ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক :

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে হট ফেবারিট ধরেছিল সবাই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে সেই তকমায় ভাটা পড়ে মেসিদের; কিন্তু সময়ের সাথে ঠিকই জ্বলে উঠেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে লিওনেল মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে আলবিসেলেস্তেদের বড় একটা ভয়ই দেখিয়েছিলেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক। তবে আর্জেন্টিনা সে ভয়, সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের পারফর্ম্যান্সে। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর ইউলিয়ান অ্যালভারেজের দারুণ দুটো গোলে জয় তুলে নিয়েছে ২-০ গোলে। তাতে গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলল আকাশি-সাদারা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় মাঠে নামে এই দু’দল। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি পেলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় লিওনেল মেসি। শেষ পর্যন্ত গোল করতে ব্যর্থ হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড। তবে বিরতিতে থেকে ফিরেই জোড়া গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটেই কর্নার আদায় করে তারা। শট কর্নার থেকে নেওয়া ক্রস থাকে হেড করতে গিয়ে বার্তোজ বেরেশিনস্কিকে ফাউল করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। ফলের গোলের সুযোগ হাত ছাড়া হয় আর্জেন্টিনার। ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে যায় পোল্যান্ড। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

ম্যাচের ৭ মিনিটে পোল্যান্ডের ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে গোলমুখে শট করেন মেসি। তবে তা সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা গোছানে আক্রমণে গেলেও তা আটকে যায় পোল্যান্ড ডিফেন্সে। ম্যাচের ১০ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে শট করেন মেসি। তবে তা আবারও আটকে দেন ওজিয়েক সিজিসনি।

ম্যাচের ১১ মিনিটে পর পর দুটি আক্রমণ করলেও তা থেকে গোল বের করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ডিফেন্স চেরা পাস দেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে তা কেউ রিসিভ করতে না পারায় কোন বিপদ হয়নি। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন মার্কোস আকুনা। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ১৯ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে হেড করেন আকুনা। তবে তা সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ২১ মিনিটে একটি কর্নার পায় পোল্যান্ড। তবে কর্নার থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ২২ মিনিটে কর্নার আদায় করে আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে কোন বিপদ ঘটাতে পারেনি তারা।

ম্যাচের ২৮ মিনিটে ম্যাচের সহজ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি পলের ক্রস থেকে শট করেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে তা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর শট করেন আকুনা। কিন্তু সেটিও চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার নেওয়া কর্নার গোলমুখ থেকে ফিরিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ফের কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। শট কর্নার থেকে বল পান মেসি। ডি বক্সের বাইর থেকে শট করেন তিনি। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বাম দিকে থেকে ক্রস করেন হুলিয়ান আলভারেজ। তার ক্রস থেকে হেড করেন মেসি। তবে তা চলে যায় বাইর দিয়ে। তবে মেসিকে ফাউল করার কারণে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মেসির নেওয়া পেনাল্টি বাম দিকে ঝাপিয়ে সেভ করেন পোলিশ গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি।

ফলে গোল বঞ্চিত থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস করেন মেসি। তবে তাতে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতি থেকেই গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টার। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় আর্জেন্টিনা। এটাই এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে হেড করেন কামিল গ্লিক। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে।

ম্যাচের ৫২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তবে শট করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর আবারও অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে হুলিয়ান আলভারেজের নেওয়া শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ডি মারিয়াক ও আকুনাকে উঠিয়ে নেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের সুযোগ পান ম্যাকএলিস্টার। তবে তার নেওয়া শট রুখে দেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে যান মেসি। ডি বক্সে ঢুকে শট করলেও তা প্রতিহত হয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। গোছানো আক্রমণে এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। তার গোলে ম্যাচে দুই গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় মেসি। বাম দিক থেকে আসা ক্রসে শট করেন মেসি। তবে তা অসাধরণে সেভ করেন ওজিয়েক সিজিসনি। এরপর খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে আনে আর্জেন্টিনা। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করতে থাকে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আক্রমণে উঠে আর্জেন্টিনা। তবে তা আটকে যায় পোলিশ ডিফেন্সে।

ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় বদলি নামা লাউতেরো মার্তিনেজ। তবে বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ট্যাগলিয়াফিকো শট গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন পোলিশ ডিফেন্ডার ফলে লিড বাড়ানো হয় না আর্জেন্টিনার। এরপর কিছু আক্রমণ করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে দুই ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলো’তে পা রাখলো আর্জেন্টিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক :

