ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছায় বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মামলা, তদন্তে পিবিআই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পাটকেলপোতা গ্রামের আফসার মোড়ল ও তার স্ত্রী লাইনুর বেগম তাদের পুত্র রিয়াজ মোড়লকে লিবিয়ায় পাঠিয়ে একই গ্রামের আফাজ মোড়লের পুত্র জসিম মোড়লের সাথে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সে কারন তাদের বিরুদ্ধে জসিম মোড়ল বাদি হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার তথ্যে প্রকাশ, জসিমের বোন জোসনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় চাকুরি করে। সেই সুবাদে একই গ্রামের বাসিন্দা আসামীরা তাদের পুত্র রিয়াজকে লিবিয়ায় পাঠানোর জন্য বাদির সাথে ৪লক্ষ টাকার চুক্তি করে। সেমতে বাদি জসিম তিন কিস্তিতে ২লক্ষ ৭৫হাজার টাকা নিয়ে ২০২২সালে রিয়াজকে লিবিয়ায় পাঠায়। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বাকি ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকে। কিন্তু লিবিয়ায় অবস্হান কালে রিয়াজ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পূর্বে বাড়ীতে ফোন দিয়ে মন খারাপ বলে কান্না-কাটি করতে থাকে। তখন তার পিতা-মাতা বাদিকে ও স্হানীয় চেয়ারম্যান- মেম্বরকে বিষয়টি জানায়। এরপর সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাদি ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা খরচ করে রিয়াজকে দেশে ফেরৎ আনে এবং বিদেশে থাকা কালে বাদির বোন জোসনা রিয়াজকে ৩০হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন দেয়। ঐ সময় শালিসের সিদ্ধান্ত মতে রিয়াজ দেশে ফেরার পর তার পিতা-মাতা বাদিকে বিদেশ পাঠানোর বকেয়া টাকা, ফেরৎ আনা টাকা এবং মোবাইল বাবদ টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ২লক্ষ ৮৫হাজার টাকা বাদিকে ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকে। তবে আসামীরা উক্ত টাকা ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকে।
এ ব্যাপারে আসামীরা চেয়ারম্যান-মেম্বরদের শালিস ও থানা পুলিশের শালিস অমান্য করে বাদিকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। তখন বাদি নিরুপায় হয়ে আদালতে এসে উক্ত মামলা করে, যার নং সিআর-৪৪৯/২৩। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. শেখ বারিকুল ইসলাম  নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মামলার আসামিরা বাদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, গণমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার এবং মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছেন। তাই মামলার বাদি জসিম উদ্দীন ও তার পরিবার পরিজন সহ মামলার স্বাক্ষীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে জসিম উদ্দীন সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

পাইকগাছায় বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মামলা, তদন্তে পিবিআই

আপডেট সময় : ০৮:২৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পাটকেলপোতা গ্রামের আফসার মোড়ল ও তার স্ত্রী লাইনুর বেগম তাদের পুত্র রিয়াজ মোড়লকে লিবিয়ায় পাঠিয়ে একই গ্রামের আফাজ মোড়লের পুত্র জসিম মোড়লের সাথে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সে কারন তাদের বিরুদ্ধে জসিম মোড়ল বাদি হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার তথ্যে প্রকাশ, জসিমের বোন জোসনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় চাকুরি করে। সেই সুবাদে একই গ্রামের বাসিন্দা আসামীরা তাদের পুত্র রিয়াজকে লিবিয়ায় পাঠানোর জন্য বাদির সাথে ৪লক্ষ টাকার চুক্তি করে। সেমতে বাদি জসিম তিন কিস্তিতে ২লক্ষ ৭৫হাজার টাকা নিয়ে ২০২২সালে রিয়াজকে লিবিয়ায় পাঠায়। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বাকি ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকে। কিন্তু লিবিয়ায় অবস্হান কালে রিয়াজ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পূর্বে বাড়ীতে ফোন দিয়ে মন খারাপ বলে কান্না-কাটি করতে থাকে। তখন তার পিতা-মাতা বাদিকে ও স্হানীয় চেয়ারম্যান- মেম্বরকে বিষয়টি জানায়। এরপর সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাদি ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা খরচ করে রিয়াজকে দেশে ফেরৎ আনে এবং বিদেশে থাকা কালে বাদির বোন জোসনা রিয়াজকে ৩০হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন দেয়। ঐ সময় শালিসের সিদ্ধান্ত মতে রিয়াজ দেশে ফেরার পর তার পিতা-মাতা বাদিকে বিদেশ পাঠানোর বকেয়া টাকা, ফেরৎ আনা টাকা এবং মোবাইল বাবদ টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ২লক্ষ ৮৫হাজার টাকা বাদিকে ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকে। তবে আসামীরা উক্ত টাকা ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকে।
এ ব্যাপারে আসামীরা চেয়ারম্যান-মেম্বরদের শালিস ও থানা পুলিশের শালিস অমান্য করে বাদিকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। তখন বাদি নিরুপায় হয়ে আদালতে এসে উক্ত মামলা করে, যার নং সিআর-৪৪৯/২৩। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. শেখ বারিকুল ইসলাম  নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মামলার আসামিরা বাদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, গণমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার এবং মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছেন। তাই মামলার বাদি জসিম উদ্দীন ও তার পরিবার পরিজন সহ মামলার স্বাক্ষীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে জসিম উদ্দীন সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
বা/খ: জই