ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতিসংঘের চাপের মুখে রাশিয়া-ইরান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ব্যবহারের তদন্ত করতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ। এই তদন্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। তারা জাতিসংঘের মহাসচিবকে তদন্ত থেকে বিরত থাকতে আহ্বান করেছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনে যে ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তা ইরান থেকে এসেছে এবং রাশিয়া জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।

গত সোমবার কিয়েভে একটি হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ায় এবং পাওয়ার স্টেশনসহ অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতির পরে ড্রোনের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেন বলেন, তাদের সামরিক বাহিনী এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে ২২০টিরও বেশি ইরানি ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে আনক্রুড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) নামে পরিচিত।

এর কিছু ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। যা দেখার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ইউক্রেনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর রাশিয়ার জাতিসংঘের উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, যে অস্ত্রগুলো রাশিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল বলা হচ্ছে তা ‘ভিত্তিহীন’। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকদের দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, গুতেরেস এবং তার কর্মীদের কোনো অবৈধ তদন্তে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায়, আমাদের তাদের সঙ্গে সহযোগিতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে- ইরান রাশিয়াকে শাহেদ-১৩৬ ড্রোন কম দামে সরবরাহ করেছিল যা অবতরণের সময় বিস্ফোরিত হয়।

তেহরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তারা এই অভিযোগগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে সংলাপ এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল।

একই সময়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, যে ইউক্রেনের তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যদিও গতকাল বুধবার ইরানের জাতিসংঘের দূত আমির সাইদ ইরাভানি ড্রোন স্থানান্তরের বিষয়কে ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রমাণিত দাবি’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘের চাপের মুখে রাশিয়া-ইরান

আপডেট সময় : ১১:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ব্যবহারের তদন্ত করতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ। এই তদন্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। তারা জাতিসংঘের মহাসচিবকে তদন্ত থেকে বিরত থাকতে আহ্বান করেছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনে যে ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তা ইরান থেকে এসেছে এবং রাশিয়া জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।

গত সোমবার কিয়েভে একটি হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ায় এবং পাওয়ার স্টেশনসহ অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতির পরে ড্রোনের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেন বলেন, তাদের সামরিক বাহিনী এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে ২২০টিরও বেশি ইরানি ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে আনক্রুড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) নামে পরিচিত।

এর কিছু ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। যা দেখার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ইউক্রেনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর রাশিয়ার জাতিসংঘের উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, যে অস্ত্রগুলো রাশিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল বলা হচ্ছে তা ‘ভিত্তিহীন’। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকদের দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, গুতেরেস এবং তার কর্মীদের কোনো অবৈধ তদন্তে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায়, আমাদের তাদের সঙ্গে সহযোগিতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে- ইরান রাশিয়াকে শাহেদ-১৩৬ ড্রোন কম দামে সরবরাহ করেছিল যা অবতরণের সময় বিস্ফোরিত হয়।

তেহরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তারা এই অভিযোগগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে সংলাপ এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল।

একই সময়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, যে ইউক্রেনের তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যদিও গতকাল বুধবার ইরানের জাতিসংঘের দূত আমির সাইদ ইরাভানি ড্রোন স্থানান্তরের বিষয়কে ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রমাণিত দাবি’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।