ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে গাজার ৩ লাখ মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা। এমন অবস্থায় দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন উত্তর গাজার ৩ লাখ মানুষ। তাইতো জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি)।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আইপিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন উত্তরাঅঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করা না হলে সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু আসন্ন।

আইপিসি বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশের ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ের খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। কোনো অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে থাকলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। আর গাজার উত্তরাঞ্চলে সেই অবস্থার ৩ গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন।

গাজায় ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতিতে রয়েছে এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই আইপিসির কাছে। সংস্থাটির অনুমান, দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি আর বিভিন্ন রোগে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে ২ জন মারা যায়।

আইপিসি মনে করছে, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন তার মধ্যে গাজার সমগ্র জনসংখ্যার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশের পাশাপাশি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় হামলা টানা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় ৩১ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হামলার পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে গাজার ৩ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা। এমন অবস্থায় দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন উত্তর গাজার ৩ লাখ মানুষ। তাইতো জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি)।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আইপিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন উত্তরাঅঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করা না হলে সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু আসন্ন।

আইপিসি বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশের ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ের খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। কোনো অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে থাকলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। আর গাজার উত্তরাঞ্চলে সেই অবস্থার ৩ গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন।

গাজায় ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতিতে রয়েছে এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই আইপিসির কাছে। সংস্থাটির অনুমান, দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি আর বিভিন্ন রোগে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে ২ জন মারা যায়।

আইপিসি মনে করছে, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন তার মধ্যে গাজার সমগ্র জনসংখ্যার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশের পাশাপাশি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় হামলা টানা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় ৩১ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হামলার পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।