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে হট ফেবারিট ধরেছিল সবাই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে সেই তকমায় ভাটা পড়ে মেসিদের; কিন্তু সময়ের সাথে ঠিকই জ্বলে উঠেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে লিওনেল মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে আলবিসেলেস্তেদের বড় একটা ভয়ই দেখিয়েছিলেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক। তবে আর্জেন্টিনা সে ভয়, সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের পারফর্ম্যান্সে। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর ইউলিয়ান অ্যালভারেজের দারুণ দুটো গোলে জয় তুলে নিয়েছে ২-০ গোলে। তাতে গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলল আকাশি-সাদারা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় মাঠে নামে এই দু’দল। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি পেলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় লিওনেল মেসি। শেষ পর্যন্ত গোল করতে ব্যর্থ হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড। তবে বিরতিতে থেকে ফিরেই জোড়া গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটেই কর্নার আদায় করে তারা। শট কর্নার থেকে নেওয়া ক্রস থাকে হেড করতে গিয়ে বার্তোজ বেরেশিনস্কিকে ফাউল করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। ফলের গোলের সুযোগ হাত ছাড়া হয় আর্জেন্টিনার। ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে যায় পোল্যান্ড। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

ম্যাচের ৭ মিনিটে পোল্যান্ডের ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে গোলমুখে শট করেন মেসি। তবে তা সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা গোছানে আক্রমণে গেলেও তা আটকে যায় পোল্যান্ড ডিফেন্সে। ম্যাচের ১০ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে শট করেন মেসি। তবে তা আবারও আটকে দেন ওজিয়েক সিজিসনি।

ম্যাচের ১১ মিনিটে পর পর দুটি আক্রমণ করলেও তা থেকে গোল বের করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ডিফেন্স চেরা পাস দেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে তা কেউ রিসিভ করতে না পারায় কোন বিপদ হয়নি। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন মার্কোস আকুনা। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।

ম্যাচের ১৯ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে হেড করেন আকুনা। তবে তা সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ২১ মিনিটে একটি কর্নার পায় পোল্যান্ড। তবে কর্নার থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ২২ মিনিটে কর্নার আদায় করে আর্জেন্টিনা। তবে তা থেকে কোন বিপদ ঘটাতে পারেনি তারা।

ম্যাচের ২৮ মিনিটে ম্যাচের সহজ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি পলের ক্রস থেকে শট করেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে তা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর শট করেন আকুনা। কিন্তু সেটিও চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার নেওয়া কর্নার গোলমুখ থেকে ফিরিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ফের কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। শট কর্নার থেকে বল পান মেসি। ডি বক্সের বাইর থেকে শট করেন তিনি। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বাম দিকে থেকে ক্রস করেন হুলিয়ান আলভারেজ। তার ক্রস থেকে হেড করেন মেসি। তবে তা চলে যায় বাইর দিয়ে। তবে মেসিকে ফাউল করার কারণে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মেসির নেওয়া পেনাল্টি বাম দিকে ঝাপিয়ে সেভ করেন পোলিশ গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি।

ফলে গোল বঞ্চিত থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস করেন মেসি। তবে তাতে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।

বিরতি থেকেই গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টার। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় আর্জেন্টিনা। এটাই এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে হেড করেন কামিল গ্লিক। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে।

ম্যাচের ৫২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তবে শট করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর আবারও অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে হুলিয়ান আলভারেজের নেওয়া শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ডি মারিয়াক ও আকুনাকে উঠিয়ে নেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের সুযোগ পান ম্যাকএলিস্টার। তবে তার নেওয়া শট রুখে দেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে যান মেসি। ডি বক্সে ঢুকে শট করলেও তা প্রতিহত হয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। গোছানো আক্রমণে এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। তার গোলে ম্যাচে দুই গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় মেসি। বাম দিক থেকে আসা ক্রসে শট করেন মেসি। তবে তা অসাধরণে সেভ করেন ওজিয়েক সিজিসনি। এরপর খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে আনে আর্জেন্টিনা। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করতে থাকে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আক্রমণে উঠে আর্জেন্টিনা। তবে তা আটকে যায় পোলিশ ডিফেন্সে।

ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় বদলি নামা লাউতেরো মার্তিনেজ। তবে বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ট্যাগলিয়াফিকো শট গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন পোলিশ ডিফেন্ডার ফলে লিড বাড়ানো হয় না আর্জেন্টিনার। এরপর কিছু আক্রমণ করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে দুই ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলো’তে পা রাখলো আর্জেন্টিনা।