ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আর জোটেনা ঢেঁকি ছাটা চালের ভাতের স্বাধ

হাফিজার রহমান, বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৭১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বর্তমান প্রজন্ম জানে না ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত কতটা সুস্বাদু। বিগত ২৫/৩০বছর আগে প্রতিটি গ্রস্থ  বাড়ীতে ছিল ঢেঁকি বা কোটনি ঘড়। সেই ঢেঁকিতে পায়ে পারদিয়ে ধান ভাঙ্গা, হলুদ, মরিজ কোটা কাজ চলাত গ্রস্থরা। প্রতিটি বাড়ীর বৌউ ঝি ঢেঁকিতে পার দিত কেঁর কেঁর শব্দ হত আর ছন্দে ছন্দে গান গাইত। জটা, গড়বাসহ বিভিন্ন জাতের মোটা ধান ঢেঁকি ছাটা চালের সুস্বাদু ও ভিটামিন যুক্ত ভাতের স্বাধ জানে না।
অনেকে আবার গম, জও, কাউন ছোলা বুট ও মসুর ডাল সব কিছুতেই ছিল ঢেঁকি ছাটা স্বাধ সুস্বাদ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব যেন হাঁস্কর কথা মনে করে। বর্তমান ইলেকট্রিশিয়ান ও যুগের প্রযুক্তির কাছে সবিই যেন হারিয়ে গেছে। শীতের সময় জামাই মেয়েসহ নতুন চালের পিঠা, রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যেত। এখন আর চখে পড়েনা সেই দিনের ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত ও পিঠা বানানো ধুম।
এব্যপারে পুখুরিয়া গ্রামের ৭৫ বছরের জায়দা বেগম ও খোতেজা বেওয়া বলেন, আমাদের সময় ঢেঁকি দিয়ে  ধান বানা, আটা কোটা হত প্রতিটি বাড়ীতে। কোথায় গেল সেই দিনের কথা। প্রতি বছর শীতের সময় ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, রসালো পিঠসহ বিভিন্ন পিঠা বানানো ধুম পড়ে যেত। আত্মীয় স্বজনরা আসত বাড়ীতে উৎসবমুখী হত সবাই। আগের সেই সব দিন শুধু মনেই রয়ে আছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

আর জোটেনা ঢেঁকি ছাটা চালের ভাতের স্বাধ

আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
বর্তমান প্রজন্ম জানে না ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত কতটা সুস্বাদু। বিগত ২৫/৩০বছর আগে প্রতিটি গ্রস্থ  বাড়ীতে ছিল ঢেঁকি বা কোটনি ঘড়। সেই ঢেঁকিতে পায়ে পারদিয়ে ধান ভাঙ্গা, হলুদ, মরিজ কোটা কাজ চলাত গ্রস্থরা। প্রতিটি বাড়ীর বৌউ ঝি ঢেঁকিতে পার দিত কেঁর কেঁর শব্দ হত আর ছন্দে ছন্দে গান গাইত। জটা, গড়বাসহ বিভিন্ন জাতের মোটা ধান ঢেঁকি ছাটা চালের সুস্বাদু ও ভিটামিন যুক্ত ভাতের স্বাধ জানে না।
অনেকে আবার গম, জও, কাউন ছোলা বুট ও মসুর ডাল সব কিছুতেই ছিল ঢেঁকি ছাটা স্বাধ সুস্বাদ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব যেন হাঁস্কর কথা মনে করে। বর্তমান ইলেকট্রিশিয়ান ও যুগের প্রযুক্তির কাছে সবিই যেন হারিয়ে গেছে। শীতের সময় জামাই মেয়েসহ নতুন চালের পিঠা, রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যেত। এখন আর চখে পড়েনা সেই দিনের ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত ও পিঠা বানানো ধুম।
এব্যপারে পুখুরিয়া গ্রামের ৭৫ বছরের জায়দা বেগম ও খোতেজা বেওয়া বলেন, আমাদের সময় ঢেঁকি দিয়ে  ধান বানা, আটা কোটা হত প্রতিটি বাড়ীতে। কোথায় গেল সেই দিনের কথা। প্রতি বছর শীতের সময় ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, রসালো পিঠসহ বিভিন্ন পিঠা বানানো ধুম পড়ে যেত। আত্মীয় স্বজনরা আসত বাড়ীতে উৎসবমুখী হত সবাই। আগের সেই সব দিন শুধু মনেই রয়ে আছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
বাখ//আর