ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ’র স্মারকলিপি প্রদান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৫৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি //

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে।
গত মঙ্গলবার বিকালে সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ । তেঁতুলিয়া উপজেলা শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি মাও.মো. বাকি বিল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রিপন এর উপস্থিতিতে উপজেলার ১৩১ জন শিক্ষক এ স্মারকলিপি প্রদান করেন । এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা স্মারক লিপিটি গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পেরণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন আশা করছি ৭ম পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের সাথে পাবলিক সেন্টিমেন্ট বা জনগনের অনুভুতি জড়িত। ইচ্ছা করলেই প্রকল্পটি বন্ধ করা যাবে না। আমার বিশ্বাস ৭ম পর্যায়ে প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার আর কোন বাঁধা থাকছে না।
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৃহৎ প্রকল্প। আর্থ সামাজিক উন্নয়নমুলক কার্যক্রম ও শিক্ষা বিস্তারের কাজে মসজিদের ইমাম সাহেবগনকে সম্পৃক্ত করার লক্ষে ১৯৯৩ সালে মসজিদ ভিত্তিক কার্য়ক্রমের আওতায় প্রাক প্রাথমিক ও ঝড়ে পড়া কিশোর কিশোরি ও অক্ষর জ্ঞানহীন বয়স্কদের জন্য মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠি ইমাম সাহেরগন এ প্রকল্পের অধীন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা বিস্তার ও কোর্স সম্পন্নকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ভুমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগি অধিকাংশই সমাজের অবহেলিত দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠি।এ সমস্ত ইমামগণের জন্য কর্মস্ংস্থান ও সাক্ষরতা হার আরো বৃদ্ধির লক্ষে ৩২ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪৪ লাখ ১০ হাজার জন শিশু শিক্ষার্থীকে অক্ষরজ্ঞানসহ নৈতিকতা শিক্ষা এবং পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে আসছে। ৪১ হাজারটি সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রের আওতায় ৫১ লাখ ৬০ হাজার জন ইস্কুলগামী শিক্ষার্থী ও ঝড়েপড়া কিশোর কিশোরীদেরকে স্বাক্ষরজ্ঞানসহ শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
স্মরকলিপিতে উল্লেখ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ প্রকল্পটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান হয়ে আসছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এ বাজেট এত দীর্ঘ সময় ধরে চলার কথা নয়। প্রকল্পটি জননন্দিত বৃহৎ প্রকল্প হওয়ায় দেশের ৬৪ টি জেলার ৫০৫ টি উপজেলায় চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের অধীন ৩২ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪১ হাজার সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র এবং ৭৬৮ টি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রসহ মোট ৭৩ হাজার ৭৬৮ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল। এ জন্য ৭ম বারের মত প্রকল্পটি চালুসহ প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত জনবলের বেতন/ সম্মানী ও ভাতা পরিশোধের প্রস্তাব দাবি করা হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রকল্পটি ৭ম পর্যায়ে অনুমোদন পাওয়ার আশা করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বা/খ: এসআর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ’র স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

// পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি //

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে।
গত মঙ্গলবার বিকালে সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ । তেঁতুলিয়া উপজেলা শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি মাও.মো. বাকি বিল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রিপন এর উপস্থিতিতে উপজেলার ১৩১ জন শিক্ষক এ স্মারকলিপি প্রদান করেন । এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা স্মারক লিপিটি গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পেরণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন আশা করছি ৭ম পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের সাথে পাবলিক সেন্টিমেন্ট বা জনগনের অনুভুতি জড়িত। ইচ্ছা করলেই প্রকল্পটি বন্ধ করা যাবে না। আমার বিশ্বাস ৭ম পর্যায়ে প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার আর কোন বাঁধা থাকছে না।
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৃহৎ প্রকল্প। আর্থ সামাজিক উন্নয়নমুলক কার্যক্রম ও শিক্ষা বিস্তারের কাজে মসজিদের ইমাম সাহেবগনকে সম্পৃক্ত করার লক্ষে ১৯৯৩ সালে মসজিদ ভিত্তিক কার্য়ক্রমের আওতায় প্রাক প্রাথমিক ও ঝড়ে পড়া কিশোর কিশোরি ও অক্ষর জ্ঞানহীন বয়স্কদের জন্য মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠি ইমাম সাহেরগন এ প্রকল্পের অধীন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা বিস্তার ও কোর্স সম্পন্নকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ভুমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগি অধিকাংশই সমাজের অবহেলিত দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠি।এ সমস্ত ইমামগণের জন্য কর্মস্ংস্থান ও সাক্ষরতা হার আরো বৃদ্ধির লক্ষে ৩২ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪৪ লাখ ১০ হাজার জন শিশু শিক্ষার্থীকে অক্ষরজ্ঞানসহ নৈতিকতা শিক্ষা এবং পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে আসছে। ৪১ হাজারটি সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রের আওতায় ৫১ লাখ ৬০ হাজার জন ইস্কুলগামী শিক্ষার্থী ও ঝড়েপড়া কিশোর কিশোরীদেরকে স্বাক্ষরজ্ঞানসহ শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
স্মরকলিপিতে উল্লেখ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ প্রকল্পটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান হয়ে আসছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এ বাজেট এত দীর্ঘ সময় ধরে চলার কথা নয়। প্রকল্পটি জননন্দিত বৃহৎ প্রকল্প হওয়ায় দেশের ৬৪ টি জেলার ৫০৫ টি উপজেলায় চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের অধীন ৩২ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪১ হাজার সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র এবং ৭৬৮ টি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রসহ মোট ৭৩ হাজার ৭৬৮ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল। এ জন্য ৭ম বারের মত প্রকল্পটি চালুসহ প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত জনবলের বেতন/ সম্মানী ও ভাতা পরিশোধের প্রস্তাব দাবি করা হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রকল্পটি ৭ম পর্যায়ে অনুমোদন পাওয়ার আশা করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বা/খ: এসআর।