মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কয়লা সংকটে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ৫ দিন ধরে বন্ধ কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর দেশের ৫ বিভাগসহ ১১ অঞ্চলে তাপদাহ ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন হাসিনা ও মোদি: দ্য ইকনোমিস্ট নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টানাপড়েন হলে আলোচনায় সমাধান: আইনমন্ত্রী সরকারের সুর নরম হয়েছে: ফখরুল ভাঙছে মেয়েদের সাফজয়ী দল আফগান সিরিজের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত, নেই রিয়াদ মাগুরায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবী করা চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২ নারী মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার মা’র জানাজায় মির্জা আজম মহিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে আ.লীগের সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন  গলাচিপায় প্রবীণ শিক্ষকের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক ঝিকরগাছায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

খরায় দগ্ধ বৃষ্টিতে ভেজে : ওদের দুঃখ কেউ না দেখে!

// ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
‘রাতে ভাঙা ঘরের চাল দিয়ে দেখা যায় আকাশ ও চাঁদ। খরায় দগ্ধ হয়ে ঘাম ঝড়িয়ে চিন্তার রেখা দেখা দেয় ওদের ভালে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে একাকার হওয়াটা যেন নিত্যসঙ্গী ওদের!’
নাম ছবুরা বেগম। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। চোখে দেখতে পান না তিনি। একসময় ঠিকই দেখতেন কিন্তু সন্তান জন্মের পর আস্তে আস্তে নিভে যায় চোখের আলো। এখন তিনি অন্ধ। বিয়ে হয়েছিলো দিনমজুর শাহজামাল ইসলামের সাথে। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহজামাল এক সময় কাজের সন্ধানে ছুঁটে চলতেন এক শহর থেকে আরেক শহর। কিন্তু হঠাৎ অঙ্গ বিকল হয়ে যায় (প্যারালাইসড)।
অন্ধ আর অক্ষম দম্পতির জীবন এখন বির্বণ। বড় ছেলে লিটন বিয়ে করে সংসার পেতেছে আলাদা ভাবে; অনটনের কারণে নেয় না মা-বাবার খবর। মা বাবা ছোট মেয়ে রুমানাকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করালেও পেটে ভাতের সংকটে পাঠ চুকেছে তার। আরেক ছেলে এরশাদুল এখনো ছোট।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের হাজীপাড়া মুদাফৎকালীকাপুর এলাকায় অন্যের জায়গায় ভাঙা ঘরে দিনাতিপাত করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম আর তার শক্তি স্বার্মথহীন স্বামী শাহজামাল।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম বলেন, “কর্ম-হাজ করার হারিনে। বেডিডের টেহার জন্যি পড়ানেহা করবার পারি নেই। পড়ানেহা বাদ দিয়ে দিছি। দুইডে ব্যাডা আছিল। বড়ডা আলদা হয়ে গেছে গা। বউয়ের কতা হনে আলদা হয়ে গেছে গা। ঘরে খাম নাই। আইতে তুফান আইছিলে ডরাই। ঘর কাঁপে, দেহেন না ভাঙাচুড়া ঘর। আরেকটা সমস্যা মাইনসের জায়গায় থাকি, গাছ তলায় থাকি। স্বামী তো হাটপের পারে না।”
প্রতিবেশী রোকসানা বেগম বলেন, “আমরা গ্রামবাসিরাই ওদের কষ্ট দেখে বিভিন্ন সময় সহযোগীতা করি। তা না হলে আরও কষ্টে থাকতে হতো ওদের। একটি হুইল চেয়ার আর একটি থাকার মতো ঘর দিলে অনেকটা কষ্ট কমে যেতো।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথা বলে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবো। আর এই সময় চর ডিজাইনের ঘর নেই। এখন ঘর দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *