ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশি লবিস্টদের পরামর্শে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ঢাকায় সমাবেশ ডেকে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিদেশি লবিস্টদের পরামর্শে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। তবে বাংলাদেশের ওপর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারির এ অপচেষ্টা সফল হবে না।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ মুহূর্তে সরকার নতুন কোনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না। গত বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার।

গত বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনেও নিষেধাজ্ঞা শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী অনেকেই সরকারের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান ও হুঁশিয়ারিও দিয়ে যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় এবারের মানবাধিকার দিবসে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের আয়োজন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া খুব দীর্ঘ এবং এ প্রক্রিয়ায় যেতে তথ্য সংগ্রহ করেছে সরকার এমন আভাস দিয়ে শাহরিয়ার জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশটিতে একমাত্র পন্থা আইনি প্রক্রিয়া। কী অভিযোগের ভিত্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা সে ব্যাপারে তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। আর কূটনৈতিকভাবেও সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। ঢাকা ও ওয়াশিংটনে দু’পক্ষের যোগাযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আশা করে না বাংলাদেশ।

রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে সফল সংস্থা র‌্যাবের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন না পেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। র‌্যাব বিএনপির সময়ে সৃষ্টি হলেও তাদের বিরুদ্ধেও কাজ করছে দলটি। অথচ সন্ত্রাস, উগ্রবাদ, মাদক দমনে র‌্যাবের অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে। এই ফোর্সের কেউ দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ৩/৪ বছরে তিন শতাধিক র‌্যাব সদস্য শাস্তি হয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন, বিএনপি বলার চেষ্টা করেছিল র‌্যাবের অপারেশনের মধ্য দিয়ে তাদের দলের বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করা হচ্ছে। যা একেবারেই মিথ্যা। বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অপারেশনের তথ্য রয়েছে। র‌্যাবের কার্যক্রম কোনো রাজনৈতিক পরিচয় দেখে হচ্ছে না। এসব তথ্যও যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে বিএনপির বিনিয়োগ অনেক বেশি। সে টাকা তারা কীভাবে দিচ্ছেন, কারা সরবরাহ করছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রশাসনকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা জানানো হয়েছে। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও আগামী ১০ ডিসেম্বর নতুন নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। তারা ঢাকায় সমাবেশের তারিখও সেদিন রেখেছে। এতেই প্রতীয়মাণ হয়, বিএনপি লবিস্টের সাথে মিলে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এই অপচেষ্টা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি লবিস্টদের পরামর্শে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ঢাকায় সমাবেশ ডেকে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিদেশি লবিস্টদের পরামর্শে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। তবে বাংলাদেশের ওপর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারির এ অপচেষ্টা সফল হবে না।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ মুহূর্তে সরকার নতুন কোনো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না। গত বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার।

গত বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনেও নিষেধাজ্ঞা শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী অনেকেই সরকারের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান ও হুঁশিয়ারিও দিয়ে যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় এবারের মানবাধিকার দিবসে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের আয়োজন ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া খুব দীর্ঘ এবং এ প্রক্রিয়ায় যেতে তথ্য সংগ্রহ করেছে সরকার এমন আভাস দিয়ে শাহরিয়ার জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশটিতে একমাত্র পন্থা আইনি প্রক্রিয়া। কী অভিযোগের ভিত্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা সে ব্যাপারে তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। আর কূটনৈতিকভাবেও সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। ঢাকা ও ওয়াশিংটনে দু’পক্ষের যোগাযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আশা করে না বাংলাদেশ।

রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে সফল সংস্থা র‌্যাবের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন না পেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। র‌্যাব বিএনপির সময়ে সৃষ্টি হলেও তাদের বিরুদ্ধেও কাজ করছে দলটি। অথচ সন্ত্রাস, উগ্রবাদ, মাদক দমনে র‌্যাবের অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে। এই ফোর্সের কেউ দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ৩/৪ বছরে তিন শতাধিক র‌্যাব সদস্য শাস্তি হয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন, বিএনপি বলার চেষ্টা করেছিল র‌্যাবের অপারেশনের মধ্য দিয়ে তাদের দলের বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করা হচ্ছে। যা একেবারেই মিথ্যা। বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অপারেশনের তথ্য রয়েছে। র‌্যাবের কার্যক্রম কোনো রাজনৈতিক পরিচয় দেখে হচ্ছে না। এসব তথ্যও যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে বিএনপির বিনিয়োগ অনেক বেশি। সে টাকা তারা কীভাবে দিচ্ছেন, কারা সরবরাহ করছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রশাসনকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা জানানো হয়েছে। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও আগামী ১০ ডিসেম্বর নতুন নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। তারা ঢাকায় সমাবেশের তারিখও সেদিন রেখেছে। এতেই প্রতীয়মাণ হয়, বিএনপি লবিস্টের সাথে মিলে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এই অপচেষ্টা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।