ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পার্বত্য ৩ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট : টানা বৃষ্টিতে এখনও উন্নতি হয়নি রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতি। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। এ পরিস্থিতিতে আশ্রয় কেন্দ্র না ছাড়তে প্রশাসনের নির্দেশনা বহাল রয়েছে।

বৃষ্টি অব্যাহত আছে রাঙামাটিতে। টানা সাত দিনের বৃষ্টির কারণে রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, জুরাছড়ি, কাউখালী, নানিয়াচর, বিলাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়িতে বন্যা হয়েছে। এতে বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে প্রায় আড়াই হাজার। ২৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২১শ মানুষ।

বন্যায় বাজার, স্কুল, মন্দিরের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে সবজি ক্ষেত ও বাগান-বাগিচার। বন্যার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়। দুই শতাধিক স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। চারশটির অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তবে এখনও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ার কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। ধীরে চলতে হচ্ছে যান বাহনগুলোকে। সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতির মধ্যে যান চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকদের রান্না করা খাবার বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত,পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার মানুষ। খাগড়াছড়ির মাইনী নদী ও চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং, কবাখালি ও বোয়ালখালি ইউনিয়ন। তিন ইউনিয়নের ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে মাত্র দুই শতাধিক মানুষ। অনেকে আবার আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বেইলি ব্রীজ ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সাথে রাঙ্গামাটি লংগদুর সড়ক যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে। সোমবার রাত থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে । বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ৪৮ মেট্রিক টক খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

অন্যদিকে টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলের কারণে তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়া পেকুয়া এবং রামুসহ ৬০টি ইউনিয়ন। পানিবন্দী হয়েছে অন্তত ৩ লাখ মানুষ। বন্যায় ডুবে গেছে মহাসড়ক। তিন দিন ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এবং ঢাকাগামী সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন সংস্থাগুলো। তবে কিছু সংখ্যক বাস চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিকল্প সড়ক ব্যবহার করলেও পরিবহনের সংখ্যা কম।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহাসড়ক। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগ পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে মহাসড়কের কাজে হাত দেবে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পার্বত্য ৩ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় : ১২:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট : টানা বৃষ্টিতে এখনও উন্নতি হয়নি রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতি। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। এ পরিস্থিতিতে আশ্রয় কেন্দ্র না ছাড়তে প্রশাসনের নির্দেশনা বহাল রয়েছে।

বৃষ্টি অব্যাহত আছে রাঙামাটিতে। টানা সাত দিনের বৃষ্টির কারণে রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, জুরাছড়ি, কাউখালী, নানিয়াচর, বিলাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়িতে বন্যা হয়েছে। এতে বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে প্রায় আড়াই হাজার। ২৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২১শ মানুষ।

বন্যায় বাজার, স্কুল, মন্দিরের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে সবজি ক্ষেত ও বাগান-বাগিচার। বন্যার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়। দুই শতাধিক স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। চারশটির অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তবে এখনও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ার কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। ধীরে চলতে হচ্ছে যান বাহনগুলোকে। সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতির মধ্যে যান চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকদের রান্না করা খাবার বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত,পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার মানুষ। খাগড়াছড়ির মাইনী নদী ও চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং, কবাখালি ও বোয়ালখালি ইউনিয়ন। তিন ইউনিয়নের ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে মাত্র দুই শতাধিক মানুষ। অনেকে আবার আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বেইলি ব্রীজ ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সাথে রাঙ্গামাটি লংগদুর সড়ক যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে। সোমবার রাত থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে । বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ৪৮ মেট্রিক টক খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

অন্যদিকে টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলের কারণে তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়া পেকুয়া এবং রামুসহ ৬০টি ইউনিয়ন। পানিবন্দী হয়েছে অন্তত ৩ লাখ মানুষ। বন্যায় ডুবে গেছে মহাসড়ক। তিন দিন ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এবং ঢাকাগামী সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন সংস্থাগুলো। তবে কিছু সংখ্যক বাস চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিকল্প সড়ক ব্যবহার করলেও পরিবহনের সংখ্যা কম।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহাসড়ক। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগ পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে মহাসড়কের কাজে হাত দেবে বলে জানা গেছে।