসভার উন্নয়ন কাজও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ সড়ক, পৌরসভার সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত ও পৌরসভার সকল কাজ বিধিমত বাস্তবায়নে আমি বদ্ধ পরিকর। সেক্ষেত্রে প্রশাসন , সাংবাদিকসহ সকলের সার্বিক সহযোগীতার কামনা করছি।