ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

খরায় দগ্ধ বৃষ্টিতে ভেজে : ওদের দুঃখ কেউ না দেখে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
‘রাতে ভাঙা ঘরের চাল দিয়ে দেখা যায় আকাশ ও চাঁদ। খরায় দগ্ধ হয়ে ঘাম ঝড়িয়ে চিন্তার রেখা দেখা দেয় ওদের ভালে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে একাকার হওয়াটা যেন নিত্যসঙ্গী ওদের!’
নাম ছবুরা বেগম। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। চোখে দেখতে পান না তিনি। একসময় ঠিকই দেখতেন কিন্তু সন্তান জন্মের পর আস্তে আস্তে নিভে যায় চোখের আলো। এখন তিনি অন্ধ। বিয়ে হয়েছিলো দিনমজুর শাহজামাল ইসলামের সাথে। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহজামাল এক সময় কাজের সন্ধানে ছুঁটে চলতেন এক শহর থেকে আরেক শহর। কিন্তু হঠাৎ অঙ্গ বিকল হয়ে যায় (প্যারালাইসড)।
অন্ধ আর অক্ষম দম্পতির জীবন এখন বির্বণ। বড় ছেলে লিটন বিয়ে করে সংসার পেতেছে আলাদা ভাবে; অনটনের কারণে নেয় না মা-বাবার খবর। মা বাবা ছোট মেয়ে রুমানাকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করালেও পেটে ভাতের সংকটে পাঠ চুকেছে তার। আরেক ছেলে এরশাদুল এখনো ছোট।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের হাজীপাড়া মুদাফৎকালীকাপুর এলাকায় অন্যের জায়গায় ভাঙা ঘরে দিনাতিপাত করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম আর তার শক্তি স্বার্মথহীন স্বামী শাহজামাল।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম বলেন, “কর্ম-হাজ করার হারিনে। বেডিডের টেহার জন্যি পড়ানেহা করবার পারি নেই। পড়ানেহা বাদ দিয়ে দিছি। দুইডে ব্যাডা আছিল। বড়ডা আলদা হয়ে গেছে গা। বউয়ের কতা হনে আলদা হয়ে গেছে গা। ঘরে খাম নাই। আইতে তুফান আইছিলে ডরাই। ঘর কাঁপে, দেহেন না ভাঙাচুড়া ঘর। আরেকটা সমস্যা মাইনসের জায়গায় থাকি, গাছ তলায় থাকি। স্বামী তো হাটপের পারে না।”
প্রতিবেশী রোকসানা বেগম বলেন, “আমরা গ্রামবাসিরাই ওদের কষ্ট দেখে বিভিন্ন সময় সহযোগীতা করি। তা না হলে আরও কষ্টে থাকতে হতো ওদের। একটি হুইল চেয়ার আর একটি থাকার মতো ঘর দিলে অনেকটা কষ্ট কমে যেতো।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথা বলে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবো। আর এই সময় চর ডিজাইনের ঘর নেই। এখন ঘর দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো।
The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5ak8

নিউজটি শেয়ার করুন

খরায় দগ্ধ বৃষ্টিতে ভেজে : ওদের দুঃখ কেউ না দেখে!

আপডেট সময় : ০৪:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
// ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //
‘রাতে ভাঙা ঘরের চাল দিয়ে দেখা যায় আকাশ ও চাঁদ। খরায় দগ্ধ হয়ে ঘাম ঝড়িয়ে চিন্তার রেখা দেখা দেয় ওদের ভালে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে একাকার হওয়াটা যেন নিত্যসঙ্গী ওদের!’
নাম ছবুরা বেগম। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। চোখে দেখতে পান না তিনি। একসময় ঠিকই দেখতেন কিন্তু সন্তান জন্মের পর আস্তে আস্তে নিভে যায় চোখের আলো। এখন তিনি অন্ধ। বিয়ে হয়েছিলো দিনমজুর শাহজামাল ইসলামের সাথে। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহজামাল এক সময় কাজের সন্ধানে ছুঁটে চলতেন এক শহর থেকে আরেক শহর। কিন্তু হঠাৎ অঙ্গ বিকল হয়ে যায় (প্যারালাইসড)।
অন্ধ আর অক্ষম দম্পতির জীবন এখন বির্বণ। বড় ছেলে লিটন বিয়ে করে সংসার পেতেছে আলাদা ভাবে; অনটনের কারণে নেয় না মা-বাবার খবর। মা বাবা ছোট মেয়ে রুমানাকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করালেও পেটে ভাতের সংকটে পাঠ চুকেছে তার। আরেক ছেলে এরশাদুল এখনো ছোট।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের হাজীপাড়া মুদাফৎকালীকাপুর এলাকায় অন্যের জায়গায় ভাঙা ঘরে দিনাতিপাত করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম আর তার শক্তি স্বার্মথহীন স্বামী শাহজামাল।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম বলেন, “কর্ম-হাজ করার হারিনে। বেডিডের টেহার জন্যি পড়ানেহা করবার পারি নেই। পড়ানেহা বাদ দিয়ে দিছি। দুইডে ব্যাডা আছিল। বড়ডা আলদা হয়ে গেছে গা। বউয়ের কতা হনে আলদা হয়ে গেছে গা। ঘরে খাম নাই। আইতে তুফান আইছিলে ডরাই। ঘর কাঁপে, দেহেন না ভাঙাচুড়া ঘর। আরেকটা সমস্যা মাইনসের জায়গায় থাকি, গাছ তলায় থাকি। স্বামী তো হাটপের পারে না।”
প্রতিবেশী রোকসানা বেগম বলেন, “আমরা গ্রামবাসিরাই ওদের কষ্ট দেখে বিভিন্ন সময় সহযোগীতা করি। তা না হলে আরও কষ্টে থাকতে হতো ওদের। একটি হুইল চেয়ার আর একটি থাকার মতো ঘর দিলে অনেকটা কষ্ট কমে যেতো।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথা বলে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবো। আর এই সময় চর ডিজাইনের ঘর নেই। এখন ঘর দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো।
The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5ak8