পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
পাইকগাছায় সাংবাদিক সেকেন্দার বাদী হয়ে ডাক্তার দম্পতিসহ তাদের গুন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা চেষ্টা, মারপিট, চুরি ও ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগে ৫জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলার আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা: মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুপস্থিত থাকায় সেখানকার আয়া ডাক্তারের চেয়ারে বসে রোগী দেখে ও ঔষধ দিতে থাকে। খবর পেয়ে সাংবাদিক আব্দুল মজিদ বিষয়টি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান নিতীশ গোলদারকে অবগত করেন। তিনি ঘটনার ছবি তুলে তাকে দিতে বলেন। তাৎক্ষনিক আব্দুল মজিদ ঘটনার ছবি তুলে হাসপাতালের প্রধান নিতীশ গোলদারকে পাঠান। এ খবর জানাজানি হলে ডা: মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, তার স্ত্রী ও তার সঙ্গীরা সাংবাদিক মজিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরদিন ডাক্তার দম্পতি মজিদকে পেয়ে মারপিট করে ও ভয়-ভীতি দেখায়। আব্দুল মজিদ বিষয়টি মামলার বাদী সেকেন্দারসহ অপর সহকর্মীদের অবগত করেন। সর্বশেষ ২১জানুয়ারি বাদী সাংবাদিক সেকেন্দার আলীসহ অপর সাংবাদিকরা ডা: মামুনের কাছে ঘটনার কারন জানতে চান। ঘটনাস্থলে গেলে মামলার আসামীরা সাংবাদিকদের মারপিট, হত্যা চেষ্টা, ভিডিও ক্যামেরা, মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে। পরে আহত সাংবাদিক মজিদ পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অতঃপর এ বিষয়ে পাইকগাছা থানায় এজহার দাখিল করেন। থানা পুলিশ এজহার নিতে অস্বীকার করেন। তাই ২৪ জানুয়ারি বাদী আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় পাইকগাছায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন ঘটনাটি মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে খড়গহস্ত। তাই সরকারের কাছে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বা/খ: জই