ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পর্যটকের ভিড়ে তিলধারণের ঠায় নেই ট্রেনে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাফিউল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি :
ফুলপ্রেমী পর্যটকদের পদচারণায় মুখোরিত ফুলের রাজ্য ঝিকরগাছার গদখালী। দিনদিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা।এদিকে ট্রেনের বগী স্বল্পতায় পর্যটকদের চাপে তিলধারণের যেন ঠাঁই হচ্ছেনা খুলনা-বেনাপোল বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনে । এই দৃশ্যপট ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে পর্যটকদের এমনই দূর্ভোগ ও বিড়ম্বনা নিত্যদিনের। সপ্তাহে সরকারি ছুটি শুক্র-শনিবার এই ট্রেনের গন্তব্য ফেরত যাত্রিদের ভিড় বৃদ্ধিপায় দু’তিন গুণ তা বলাই বাহুল্য।
অতিসম্প্রতি মাত্র চারটি বগী নিয়ে চলছে খুলনা বেনাপোল রুটের এই ট্রেন। আগে ছিল ৬টি। তাতেও জায়গা সংকুলান হচ্ছিল না। তারপরও অজ্ঞাত কারনে দুটি বগী কমে গেল। ফলে বেড়ে গেছে ফুল পর্যটকদের দূর্ভোগ ও বিড়ম্বনা। এই ট্রেন সার্ভিসের পর্যটকরা বেশীরভাগ বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের। বিশেষ করে মহানগরের দৌলতপুর ,ফুলতলা মিরোমণি, খালিসপুর, বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যার পর্যটক ছুটে আসেন এ বৈচিত্রময় ফুলের রাজ্যে।টিউলিপ, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ফুল পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহীত করে। সবশ্রেণি পেশার মানুষ উপভোগ করেন অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এই ফুলের রাজ্যে। দিগন্তজোড়া ফুলের রাজ্যে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে তাই সুস্থ বিনোদনের জন্য পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন দলে-দলে ছুটে আসছেন স্বর্গীয় অনুভূতির মনোমুগ্ধকর এই ফুলের রাজ্যে। মাঠের পর মাঠ শুধু ফুল আর ফুল। এ-যেন শতফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যের এক অবিরাম প্রতিযোগীতা। কে কার চেয়ে অনাবিল সুন্দর তারই যেন প্রতিযোগীতা! টিউলিপ, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস,সূর্যমুখী, নন্দিনী, লিলিয়াম সবাই যেন প্রতিযোগীতায় নেমে পড়েছে! ফুলপ্রেমী পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে তাই ফুলেরা যেন নিজ নিজ সৌন্দর্যের পসরা মেলে ধরেছে! অনাবিল এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন এখানে আগত নারী-পুরুষ সহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। শহুরে চার দেয়ালের একঘেয়ামি জীবনযাপনে হাপিয়ে ওঠা মানুষগুলোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদ থেকেও স্ত্রী, সন্তান ও প্রিয়জনসহ দলে-দলে ছুঁটে আসছেন গদখালীর নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্যের এই ফুলের রাজ্যে। পুষ্পকানন গদখালীর হাড়িয়ার মোড়ে যেন প্রতিদিনের ফুলের মেলা বসে। এখানে বিভিন্ন ফুলের স্টলে বাহারি সব ফুল, ফুলের মালা, স্তবক, ফ্লাওয়ারব্যান্ড ইত্যাদি বেচাকেনা হয় প্রচুর। পর্যটকদের পাশাপাশি পাইকার ও খুচরা ফুল বিক্রেতাও এখান থেকে ফুল চাষীদের কাছ থেকে ক্ষেতের তরতাজা ফুল কিনে নিয়ে যান। ফুলের বাণিজ্যিক প্রসার ও পরিচিতি তুলে ধরার পাশাপাশি ফুল চাষ সম্প্রসারণ ফুলের গুণগত মানোন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফুল চাষিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে । পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে নানামূখী কার্যকর উদ্যোগ। ফুলক্ষেত স্বাচ্ছন্দে পরিদর্শনে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বসার জায়গার ব্যবস্থা,পর্যাপ্ত শৌচাগার নির্মাণ ও খুলনা-বেনাপোল রেলের যাত্রী পরিসেবা বৃদ্ধিতে বাড়তি বগী সংযোজনের দাবী জানাচ্ছে পর্যটকদের পক্ষ থেকে।
জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে ফুলচাষীরা গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ফুল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব আয়োজন ঘিরে কোটি কোটি টাকার ফুল বিকিকিনি হয়ে থাকে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাও স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
প্রঙ্গতঃ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত , বিভিন্ন বিদেশী কুটনীতিক, দাতা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ঝিকরগাছা গদখালীর পানিসারা এলাকার বিস্তৃীর্ণ ফুলক্ষেত বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে এসেছেন।
বা/খ; জই

