পাচারের টাকা ফেরাতে ও পাচারকারীর তথ্য পেতে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সদস্য হতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার কমিশনার জহুরুল হক বলেন, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোব ফিন্যানসিয়াল ইনটিগ্রিটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বছরে অন্তত ৬৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। এ নিয়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান করে কূল কিনারা পায়নি দুদক।
কারণ দুদক গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছে, শুধু বাংলাদেশ ফিন্যানসিয়াল ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছ থেকে। তার ওপর ভিত্তি করে মিউচুয়াল লিগ্যাল রিকোয়েস্ট করে পাচারের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্যই গ্লোব নেটওয়ার্কের সদস্য হওয়ার তাগিদ দিয়েছে দুদক। বিশ্বের ৭২টি দেশের ১৩২ কর্তৃপক্ষের সদস্য।
জহুরুল হক আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে বেশি টাকা পাচার হয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও মধ্যপ্রাচ্যে। এরা সবাই গ্লোব নেটওয়ার্কের সদস্য।
দুদকের আবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুমোদন করলে দ্রুত গ্লোব নেটওয়ার্কের সদস্য হওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।