ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আজকের সেহরি ও ইফতার :: ঢাকায় সেহেরি ৪:৪৫ মি. ইফতার ৬:১২ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:০৬ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৫১ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৪৯ মি. ইফতার ৬:১৫ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৪৬ মি. ইফতার ৬:১২ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:০৬ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৪৯ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: ময়মনসিংহে মসেহেরি ৪:৪৪ মি. ইফতার ৬:১২ মি. ::::

পকেটে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট : সংসদে এমপি রহমতুল্লাহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসারী উল্লেখ করে তার পকেটে দুই কোটি ভোট আছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা-১১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট। আহলে হাদিসের প্রায় ৩০ জন এমপি আছে। অনেকে পরিচয় দেন না। আমি যেদিকে যাব, আহলে হাদিসের ভোটাররা সেদিকে যাবে।

নিজেকে আহলে হাদিসের চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) দাবি করে এমপি রহমতুল্লাহ বলেন, আমাকে সভাপতি (আহলে হাদিস) করতে চেয়েছিল। আমার অফিসে বসে কমিটি বানিয়ে দেই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। এরা কোনোদিন জামায়াত করে না। আহলে হাদিস হলো- একমাত্র আমি যেদিকে যাবো, তারাও সেদিকে থাকবে।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেনের পরে কারা পালিয়েছিল, তা মানুষ জানে। ফখরুল সাহেব, আপনি তো ধাক্কা দিয়ে মানষকে ফেলে দিতে চান।

তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তখন আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছেন। আমি ইতালি থেকে লন্ডনে যাই। রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আমাকে খবর পাঠিয়েছেন। আমাকে বললেন- রহমতুল্লাহ, ঢাকায় তো মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) নেই, আজম (মির্জা আজম), নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) নেই। আপনি না গেলে সাহারা কী কোনো লোক জোগাড় করতে পারবেন? তখন আমি ঢাকায় আসি।

রহমতুল্লাহ বলেন, যেহেতু আমি অনেস্ট (সৎ) লোক। এলাকার সব রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। উন্নয়ন করেছি। আমি এসে কেমনে কেমনে দুই লাখ লোক জোগাড় করে ফেললাম। তারপর আপাকে রিসিপশন দিলাম। আপা বললেন, এত লোক কেমনে জোগাড় করলেন? আমি বলেছিলাম, আমি এটা পারি।

তিনি বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মিনিস্টার করলো না কেন? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে মেয়র করতে চেয়েছেন, মিনিস্টার করতে চেয়েছেন।

এ পর্যায়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনার পয়েন্ট অব অর্ডারটা কী?’

জবাবে তিনি স্পষ্ট কিছু না বলে বলেন, এখানে (একটি পত্রিকায়) ফখরুল বলেছেন, এক-এগারোর পর কারা পালিয়েছিলেন মানুষ জানে। এটা তিনি আমাদেরকে মিন করেছেন। আমি পেপারটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো। আপনি পড়লে বুঝতে পারবেন।’ এরপর তিনি বক্তব্য শেষ করে বসে পড়েন।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/y32j

নিউজটি শেয়ার করুন

পকেটে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট : সংসদে এমপি রহমতুল্লাহ

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসারী উল্লেখ করে তার পকেটে দুই কোটি ভোট আছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা-১১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট। আহলে হাদিসের প্রায় ৩০ জন এমপি আছে। অনেকে পরিচয় দেন না। আমি যেদিকে যাব, আহলে হাদিসের ভোটাররা সেদিকে যাবে।

নিজেকে আহলে হাদিসের চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) দাবি করে এমপি রহমতুল্লাহ বলেন, আমাকে সভাপতি (আহলে হাদিস) করতে চেয়েছিল। আমার অফিসে বসে কমিটি বানিয়ে দেই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। এরা কোনোদিন জামায়াত করে না। আহলে হাদিস হলো- একমাত্র আমি যেদিকে যাবো, তারাও সেদিকে থাকবে।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেনের পরে কারা পালিয়েছিল, তা মানুষ জানে। ফখরুল সাহেব, আপনি তো ধাক্কা দিয়ে মানষকে ফেলে দিতে চান।

তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তখন আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছেন। আমি ইতালি থেকে লন্ডনে যাই। রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আমাকে খবর পাঠিয়েছেন। আমাকে বললেন- রহমতুল্লাহ, ঢাকায় তো মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) নেই, আজম (মির্জা আজম), নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) নেই। আপনি না গেলে সাহারা কী কোনো লোক জোগাড় করতে পারবেন? তখন আমি ঢাকায় আসি।

রহমতুল্লাহ বলেন, যেহেতু আমি অনেস্ট (সৎ) লোক। এলাকার সব রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। উন্নয়ন করেছি। আমি এসে কেমনে কেমনে দুই লাখ লোক জোগাড় করে ফেললাম। তারপর আপাকে রিসিপশন দিলাম। আপা বললেন, এত লোক কেমনে জোগাড় করলেন? আমি বলেছিলাম, আমি এটা পারি।

তিনি বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মিনিস্টার করলো না কেন? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে মেয়র করতে চেয়েছেন, মিনিস্টার করতে চেয়েছেন।

এ পর্যায়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনার পয়েন্ট অব অর্ডারটা কী?’

জবাবে তিনি স্পষ্ট কিছু না বলে বলেন, এখানে (একটি পত্রিকায়) ফখরুল বলেছেন, এক-এগারোর পর কারা পালিয়েছিলেন মানুষ জানে। এটা তিনি আমাদেরকে মিন করেছেন। আমি পেপারটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো। আপনি পড়লে বুঝতে পারবেন।’ এরপর তিনি বক্তব্য শেষ করে বসে পড়েন।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/y32j