নিউজটি শেয়ার করুন

পর্যটকের ভিড়ে তিলধারণের ঠায় নেই ট্রেনে

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
রাফিউল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি :
ফুলপ্রেমী পর্যটকদের পদচারণায় মুখোরিত ফুলের রাজ্য ঝিকরগাছার গদখালী। দিনদিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা।এদিকে ট্রেনের বগী স্বল্পতায় পর্যটকদের চাপে তিলধারণের যেন ঠাঁই হচ্ছেনা খুলনা-বেনাপোল বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনে । এই দৃশ্যপট ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে পর্যটকদের এমনই দূর্ভোগ ও বিড়ম্বনা নিত্যদিনের। সপ্তাহে সরকারি ছুটি শুক্র-শনিবার এই ট্রেনের গন্তব্য ফেরত যাত্রিদের ভিড় বৃদ্ধিপায় দু’তিন গুণ তা বলাই বাহুল্য।
অতিসম্প্রতি মাত্র চারটি বগী নিয়ে চলছে খুলনা বেনাপোল রুটের এই ট্রেন। আগে ছিল ৬টি। তাতেও জায়গা সংকুলান হচ্ছিল না। তারপরও অজ্ঞাত কারনে দুটি বগী কমে গেল। ফলে বেড়ে গেছে ফুল পর্যটকদের দূর্ভোগ ও বিড়ম্বনা। এই ট্রেন সার্ভিসের পর্যটকরা বেশীরভাগ বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের। বিশেষ করে মহানগরের দৌলতপুর ,ফুলতলা মিরোমণি, খালিসপুর, বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যার পর্যটক ছুটে আসেন এ বৈচিত্রময় ফুলের রাজ্যে।টিউলিপ, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ফুল পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহীত করে। সবশ্রেণি পেশার মানুষ উপভোগ করেন অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এই ফুলের রাজ্যে। দিগন্তজোড়া ফুলের রাজ্যে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে তাই সুস্থ বিনোদনের জন্য পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন দলে-দলে ছুটে আসছেন স্বর্গীয় অনুভূতির মনোমুগ্ধকর এই ফুলের রাজ্যে। মাঠের পর মাঠ শুধু ফুল আর ফুল। এ-যেন শতফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যের এক অবিরাম প্রতিযোগীতা। কে কার চেয়ে অনাবিল সুন্দর তারই যেন প্রতিযোগীতা! টিউলিপ, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস,সূর্যমুখী, নন্দিনী, লিলিয়াম সবাই যেন প্রতিযোগীতায় নেমে পড়েছে! ফুলপ্রেমী পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে তাই ফুলেরা যেন নিজ নিজ সৌন্দর্যের পসরা মেলে ধরেছে! অনাবিল এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন এখানে আগত নারী-পুরুষ সহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। শহুরে চার দেয়ালের একঘেয়ামি জীবনযাপনে হাপিয়ে ওঠা মানুষগুলোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদ থেকেও স্ত্রী, সন্তান ও প্রিয়জনসহ দলে-দলে ছুঁটে আসছেন গদখালীর নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্যের এই ফুলের রাজ্যে। পুষ্পকানন গদখালীর হাড়িয়ার মোড়ে যেন প্রতিদিনের ফুলের মেলা বসে। এখানে বিভিন্ন ফুলের স্টলে বাহারি সব ফুল, ফুলের মালা, স্তবক, ফ্লাওয়ারব্যান্ড ইত্যাদি বেচাকেনা হয় প্রচুর। পর্যটকদের পাশাপাশি পাইকার ও খুচরা ফুল বিক্রেতাও এখান থেকে ফুল চাষীদের কাছ থেকে ক্ষেতের তরতাজা ফুল কিনে নিয়ে যান। ফুলের বাণিজ্যিক প্রসার ও পরিচিতি তুলে ধরার পাশাপাশি ফুল চাষ সম্প্রসারণ ফুলের গুণগত মানোন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফুল চাষিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে । পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে নানামূখী কার্যকর উদ্যোগ। ফুলক্ষেত স্বাচ্ছন্দে পরিদর্শনে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বসার জায়গার ব্যবস্থা,পর্যাপ্ত শৌচাগার নির্মাণ ও খুলনা-বেনাপোল রেলের যাত্রী পরিসেবা বৃদ্ধিতে বাড়তি বগী সংযোজনের দাবী জানাচ্ছে পর্যটকদের পক্ষ থেকে।
জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে ফুলচাষীরা গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ফুল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব আয়োজন ঘিরে কোটি কোটি টাকার ফুল বিকিকিনি হয়ে থাকে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাও স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
প্রঙ্গতঃ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত , বিভিন্ন বিদেশী কুটনীতিক, দাতা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ঝিকরগাছা গদখালীর পানিসারা এলাকার বিস্তৃীর্ণ ফুলক্ষেত বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে এসেছেন।
বা/খ; জই