ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পতন দেখতে পেয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন আ.লীগ নেতারা : মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতা থেকে পতনের ভয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, পতন যখন স্পষ্ট হয় তখন মানুষ এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে।

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া সহজ নয়’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথার আমরা জবাব দিই না। কারণ তিনি কখন কী বলেন এটা জনগণ বোঝতে পারে না। তিনি কখন কী লক্ষ্যে বলেন, কী কারণে বলেন এটা কেউ বোঝতে পারে না। তাই এসব কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কাজেই এটা প্রমাণ হবে।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কিছুদিন পূর্বে বলতেন আমরা (বিএনপি) নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না। আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন সব রকম শক্তি নিয়োগ করে আপনারা জনগণের ওপর অত্যাচার করছেন, নিপীড়ন করছেন, এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। তার অর্থই হচ্ছে, সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই। সরকার প্রমাণ করেছে, ভয় পেয়েছে, অনেক বেশি ভীতু হয়ে তারা এখন আমাদের ওপর আক্রমণ করছে।

তিনি বলেন, ১১ জানুয়ারি বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও সরকারি দলের লোকজন। হামলার পর উল্টো নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই চারদিকে হামলা-মামলা করছে। পতন কাছে চলে আসায় সরকারি দলের নেতারা উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনারা অনেক কথাই বলেন। এসব কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’ নির্বাচন ও ইভিএম নিয়ে বিএনপি কোনো কথা বলতে চায় না বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে কোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র; যে সরকারগুলো থাকে, যারা নির্বাচিত নয়, জনগণের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়। যখন জনগণ প্রতিবাদ করতে শুরু করে তখন এই ধরনের সরকারগুলো আগ্রাসী হয়, নিপীড়নমূলক হয়, নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমন করা যায় না। বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

হামলার পর উল্টো বিএনপি কর্মীদের নামেই মামলা দিচ্ছে: ফখরুল

আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সব মহানগর ও উপজেলায় বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানান মির্জা ফখরুল।

মহাসচিব বলেন, অবৈধ সংসদ বাতিল, দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্রবিরোধী সরকারের পদত্যাগ; নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও রাজবন্দীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর, ময়মনসিংহে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে গণ-অবস্থান শুরু হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ সুফি ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে ও উত্তেজনাকর স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে তারা রাজবাড়ি, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীদের মিছিলে হামলা করে। তারা অম্বিকা ময়দানে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। শুধু অম্বিকা ময়দান এলাকায় নয়, ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে। এসময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার না করে বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করে। এসময় হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

তিনি আরো বলেন, ফরিদপুরের মতো ময়মনসিংহেও পূর্বঘোষিত নগরীর হরি কিশোর রায় রোডে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে আসার সময় ময়মনসিংহ মহানগরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মিছিলকারী নেতাকর্মীদের ওপরে সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা গোলপুকুরপাড় এলাকায় গফরগাঁও উপজেলার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ ও রড দিয়ে হামলা করে। তাদের হামলায় গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির ৩ কর্মীর মাথা ফেটে যায় এবং ১২ জন আহত হয়। নগরীর জুবলীঘাট এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে আগত নেতাকর্মীদের বাস এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় হালুয়াঘাট থেকে আগত বাসে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এসময় ২ নেতাকর্মীর মাথায় সন্ত্রাসীরা রড ও হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে তাদের মাথাও ফেটে যায় এবং তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আ. লীগ একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কা‌য়েম কর‌তে চায়: ফখরুল

তিনি বলেন, ঢাকায় গণ-অবস্থানকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। ধামরাই থেকে গণ-অবস্থানে আগত নেতাকর্মীদের বহনকারী যানবাহন পুলিশ পথে আটকে ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করে। সাভার থেকে ১০ জন এবং দোহারে ২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। কেরানীগঞ্জের শুভাড্ডা ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গণ-অবস্থানে যোগ দিতে আসার সময় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা ব্যাপক হামলা করলে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। সন্ত্রাসীরা মহিলা নেত্রীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপরেও হামলা করে। ১০ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

লিখিত বক্তব্যে সর্বশেষ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকার গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সময় মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এসব হামলা-মামলা-গ্রেফতার চালিয়ে অতীতে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

