ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেবো না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সীমান্ত পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। সেখানে অনেক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা কাউকে ঢুকতে দেবো না। মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে শূন্যরেখার প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা আসার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা কাউকে ঢুকতে দেবো না। জিরো লাইনে যে মারামারি হচ্ছে সেটির ভয়ে ও আতঙ্কে অনেকে ছোটাছুটি করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বরাবরই বলে আসছে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি-সংঘাতের কারণে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ছেড়ে হাজারো রোহিঙ্গা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠসহ আশপাশের পাহাড়ুজঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।

মোমেন বলেন, আমাদের জেনারেল প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, আমরা আর নতুন কাউকে নেব না। শূন্য লাইনে মারামারি চলছে দুইটা দলের মধ্যে। দুইটাই মিয়ানমারের। সিচুয়েশন ইজ নট ভেরি গুড। কারণ ওখানে বাড়িঘর অনেক জ্বালিয়ে দিয়েছে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়ান জাহাজ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। আমরা শুধু জানি, সেটি ছিল একটি নিষিদ্ধ জাহাজ, সেজন্য আমরা সেটিকে আমাদের বন্দরে ভিড়তে দিইনি। এরপর কোথায় গেলো সেটি আমরা জানি না।

সম্প্রতি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি-সংঘাতের সময় আগুন দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর শূন্যরেখায় বসবাস করা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ পালিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নেয়। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে হাজারো রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের তাঁবুতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেবো না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সীমান্ত পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। সেখানে অনেক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা কাউকে ঢুকতে দেবো না। মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে শূন্যরেখার প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা আসার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা কাউকে ঢুকতে দেবো না। জিরো লাইনে যে মারামারি হচ্ছে সেটির ভয়ে ও আতঙ্কে অনেকে ছোটাছুটি করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বরাবরই বলে আসছে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি-সংঘাতের কারণে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ছেড়ে হাজারো রোহিঙ্গা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠসহ আশপাশের পাহাড়ুজঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।

মোমেন বলেন, আমাদের জেনারেল প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, আমরা আর নতুন কাউকে নেব না। শূন্য লাইনে মারামারি চলছে দুইটা দলের মধ্যে। দুইটাই মিয়ানমারের। সিচুয়েশন ইজ নট ভেরি গুড। কারণ ওখানে বাড়িঘর অনেক জ্বালিয়ে দিয়েছে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়ান জাহাজ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। আমরা শুধু জানি, সেটি ছিল একটি নিষিদ্ধ জাহাজ, সেজন্য আমরা সেটিকে আমাদের বন্দরে ভিড়তে দিইনি। এরপর কোথায় গেলো সেটি আমরা জানি না।

সম্প্রতি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি-সংঘাতের সময় আগুন দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর শূন্যরেখায় বসবাস করা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ পালিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নেয়। তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে হাজারো রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের তাঁবুতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।