ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষক 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
কড়িগ্রামের চিলমারীতে হঠাৎ করে বেড়েছে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। পল্লি পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ভুল চিকিৎসা ও অর্থ অপচয়ের শিকার হলেও মিলছে না কোনো সমাধান। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে হঠাৎ করে গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। তবে আক্রান্তের তুলনায় কম মারা যাচ্ছে গরু। প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন খামারিরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ কৃষকের গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অনেক কে কবিরাজ ও পল্লি পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। আক্রান্ত গরুর মালিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চিকিৎসকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। নিম্নমানের ওষুধ দিয়ে খামারিদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনেক ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসার শিকার হতে হচ্ছে।
কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার ৪ টা গরু তার মধ্যে একটি খুবই অসুস্থ। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের দারা পরামর্শ নিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এময় তিনি বলেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে এসে যদি আমাদের সঠিক পরামর্শ দিতো তাহলে হয়তো আমাদের গরু গুলাকে বাঁচানো সম্ভব হইতো। তবে গত দুই সপ্তাহে রমনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা ছাববান্দ এলাকায় ২ টি গরু মারা গেছে বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিলমারীতে ৬ ইউনিয়নে আক্রান্তের সখ্যা প্রায় ২৮০- ৩০০ টি গরুর। মৃতের সংখ্যা তুুলনামূলক কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা অনেক কম। আমরা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এলাকা পরিদর্শন করে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. শাহীন আলম বলেন, খামারিদের তুলনায় প্রান্তিক কৃষকদের গরু লাম্পি স্কিন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তবে চিলমারীতে এই রোগের সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নেই। গরুর সঠিক পরিচর্যা, আক্রান্ত পশুকে মশারির ভেতর রাখা ও বাসস্থান পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। আমরা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর  রহমান বলেন, গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ পশু চিকিৎসকদের এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করতে বলা হয়েছে। ভুল ও অপচিকিৎসা দিয়ে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষক 

আপডেট সময় : ০২:২২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
// চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
কড়িগ্রামের চিলমারীতে হঠাৎ করে বেড়েছে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। পল্লি পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ভুল চিকিৎসা ও অর্থ অপচয়ের শিকার হলেও মিলছে না কোনো সমাধান। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে হঠাৎ করে গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। তবে আক্রান্তের তুলনায় কম মারা যাচ্ছে গরু। প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন খামারিরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ কৃষকের গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অনেক কে কবিরাজ ও পল্লি পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। আক্রান্ত গরুর মালিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চিকিৎসকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। নিম্নমানের ওষুধ দিয়ে খামারিদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনেক ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসার শিকার হতে হচ্ছে।
কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার ৪ টা গরু তার মধ্যে একটি খুবই অসুস্থ। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের দারা পরামর্শ নিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এময় তিনি বলেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে এসে যদি আমাদের সঠিক পরামর্শ দিতো তাহলে হয়তো আমাদের গরু গুলাকে বাঁচানো সম্ভব হইতো। তবে গত দুই সপ্তাহে রমনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা ছাববান্দ এলাকায় ২ টি গরু মারা গেছে বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিলমারীতে ৬ ইউনিয়নে আক্রান্তের সখ্যা প্রায় ২৮০- ৩০০ টি গরুর। মৃতের সংখ্যা তুুলনামূলক কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা অনেক কম। আমরা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এলাকা পরিদর্শন করে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. শাহীন আলম বলেন, খামারিদের তুলনায় প্রান্তিক কৃষকদের গরু লাম্পি স্কিন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তবে চিলমারীতে এই রোগের সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নেই। গরুর সঠিক পরিচর্যা, আক্রান্ত পশুকে মশারির ভেতর রাখা ও বাসস্থান পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। আমরা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর  রহমান বলেন, গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ পশু চিকিৎসকদের এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করতে বলা হয়েছে। ভুল ও অপচিকিৎসা দিয়ে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।