পতন দেখতে পেয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন আ.লীগ নেতারা : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৭:২২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতা থেকে পতনের ভয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, পতন যখন স্পষ্ট হয় তখন মানুষ এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে।

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া সহজ নয়’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথার আমরা জবাব দিই না। কারণ তিনি কখন কী বলেন এটা জনগণ বোঝতে পারে না। তিনি কখন কী লক্ষ্যে বলেন, কী কারণে বলেন এটা কেউ বোঝতে পারে না। তাই এসব কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কাজেই এটা প্রমাণ হবে।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কিছুদিন পূর্বে বলতেন আমরা (বিএনপি) নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না। আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন সব রকম শক্তি নিয়োগ করে আপনারা জনগণের ওপর অত্যাচার করছেন, নিপীড়ন করছেন, এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। তার অর্থই হচ্ছে, সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই। সরকার প্রমাণ করেছে, ভয় পেয়েছে, অনেক বেশি ভীতু হয়ে তারা এখন আমাদের ওপর আক্রমণ করছে।

তিনি বলেন, ১১ জানুয়ারি বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও সরকারি দলের লোকজন। হামলার পর উল্টো নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই চারদিকে হামলা-মামলা করছে। পতন কাছে চলে আসায় সরকারি দলের নেতারা উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনারা অনেক কথাই বলেন। এসব কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’ নির্বাচন ও ইভিএম নিয়ে বিএনপি কোনো কথা বলতে চায় না বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে কোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র; যে সরকারগুলো থাকে, যারা নির্বাচিত নয়, জনগণের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়। যখন জনগণ প্রতিবাদ করতে শুরু করে তখন এই ধরনের সরকারগুলো আগ্রাসী হয়, নিপীড়নমূলক হয়, নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমন করা যায় না। বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

হামলার পর উল্টো বিএনপি কর্মীদের নামেই মামলা দিচ্ছে: ফখরুল

আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সব মহানগর ও উপজেলায় বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানান মির্জা ফখরুল।

মহাসচিব বলেন, অবৈধ সংসদ বাতিল, দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট, গণতন্ত্রবিরোধী সরকারের পদত্যাগ; নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও রাজবন্দীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর, ময়মনসিংহে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে গণ-অবস্থান শুরু হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ সুফি ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে ও উত্তেজনাকর স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে তারা রাজবাড়ি, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীদের মিছিলে হামলা করে। তারা অম্বিকা ময়দানে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। শুধু অম্বিকা ময়দান এলাকায় নয়, ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে। এসময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার না করে বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করে। এসময় হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

তিনি আরো বলেন, ফরিদপুরের মতো ময়মনসিংহেও পূর্বঘোষিত নগরীর হরি কিশোর রায় রোডে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে আসার সময় ময়মনসিংহ মহানগরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মিছিলকারী নেতাকর্মীদের ওপরে সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা গোলপুকুরপাড় এলাকায় গফরগাঁও উপজেলার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ ও রড দিয়ে হামলা করে। তাদের হামলায় গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির ৩ কর্মীর মাথা ফেটে যায় এবং ১২ জন আহত হয়। নগরীর জুবলীঘাট এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে আগত নেতাকর্মীদের বাস এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় হালুয়াঘাট থেকে আগত বাসে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এসময় ২ নেতাকর্মীর মাথায় সন্ত্রাসীরা রড ও হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে তাদের মাথাও ফেটে যায় এবং তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আ. লীগ একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কা‌য়েম কর‌তে চায়: ফখরুল

তিনি বলেন, ঢাকায় গণ-অবস্থানকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। ধামরাই থেকে গণ-অবস্থানে আগত নেতাকর্মীদের বহনকারী যানবাহন পুলিশ পথে আটকে ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করে। সাভার থেকে ১০ জন এবং দোহারে ২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। কেরানীগঞ্জের শুভাড্ডা ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গণ-অবস্থানে যোগ দিতে আসার সময় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা ব্যাপক হামলা করলে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। সন্ত্রাসীরা মহিলা নেত্রীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপরেও হামলা করে। ১০ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

লিখিত বক্তব্যে সর্বশেষ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকার গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সময় মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এসব হামলা-মামলা-গ্রেফতার চালিয়ে অতীতে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।