ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কোথায় আঘাত হানতে পারে জানা গেল পূর্বাভাসে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)। সংস্থাটি জানিয়েছিল, ‘সিত্রাং’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি ২২ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এবং লন্ডভন্ড করে দিতে পারে উপকূল।

তবে গত বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে জিএফএস জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরইমধ্যে আজ শুক্রবার স্থলভাগের কোনো কোনো এলাকায় আঘাত হানতে পারে সেই পূর্বাভাস দিয়েছে জিএফএস।

আজ শুক্রবার দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান-নিকোবার দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিমদিকে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হানবে। কিন্তু এটি যদি আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় এগিয়ে যায় এবং স্থলভাবে আঘাত হানে তবে সেটি অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি নির্ভর করবে এটি বাংলাদেশ নাকি ভারতের উপকূলে আঘাত করছে তার ওপর।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে সর্বশেষ পূর্বাভাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের দুটি, কানাডা, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১টি করে) ভিন্ন ভিন্ন ৫টি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর সবাই একমত হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্তমানে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সেটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২২ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি কোনো উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।

গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মডেলগুলোর পূর্বাভাস নিয়মিত পরিবর্তন হতেই থাকবে। এমনকি এটি স্থলভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্তও আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা খুবই কঠিন। অর্থাৎ এটি আসলে কতটা শক্তিশালী ঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে সেটি বলার সময় এখনও আসেনি। তবে ঝড়টির শক্তি কম নির্দেশ করছে সেটি অবশ্যই ভালো খবর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কোথায় আঘাত হানতে পারে জানা গেল পূর্বাভাসে

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)। সংস্থাটি জানিয়েছিল, ‘সিত্রাং’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি ২২ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এবং লন্ডভন্ড করে দিতে পারে উপকূল।

তবে গত বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে জিএফএস জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরইমধ্যে আজ শুক্রবার স্থলভাগের কোনো কোনো এলাকায় আঘাত হানতে পারে সেই পূর্বাভাস দিয়েছে জিএফএস।

আজ শুক্রবার দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান-নিকোবার দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিমদিকে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হানবে। কিন্তু এটি যদি আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় এগিয়ে যায় এবং স্থলভাবে আঘাত হানে তবে সেটি অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি নির্ভর করবে এটি বাংলাদেশ নাকি ভারতের উপকূলে আঘাত করছে তার ওপর।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে সর্বশেষ পূর্বাভাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের দুটি, কানাডা, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১টি করে) ভিন্ন ভিন্ন ৫টি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর সবাই একমত হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্তমানে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সেটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২২ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি কোনো উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।

গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মডেলগুলোর পূর্বাভাস নিয়মিত পরিবর্তন হতেই থাকবে। এমনকি এটি স্থলভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্তও আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা খুবই কঠিন। অর্থাৎ এটি আসলে কতটা শক্তিশালী ঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে সেটি বলার সময় এখনও আসেনি। তবে ঝড়টির শক্তি কম নির্দেশ করছে সেটি অবশ্যই ভালো খবর।