ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তিতাসে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// মোঃ আসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি //
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে  ভূঁইয়া ও সরকার বংশের দ্বন্দ্বের জের ধরে সরকার বংশের শাহপরানের পরিত্যক্ত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ভূঁইয়া বংশের লোকজনদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন ভূঁইয়া বাড়ীর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫-১৬ বছর যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দফায় দফায় হামলা, মামলা চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল গভীর রাতে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করে এবং মাইকিং করে সরকার বংশের লোকজন। কিন্তু গভীর রাতে দ্বো-তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে একটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছে সেখানে শুধু সরকার বংশের লোকজনেরই আওয়াজ শুনা যাচ্ছে অন্য কোন লোক দেখা যাচ্ছে না। তাই অনেকেই ধারণা করছেন ভূইয়া বংশের লোকজনদের ফাঁসাতে ঘটনাটি তারাই পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে সরকার বাড়ীর মকবুল সরকার ও আউয়াল সরকার বলেন, রাত ১টার দিকে বড় বাড়ী ও ভূইয়া বাড়ীর লোকজন আমাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে চলে যায় পরে আমরা আগুনের লীলা শিখা  দেখে ডাক চিৎকার করি  আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
ভূইয়া বাড়ীর প্রবাসী শেখ সাহেব এর স্ত্রী ফজিলতের নেছা  জানান, এখানে আমাদের একটি পরিবার আতংকে বসবাস করি। আামার স্বামী ও বড় ছেলে প্রবাসে থাকে এখনো তারা প্রবাসে আছে, আমি আমার ছেলর বউ ও ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করছি, সরকার বংশের ভয়ে আতংকে থাকি  । তারা বারবার আমাদের  পরিবারের উপর হামলা চালায় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তারা কোন ঘটনা ছাড়াই কোর্টে থানায় অভিযোগ দেয়। কিন্তু এই  মিথ্যা অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি পুলিশ। আজও তারা তাদের নিজের ভাঙ্গাচুরা ঘরে আগুন লাগিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই বুঝতে পারবেন ঘটনার সময় আমরা কোথায় ছিলাম, আমরা আমাদের বিল্ডিং এর ভিতরে ছিলাম এবং তাদের হইচই শুনে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। আমি প্রশাসনের কাছে  সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের জানতে চাইলে তিনি জানান,  মসজিদের জায়গায় মসজিদ আছে, মসজিদের জায়গায় নিয়ে কোন সমস্যা নাই।  মজিব মোল্লা থেকে ৮ শাতাংশ জমি ক্রয় করেন গোলাম হোসেন। তখন মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার চতুর দিকে জায়গা থাকার কারণে ২০০৭ সালে পেনশন মামলা করেন কুমিল্লা কোর্টে। নিম্ন কোর্ট  থেকে মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে দুটি রায় দেয়া হয় । যখন দেখছে মামলার রায় মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে আসা শুরু হয় তখন গোলাম হোসেন  তার স্ত্রী সায়েলার  নামে দলিল করে দেয়। পরে সায়েলা আবার মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেয়। মামলা থাকা অবস্থায় কি ওয়াকফ করা যায় বা সঠিক কি না আমার জানা নাই। এখন মামলাটি হাইকোর্টে চলমান আছে ।
৭-৮ মাস আগে গ্রামবাসী বসে মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে এই আট শতাংশ জায়গা থেকে ৩ শতাংশ জায়গা দিয়ে দেন, আর কথা থাকে এই জায়গায় আর কারো  কোন দাবী দাওয়া থাকবে না। মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ওই ৩ শতাংশ জায়গা আমাদের কাছে বিক্রি করে, তখন আমরা গ্রামবাসীকে নিয়েই আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দেওয়াল করি এবং দোচালা টিনের ঘর করি। আমরা কোন মসজিদের জায়গা দখল করি নাই।  সরকার বাড়ীর লোকজন আমাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের মানহানী করতেছে। লাগলে মসজিদের উন্নয়ন কাজে আমরা আরো সহযোগিতা করবো।
তিতাস থানার ওসি সূধীন চন্দ্র দাস বলেন, আগুনে পোড়ার কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, যদি পাই তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিতাসে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
// মোঃ আসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি //
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে  ভূঁইয়া ও সরকার বংশের দ্বন্দ্বের জের ধরে সরকার বংশের শাহপরানের পরিত্যক্ত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ভূঁইয়া বংশের লোকজনদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন ভূঁইয়া বাড়ীর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫-১৬ বছর যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দফায় দফায় হামলা, মামলা চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল গভীর রাতে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করে এবং মাইকিং করে সরকার বংশের লোকজন। কিন্তু গভীর রাতে দ্বো-তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে একটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছে সেখানে শুধু সরকার বংশের লোকজনেরই আওয়াজ শুনা যাচ্ছে অন্য কোন লোক দেখা যাচ্ছে না। তাই অনেকেই ধারণা করছেন ভূইয়া বংশের লোকজনদের ফাঁসাতে ঘটনাটি তারাই পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে সরকার বাড়ীর মকবুল সরকার ও আউয়াল সরকার বলেন, রাত ১টার দিকে বড় বাড়ী ও ভূইয়া বাড়ীর লোকজন আমাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে চলে যায় পরে আমরা আগুনের লীলা শিখা  দেখে ডাক চিৎকার করি  আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
ভূইয়া বাড়ীর প্রবাসী শেখ সাহেব এর স্ত্রী ফজিলতের নেছা  জানান, এখানে আমাদের একটি পরিবার আতংকে বসবাস করি। আামার স্বামী ও বড় ছেলে প্রবাসে থাকে এখনো তারা প্রবাসে আছে, আমি আমার ছেলর বউ ও ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করছি, সরকার বংশের ভয়ে আতংকে থাকি  । তারা বারবার আমাদের  পরিবারের উপর হামলা চালায় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তারা কোন ঘটনা ছাড়াই কোর্টে থানায় অভিযোগ দেয়। কিন্তু এই  মিথ্যা অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি পুলিশ। আজও তারা তাদের নিজের ভাঙ্গাচুরা ঘরে আগুন লাগিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই বুঝতে পারবেন ঘটনার সময় আমরা কোথায় ছিলাম, আমরা আমাদের বিল্ডিং এর ভিতরে ছিলাম এবং তাদের হইচই শুনে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। আমি প্রশাসনের কাছে  সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের জানতে চাইলে তিনি জানান,  মসজিদের জায়গায় মসজিদ আছে, মসজিদের জায়গায় নিয়ে কোন সমস্যা নাই।  মজিব মোল্লা থেকে ৮ শাতাংশ জমি ক্রয় করেন গোলাম হোসেন। তখন মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার চতুর দিকে জায়গা থাকার কারণে ২০০৭ সালে পেনশন মামলা করেন কুমিল্লা কোর্টে। নিম্ন কোর্ট  থেকে মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে দুটি রায় দেয়া হয় । যখন দেখছে মামলার রায় মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে আসা শুরু হয় তখন গোলাম হোসেন  তার স্ত্রী সায়েলার  নামে দলিল করে দেয়। পরে সায়েলা আবার মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেয়। মামলা থাকা অবস্থায় কি ওয়াকফ করা যায় বা সঠিক কি না আমার জানা নাই। এখন মামলাটি হাইকোর্টে চলমান আছে ।
৭-৮ মাস আগে গ্রামবাসী বসে মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে এই আট শতাংশ জায়গা থেকে ৩ শতাংশ জায়গা দিয়ে দেন, আর কথা থাকে এই জায়গায় আর কারো  কোন দাবী দাওয়া থাকবে না। মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ওই ৩ শতাংশ জায়গা আমাদের কাছে বিক্রি করে, তখন আমরা গ্রামবাসীকে নিয়েই আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দেওয়াল করি এবং দোচালা টিনের ঘর করি। আমরা কোন মসজিদের জায়গা দখল করি নাই।  সরকার বাড়ীর লোকজন আমাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের মানহানী করতেছে। লাগলে মসজিদের উন্নয়ন কাজে আমরা আরো সহযোগিতা করবো।
তিতাস থানার ওসি সূধীন চন্দ্র দাস বলেন, আগুনে পোড়ার কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, যদি পাই তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।