ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আ.লীগের অবস্থান বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, জনগণের বিরুদ্ধে : মোশাররফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, তার পরিবার ও প্রতিষ্ঠিত দলকে ভয় পায়। যে কারণে তারা আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি করতে দিতে চায় না। আওয়ামী লীগের অবস্থান বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, জনগণের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ আওয়াজ তুলেছে, তারা গণতন্ত্র হত্যাকারীদের ভোট দেবে না। যারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা অর্থনীতিকে আর মেরামত করতে পারবে না। যারা দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে অনেক বড় বড় নেতা রয়েছে যার প্রশংসা করতে করতে বর্তমানে সরকার পাগল হয়ে যায়। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করেন যে নেতার জন্য এত বন্দনা তার সর্বশেষ রাজনৈতিক দর্শন কি? গণতন্ত্র হত্যা, বাকশাল প্রতিষ্ঠা; অস্বীকার করতে পারবে? এখন পদ্মা সেতু তৈরি ও যমুনা সেতু তৈরি হবে এটা নাকি তার স্বপ্ন ছিল। রাজনৈতিক দর্শন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা এসব কথা তারা বলে না, আমরাও বলতে চাই না। এসব জনগণ বিচার করবে।

পেশাজীবীদেরকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আপনাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অবদানের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রত্যাশা এ সরকারকে বিদায় করে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্মাণ করি।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে বিদায় করার জন্য আমরা ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। একটি পরিবর্তন হবে, পরিবর্তন যাতে একই রকম না হয়, যাতে একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গঠিত হয় সেজন্য রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সফল। যার কর্মজীবনের তিনটি সফলতা তাকে বিশ্লেষণ করা কঠিন। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল বিএনপি। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আর আওয়ামী লীগ হলো মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক দল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা যেখানে (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, সেখানে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরশাদ যেখানে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল সেখানে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত করেছিলেন।

যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে বিএনপি সেখানেই গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। অতএব আজকের দিনে মানুষ কিসের সঙ্গে রয়েছে? নেই গণতন্ত্র, সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অধিকার নেই, অর্থনৈতিক সংকটে দেশ।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, সাংবাদিক কবি আব্দুল হাই শিকদার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড্যাব নেতা ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, পেশাজীবী নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাসাস নেতা আশরাফ উদ্দিন উজ্জল ও ড্যাব নেতা ডা. আজিজুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগের অবস্থান বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, জনগণের বিরুদ্ধে : মোশাররফ

আপডেট সময় : ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, তার পরিবার ও প্রতিষ্ঠিত দলকে ভয় পায়। যে কারণে তারা আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি করতে দিতে চায় না। আওয়ামী লীগের অবস্থান বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, জনগণের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ আওয়াজ তুলেছে, তারা গণতন্ত্র হত্যাকারীদের ভোট দেবে না। যারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা অর্থনীতিকে আর মেরামত করতে পারবে না। যারা দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে অনেক বড় বড় নেতা রয়েছে যার প্রশংসা করতে করতে বর্তমানে সরকার পাগল হয়ে যায়। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করেন যে নেতার জন্য এত বন্দনা তার সর্বশেষ রাজনৈতিক দর্শন কি? গণতন্ত্র হত্যা, বাকশাল প্রতিষ্ঠা; অস্বীকার করতে পারবে? এখন পদ্মা সেতু তৈরি ও যমুনা সেতু তৈরি হবে এটা নাকি তার স্বপ্ন ছিল। রাজনৈতিক দর্শন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা এসব কথা তারা বলে না, আমরাও বলতে চাই না। এসব জনগণ বিচার করবে।

পেশাজীবীদেরকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আপনাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অবদানের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রত্যাশা এ সরকারকে বিদায় করে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্মাণ করি।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে বিদায় করার জন্য আমরা ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। একটি পরিবর্তন হবে, পরিবর্তন যাতে একই রকম না হয়, যাতে একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গঠিত হয় সেজন্য রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সফল। যার কর্মজীবনের তিনটি সফলতা তাকে বিশ্লেষণ করা কঠিন। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল বিএনপি। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আর আওয়ামী লীগ হলো মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক দল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা যেখানে (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, সেখানে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরশাদ যেখানে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল সেখানে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত করেছিলেন।

যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে বিএনপি সেখানেই গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। অতএব আজকের দিনে মানুষ কিসের সঙ্গে রয়েছে? নেই গণতন্ত্র, সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অধিকার নেই, অর্থনৈতিক সংকটে দেশ।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, সাংবাদিক কবি আব্দুল হাই শিকদার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড্যাব নেতা ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, পেশাজীবী নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাসাস নেতা আশরাফ উদ্দিন উজ্জল ও ড্যাব নেতা ডা. আজিজুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।