চট্টগ্রামকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিলো খুলনা
- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
স্পোর্টস ডেস্ক :
টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী। আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমে মিরপুরে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান।
প্রথম শতক পেয়ে গেলো নবম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এবারের আসরের প্রথম শতক আসলো খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি রিক্রুট আজম খানের ব্যাটে। এই পাকিস্তানির শতরানের উপর ভর করে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৭৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে খুলনা।
চলমান বিপিএলে সন্ধ্যার ম্যাচ মানেই রানের ফুলঝুরি। সেই ধারা বজায় থাকলো টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনও। এদিন সন্ধ্যার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং খুলনা টাইগার্স।
টসে জিতে এদিন খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
শুরুতে খুলনার ব্যাটসম্যানদের বেশ চাপেই রেখেছিল চট্টগ্রামের বোলাররা। অবশ্য এরজন্য কৃতিত্ব দিতে হয় তামিমকে এবং চট্টগ্রামের ফিল্ডারদের। ব্যাট হাতে সংগ্রাম করা তামিমকে দুইবার জীবন দিয়েছিল চট্টগ্রামের ফিল্ডাররা।
তৃতীয় ওভারেই নিজের দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। ৫ রান করা শারজিল খানকে মিড অনে থাকা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। পরের ওভারেই হাবিবুর রহমানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আবু জায়েদ রাহী।
মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। অভিজ্ঞ তামিম ইকবালও হাতখুলে খেলতে পারছিলেন না। শুরুর দশ বলে কেবল এক রান নিতে পারেন তিনি। কিন্তু আজম খান ক্রিজে আসতেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। চট্টগ্রামের বোলারদের কেবল ছাতুপেটা করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ফিফটি করতে সময় নেন ৩৩ বল। পরের ফিফটি করতে সময় নেন মাত্র ২৪ বল।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিমকে নিয়ে ৯২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন আজম। দুইবার জীবন পাওয়া তামিম শেষ পর্যন্ত ৪০ রান করে আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে জুটিটি।
তার বিদায়ের পর যোগ্য সঙ্গী পাননি আজম। আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান আজম। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ফিফটি তুলে নেন এই ক্রিকেটার। ফিফটি স্পর্শ করার পর আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠেন আজম।
পরের পঞ্চাশ ছুঁতে খেলেন মাত্র ২৪ বল। ৫টি চার ও ৩ ছয়ে পরের পঞ্চাশ স্পর্শ করেন আজম। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৯টি চার ও ৮টি ছয়ে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন এই পাকিস্তানি। এটি এই পাকিস্তানির টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হাঁকানো প্রথম শতক।
এটি চলতি বিপিএলের প্রথম শতক কোনো ব্যাটসম্যানের। এদিকে বিপিএলের ইতিহাসে এটি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় শতক। এর আগে প্রথম বিপিএলে পাকিস্তানি হিসেবে এবং এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসের প্রথম শতক হাঁকিয়েছিলেন আহমেদ শেহজাদ।
আজম খানের এই ইনিংসের উপর ভর করে খুলনা শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। চট্টগ্রামের জিততে হলে ১৭৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে হবে।
ইয়াসির আলী ১, সাব্বির রহমান ১০ রানে ফেরেন। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। একটি করে শিকার শুভাগত হোম, ভিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত ও জিয়াউর রহমান।