ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে- এমপি বাবু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :

কয়রা পাইকগাছার সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু বলেছেন, শেখ হাসিনা একজন ইসলামের খাদেম। তাঁর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ধারণ করে ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার বশীরহাট হুজুরআল্লামা রুহুলআমিন (রহঃ) এর পুণ্য স্মৃতিবিজড়িত কালনা আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৮৪ তমইসালে সওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে- এমপি বাবু

 

সাংসদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগরিত করতে ইসলামি ফাউন্ডেশনের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তেমনি তার সূযোগ্য কন্যাও আধুনিক ইসলামের বিস্তার ঘটাতে কাজ করে চলেছেন। তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়ে ইতোমধ্যে নজির সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনাই কেবলমাত্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সরকারি ভাবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৫৭৬ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। যা এদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তিনি আরও বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ ভেঙে পাকিস্থান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জামায়াত ইসলামিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করল কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কেউ প্রতিষ্ঠা করেননি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন। জেলা উপজেলায় মসজিদ মক্তব নির্মাণ করে ইমাম প্রশিক্ষকদের বেতন ভাতা অন্য কেউ দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও তাঁর সরকার দিয়েছে। ইসলামের কৃষ্টি কালচারকে এগিয়ে নিতে তিনি মসজিদের সঙ্গে সংযোজন করেছেন ইসলামি পাঠাগার, ইসলামি কালচারাল সেন্টার ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য সম্মেলন কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।

মাহফিলে আলহাজ্ব মাওঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও অত্র মাদ্রাসার সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম), জেলা পরিষদ সদস্য জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু। মাহফিলের বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ ইউনুসুর রহমান। মাহফিলে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান সারারাত ধরে কোরআন হাদীসের আলাচনা শোনেন এবং ফজরের নামায পড়ে পীর সাহেব হুজু রআলহাজ্ব মাওঃ শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইসালে সওয়াব মাহফিল শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে- এমপি বাবু

আপডেট সময় : ০৭:১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :

কয়রা পাইকগাছার সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু বলেছেন, শেখ হাসিনা একজন ইসলামের খাদেম। তাঁর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ধারণ করে ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার বশীরহাট হুজুরআল্লামা রুহুলআমিন (রহঃ) এর পুণ্য স্মৃতিবিজড়িত কালনা আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৮৪ তমইসালে সওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে- এমপি বাবু

 

সাংসদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগরিত করতে ইসলামি ফাউন্ডেশনের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তেমনি তার সূযোগ্য কন্যাও আধুনিক ইসলামের বিস্তার ঘটাতে কাজ করে চলেছেন। তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়ে ইতোমধ্যে নজির সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনাই কেবলমাত্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সরকারি ভাবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৫৭৬ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। যা এদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তিনি আরও বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ ভেঙে পাকিস্থান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জামায়াত ইসলামিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করল কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কেউ প্রতিষ্ঠা করেননি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন। জেলা উপজেলায় মসজিদ মক্তব নির্মাণ করে ইমাম প্রশিক্ষকদের বেতন ভাতা অন্য কেউ দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও তাঁর সরকার দিয়েছে। ইসলামের কৃষ্টি কালচারকে এগিয়ে নিতে তিনি মসজিদের সঙ্গে সংযোজন করেছেন ইসলামি পাঠাগার, ইসলামি কালচারাল সেন্টার ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য সম্মেলন কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।

মাহফিলে আলহাজ্ব মাওঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও অত্র মাদ্রাসার সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম), জেলা পরিষদ সদস্য জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু। মাহফিলের বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ ইউনুসুর রহমান। মাহফিলে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান সারারাত ধরে কোরআন হাদীসের আলাচনা শোনেন এবং ফজরের নামায পড়ে পীর সাহেব হুজু রআলহাজ্ব মাওঃ শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইসালে সওয়াব মাহফিল শেষ হয়।