ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে

এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মা মাছ। মঙ্গলবার (৭মে) সকাল ৬টার দিকে হালদা নদীর মদুনাঘাট চইল্যখালী, কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, সিপাহির ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, আমতুয়াসহ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট নমুনা ডিম পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। অপরদিকে, ডিম সংগ্রহকারীদের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন। তাদের দাবি হালদায় পূর্ণাঙ্গ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এর আগে রোববার-সোমবার টানা বৃষ্টিপাত হলে হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা বাড়লে মঙ্গলবার ভোর সকালে ডিম ছাড়ে মা মাছ। তবে কালবৈশাখীর তান্ডবে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশে গাছের ডাল-পালা পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। পড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। এতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হালদায় ডিম ছাড়ার সংবাদটি অনেকেই পায়নি। তাই নদীতে ডিম সংগ্রহকারী উপস্থিতি কম দেখা যায়।
উরকিরচর মইশকরম এলাকার ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরঞ্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ ও সুনিল দাশ তারা বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬ টার সময় ভাঁটার শেষে দিকে হালদা নদীর মদুনাঘাট চইল্যাখালী এলাকায় ডিম ছাড়লে ১১টি নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করেছি। প্রতিটি নৌকায় গড়ে ২ থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন।
কাগতিয়ার আজিমের ঘাট এলাকার ডিম সংহগ্রকারী ফোরকান বলেন, ভোর সকালে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়লে ৫টি নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করি। ৫টি নৌকায় ৫ বালতি ডিম পেয়েছি। ডিম সংগ্রহকারী হরিরঞ্জন দাশ বলেন, ভোরের দিকে কিছু ডিম পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ২-৩ বালতি মত ডিম পেয়েছি। গতকাল বৃষ্টি হওয়ার ফলে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মা মাছ ডিম ছাড়তে অনুকূল পরিবেশ পায়নি। রাতের জোয়ার শেষে ভাটায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে।
হালদা গবেষক, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বাংলা খবর বিডি’কে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় মা মাছ। তবে গত সোমবার বজ্রপাতসহ ব্যাপক বৃষ্টি হলে হালদায় পাহাড়ি ঢল প্রবেশ করলে ডিম ছাড়ার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।ডিম সংগ্রহকারীরা জাল আর নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন। চলতি মাসের ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় কার্প জাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা  মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান, প্রাথমিকভাবে হালদায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। তবে ডিমের পরিমানে একটু বেশি। রাতে বজ্রপাতসহ পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মা মাছ। মঙ্গলবার (৭মে) সকাল ৬টার দিকে হালদা নদীর মদুনাঘাট চইল্যখালী, কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, সিপাহির ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, আমতুয়াসহ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট নমুনা ডিম পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। অপরদিকে, ডিম সংগ্রহকারীদের বক্তব্য একেবারে ভিন্ন। তাদের দাবি হালদায় পূর্ণাঙ্গ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এর আগে রোববার-সোমবার টানা বৃষ্টিপাত হলে হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা বাড়লে মঙ্গলবার ভোর সকালে ডিম ছাড়ে মা মাছ। তবে কালবৈশাখীর তান্ডবে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশে গাছের ডাল-পালা পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। পড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। এতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হালদায় ডিম ছাড়ার সংবাদটি অনেকেই পায়নি। তাই নদীতে ডিম সংগ্রহকারী উপস্থিতি কম দেখা যায়।
উরকিরচর মইশকরম এলাকার ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরঞ্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ ও সুনিল দাশ তারা বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬ টার সময় ভাঁটার শেষে দিকে হালদা নদীর মদুনাঘাট চইল্যাখালী এলাকায় ডিম ছাড়লে ১১টি নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করেছি। প্রতিটি নৌকায় গড়ে ২ থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন।
কাগতিয়ার আজিমের ঘাট এলাকার ডিম সংহগ্রকারী ফোরকান বলেন, ভোর সকালে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়লে ৫টি নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করি। ৫টি নৌকায় ৫ বালতি ডিম পেয়েছি। ডিম সংগ্রহকারী হরিরঞ্জন দাশ বলেন, ভোরের দিকে কিছু ডিম পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ২-৩ বালতি মত ডিম পেয়েছি। গতকাল বৃষ্টি হওয়ার ফলে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মা মাছ ডিম ছাড়তে অনুকূল পরিবেশ পায়নি। রাতের জোয়ার শেষে ভাটায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে।
হালদা গবেষক, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বাংলা খবর বিডি’কে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় মা মাছ। তবে গত সোমবার বজ্রপাতসহ ব্যাপক বৃষ্টি হলে হালদায় পাহাড়ি ঢল প্রবেশ করলে ডিম ছাড়ার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।ডিম সংগ্রহকারীরা জাল আর নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন। চলতি মাসের ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় কার্প জাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা  মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান, প্রাথমিকভাবে হালদায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। তবে ডিমের পরিমানে একটু বেশি। রাতে বজ্রপাতসহ পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।