ডিএসসিসি এলাকায় ডেঙ্গু পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে : তাপস
- আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ দাবি করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে মাত্র ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা (ডেঙ্গু) আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমরা লক্ষ করছি, এটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বাইরে এর প্রাদুর্ভাব আরো তীব্র।
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। কীটপতঙ্গের বা এডিস মশার বিবর্তিত রূপ দেখছি এবং সময়সীমার পরিবর্তন দেখছি। ডেঙ্গুর বিষয়ে পূর্বাভাস পাওয়া প্রয়োজন বলে জানান ডিএসসিসি মেয়র।
এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব নভেম্বর পর্যন্ত চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন কার্তিক মাসের শেষ দিন। এত দিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা নয়। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও এডিস মশার বিস্তার লক্ষ করছি। ফলে এডিস মশা নিধনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে।
মৌসুমের আগে-পরের কিউলেক্স মশার বিস্তারের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের আরও গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিএসসিসি মেয়র। এ ধরনের গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন। এ জন্য যদি কোনো বরাদ্দ লাগে, তাহলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা দিতে প্রস্তুত। কারণ, আমরা ঢাকাবাসীকে মশক নিয়ন্ত্রণের সুফল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ সময় আগামী বর্ষা মৌসুমেই বুড়িগঙ্গা আগের রূপে ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে নদীর যে গতিপথ তা অনেকটাই স্বাভাবিকতায় ফিরে এসেছে। আমাদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প হলো আদি বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার, পুনর্খনন করে নদীকে আবারও আগের অবস্থানে ফিরিয়ে এনে একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, নদীর বেড়িবাঁধে যে ব্লক ছিল, সেগুলো আমরা ফিরে পেয়েছি। সেখানে রাস্তার আশপাশগুলো যেভাবে দখল ছিল, সেগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। কামরাঙ্গীরচরের আশপাশে আমাদের ব্যাপক দখলমুক্ত কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বর্ষায় এই নদী অনেকটাই আগের রূপে ফিরে আসবে। পানিতে পূর্ণ, টইটম্বুর হবে নদী। আবার আগের মতো নৌকা চলবে।
আদি বুড়িগঙ্গা পুরোপুরি দখলমুক্ত করার বিষয়ে তাপস বলেন, এই প্রকল্পটি শেষ করতে দু-তিন বছর তো লাগবেই। আমরা খুব দ্রুত কাজ করছি। এর মধ্যে বড় প্রতিকূলতা হচ্ছে নদীর পলিবর্জ্য অপসারণ করা ও সেই বর্জ্যগুলো একটি নির্ধারিত জায়গায় সরিয়ে নেয়া। এর জন্য আমরা মাতুয়াইল ভাগাড় ব্যবহার করছি। এ ছাড়া বেসরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে যারা পলিবর্জ্য নিতে চাইছে, আমরা তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। যে কারণে কাজ একটু ধীরগতিতে এগোচ্ছে।