ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এবার ৩ এতিমের পাশে মামুন বিশ্বাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
জহুরুল ইসলাম :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর  উপজেলার কুঠিসাতবাড়ীয়া  গ্রামের উজ্জল হোসেন; ছোটো ছোটো তিন সন্তান ও স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য জীবিকার তাগিদে গিয়েছিলেন ঢাকায়। সেখানে শ্রম দিতে গিয়ে বস্তা মাথায় করে তিন তলা থেকে নামতে ঘাড়ে আঘাত পান। সেই আঘাতই তার জন্য কাল হয়ে ওঠে। ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই মাস আগে মা’রা যান তিনি । উজ্জ্বলের মৃত্যুতে তিন সন্তান ও স্ত্রী মুনিরা পড়ে অকুল পাথারে।  পরিবারে উপার্জন করার মত আর কেউ না থাকায় এতিম সন্তানদের ঠিক মত খাবারও দিতে পারছে না বিধবা মুনিরা। আত্মীয়-স্বজনরাও  দিনমজুরি করে কোনরকমে সংসার চালান বলে তাদের থেকেও কোন সহযোগিতা আসছেনা। এমনই এক ভয়াবহ সংকটে যখন হাবুডুবু খাচ্ছে বিধবা মুনিরা ঠিক তখনই ত্রাতা রূপে একেবারে গরু-ছাগল ও বাজার সদাই নিয়ে এতিমদের পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।
জানা যায়, সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস ওই এতিমদের দুর্দশার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন জনের নিকট থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। এর মাধ্যমে তিনি মোট ৭৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। আর এই টাকা দিয়েই এতিম ৩ সন্তানসহ পরিবারের সবার জন্য পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী কেনেন। এছাড়া বিধবা মুনিরা যেন জীবিকা করতে পারে তার জন্য একটা গরু ও তিনটি ছাগল কিনে দেয়া হয়। শুক্রবার সকালে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মামুন বিশ্বাস এসমস্ত উপহার সামগ্রী ও নগদ ৬ হাজার ৫০০ টাকা বিধবা মুনিরা ও ৩ এতিমের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস  বলেন, মানবতার টানে ছুটে চলি, চেষ্টা করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুক’ ব্যবহার করে সমাজের জন্য ভাল কিছু করার। হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার ভাল লাগে, তৃপ্তি পাই।
এসময় মামুন বিশ্বাস তার ফেসবুক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এতিম সন্তানসহ পরিবারের ৪ সদস্যের জন্য এটা সামান্য উপহার হিসেবে দিয়েছে আমার ফেসবুক বন্ধুরা। তাদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা।’
হঠাৎ এতসব উপহার পেয়ে অসহায় মুনিরা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ সন্তানকে নিয়ে আমি সমুদ্রে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। আল্লাহ ছাড়া আমার তো আর কেউ নেই। এদিকে  সন্তানদের মুখে খাবর পর্যন্ত দিতে পারছিলাম না। এই দুরাবস্থা থেকে মামুন বিশ্বাস আমাদের টেনে তুলছে।
এসময় মুনিরা মামুন বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানান এবং আল্লাহর প্রতি শুক্রিয়া জ্ঞাপন করেন।
বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

এবার ৩ এতিমের পাশে মামুন বিশ্বাস

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
জহুরুল ইসলাম :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর  উপজেলার কুঠিসাতবাড়ীয়া  গ্রামের উজ্জল হোসেন; ছোটো ছোটো তিন সন্তান ও স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য জীবিকার তাগিদে গিয়েছিলেন ঢাকায়। সেখানে শ্রম দিতে গিয়ে বস্তা মাথায় করে তিন তলা থেকে নামতে ঘাড়ে আঘাত পান। সেই আঘাতই তার জন্য কাল হয়ে ওঠে। ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই মাস আগে মা’রা যান তিনি । উজ্জ্বলের মৃত্যুতে তিন সন্তান ও স্ত্রী মুনিরা পড়ে অকুল পাথারে।  পরিবারে উপার্জন করার মত আর কেউ না থাকায় এতিম সন্তানদের ঠিক মত খাবারও দিতে পারছে না বিধবা মুনিরা। আত্মীয়-স্বজনরাও  দিনমজুরি করে কোনরকমে সংসার চালান বলে তাদের থেকেও কোন সহযোগিতা আসছেনা। এমনই এক ভয়াবহ সংকটে যখন হাবুডুবু খাচ্ছে বিধবা মুনিরা ঠিক তখনই ত্রাতা রূপে একেবারে গরু-ছাগল ও বাজার সদাই নিয়ে এতিমদের পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।
জানা যায়, সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস ওই এতিমদের দুর্দশার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন জনের নিকট থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। এর মাধ্যমে তিনি মোট ৭৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। আর এই টাকা দিয়েই এতিম ৩ সন্তানসহ পরিবারের সবার জন্য পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী কেনেন। এছাড়া বিধবা মুনিরা যেন জীবিকা করতে পারে তার জন্য একটা গরু ও তিনটি ছাগল কিনে দেয়া হয়। শুক্রবার সকালে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মামুন বিশ্বাস এসমস্ত উপহার সামগ্রী ও নগদ ৬ হাজার ৫০০ টাকা বিধবা মুনিরা ও ৩ এতিমের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস  বলেন, মানবতার টানে ছুটে চলি, চেষ্টা করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুক’ ব্যবহার করে সমাজের জন্য ভাল কিছু করার। হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার ভাল লাগে, তৃপ্তি পাই।
এসময় মামুন বিশ্বাস তার ফেসবুক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এতিম সন্তানসহ পরিবারের ৪ সদস্যের জন্য এটা সামান্য উপহার হিসেবে দিয়েছে আমার ফেসবুক বন্ধুরা। তাদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা।’
হঠাৎ এতসব উপহার পেয়ে অসহায় মুনিরা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ সন্তানকে নিয়ে আমি সমুদ্রে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। আল্লাহ ছাড়া আমার তো আর কেউ নেই। এদিকে  সন্তানদের মুখে খাবর পর্যন্ত দিতে পারছিলাম না। এই দুরাবস্থা থেকে মামুন বিশ্বাস আমাদের টেনে তুলছে।
এসময় মুনিরা মামুন বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানান এবং আল্লাহর প্রতি শুক্রিয়া জ্ঞাপন করেন।
বা/খ:জই