ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীতে জরাজীর্ণ টিন : রাতে পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা

হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মাছ

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। মঙ্গলবার সকালে ভাটা ও দুপুর জোয়ারের সময় নদীর কয়েকটি পয়েন্টে নৌকা প্রতি ৫০০/৬০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন। সংগ্রহকারীরা এটাকে নমুনা ডিম বলে উল্লেখ করলেও পরিবেশ পেলে রাতে পুরোদমে ছাড়তে পারে বলে জানান তারা। তবে নদীতে জাল, বাঁশের ভোরকা, বালতিসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতেই অবস্থান করবেন কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী।
মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে ডিম সংগ্রহকারী মোঃ হোছেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে ৬ টার দিকে মদুনাঘাট ফাঁড়ির মুখে কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী অল্প পরিমান ডিম সংগ্রহ করে। খবর পেয়ে শতাধিক নদীতে নামলেও আর পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরে জোয়ারের সময় কাটাখালী মুখসহ কয়েকটি পয়েন্টে আবারো নমুনা ডিম পাওয়া যায়। তবে পরিমান সকালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে। ডিম সংগ্রহকারী শফিক, আব্দুল কাদের, সোহেল, আব্দুল কাইয়ুম, দুলাল জানান, যদি আজ (মঙ্গলবার) সোমবারের মত বজ্রসহ বৃষ্টি হয় উজানের পানি নামে তাহলে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিতে পারে।
এদিকে সকাল ৬ টার দিকে হালদানদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ এবং সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছেন বলে জানায় হালদা গবেষক ড. মো.শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ৬ মে  থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। নিউজটি করা অব্দি নদীতে হাটহাজারী ও রাউজানের কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী নদীতে ডিম সংগ্রহ করছেন। তবে ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম সংগ্রহের পর পাঁকা ও মাটির কুয়ায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে উৎপাদিত রেণুর পরিমানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। সরকারিভাবে হ্যাচারীর তথ্য পাওয়া গেলেও বেসরকারিভাবে সঠিক পরিমান পাওয়া যায় না। ডিম ও রেণুর পরিমান নির্ধারনকল্পে মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে যে তথ্য দেয়া হয় প্রকৃত ডিম সংগ্রহকারীদের তথ্যের সাথে অমিল পাওয়া যায়।
দেখা যায়, সরকারিভাবে হ্যাচারীর কুয়ার চেয়ে বেসরকারিভাবে মাটির কুয়াকে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। ডিম ও রেণুর পরিমান সঠিক নির্ধারনে অনেকেই কমিটিতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের রাখার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে মাছুয়াঘোনা হ্যাচারি, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট হ্যাচারীর কুয়া কোনমতে সংস্কার হলেও সবচেয়ে বেশি ডিম সংগ্রহকারীর ভিড় মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীর জরাজীর্ণ টিন পরিবর্তন করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনের অনেক জায়গায় ছোটবড় ফুটোর সৃষ্টি হয়েছে। ডিম সংগ্রহকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে সরকার হালদাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে মৌসুমের আগে ডিম থেকে রেণু উৎপাদনের হ্যাচারিগুলো সংস্কার হয় ধীরগতিতে। তাও জোঁ চলাবস্থায়। বার বার বলার পরও হ্যাচারীর জরাজীর্ণ টিন পরিবর্তন করা হয়নি।
জানতে চাইলে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক মায়েদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে পিডি স্যারের সাথে কথা হয়েছিল তিনি বলেছেন এ বছর বরাদ্দ নেই আগামি বছর নতুন প্রকল্পে কাজ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীতে জরাজীর্ণ টিন : রাতে পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা

হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মাছ

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। মঙ্গলবার সকালে ভাটা ও দুপুর জোয়ারের সময় নদীর কয়েকটি পয়েন্টে নৌকা প্রতি ৫০০/৬০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন। সংগ্রহকারীরা এটাকে নমুনা ডিম বলে উল্লেখ করলেও পরিবেশ পেলে রাতে পুরোদমে ছাড়তে পারে বলে জানান তারা। তবে নদীতে জাল, বাঁশের ভোরকা, বালতিসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতেই অবস্থান করবেন কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী।
মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে ডিম সংগ্রহকারী মোঃ হোছেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে ৬ টার দিকে মদুনাঘাট ফাঁড়ির মুখে কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী অল্প পরিমান ডিম সংগ্রহ করে। খবর পেয়ে শতাধিক নদীতে নামলেও আর পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরে জোয়ারের সময় কাটাখালী মুখসহ কয়েকটি পয়েন্টে আবারো নমুনা ডিম পাওয়া যায়। তবে পরিমান সকালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে। ডিম সংগ্রহকারী শফিক, আব্দুল কাদের, সোহেল, আব্দুল কাইয়ুম, দুলাল জানান, যদি আজ (মঙ্গলবার) সোমবারের মত বজ্রসহ বৃষ্টি হয় উজানের পানি নামে তাহলে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিতে পারে।
এদিকে সকাল ৬ টার দিকে হালদানদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ এবং সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছেন বলে জানায় হালদা গবেষক ড. মো.শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ৬ মে  থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। নিউজটি করা অব্দি নদীতে হাটহাজারী ও রাউজানের কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী নদীতে ডিম সংগ্রহ করছেন। তবে ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম সংগ্রহের পর পাঁকা ও মাটির কুয়ায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে উৎপাদিত রেণুর পরিমানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। সরকারিভাবে হ্যাচারীর তথ্য পাওয়া গেলেও বেসরকারিভাবে সঠিক পরিমান পাওয়া যায় না। ডিম ও রেণুর পরিমান নির্ধারনকল্পে মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে যে তথ্য দেয়া হয় প্রকৃত ডিম সংগ্রহকারীদের তথ্যের সাথে অমিল পাওয়া যায়।
দেখা যায়, সরকারিভাবে হ্যাচারীর কুয়ার চেয়ে বেসরকারিভাবে মাটির কুয়াকে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। ডিম ও রেণুর পরিমান সঠিক নির্ধারনে অনেকেই কমিটিতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের রাখার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে মাছুয়াঘোনা হ্যাচারি, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট হ্যাচারীর কুয়া কোনমতে সংস্কার হলেও সবচেয়ে বেশি ডিম সংগ্রহকারীর ভিড় মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীর জরাজীর্ণ টিন পরিবর্তন করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনের অনেক জায়গায় ছোটবড় ফুটোর সৃষ্টি হয়েছে। ডিম সংগ্রহকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে সরকার হালদাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে মৌসুমের আগে ডিম থেকে রেণু উৎপাদনের হ্যাচারিগুলো সংস্কার হয় ধীরগতিতে। তাও জোঁ চলাবস্থায়। বার বার বলার পরও হ্যাচারীর জরাজীর্ণ টিন পরিবর্তন করা হয়নি।
জানতে চাইলে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক মায়েদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে পিডি স্যারের সাথে কথা হয়েছিল তিনি বলেছেন এ বছর বরাদ্দ নেই আগামি বছর নতুন প্রকল্পে কাজ করা হবে।