ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কৃষকের ফসল নষ্ট করে ১০ মাস ধরে চলছে টাওয়ারের কাজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে কৃষকের জমির ফসল নষ্ট করে গত ১০ মাস ধরে চলছে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের কাজ। আর জমি ও ফসলের ক্ষতি পূরণ চাওয়ায় টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জমির মালিকের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাঁধাদান, চাঁদাবাজি মামলা দেওয়াসহ হত্যার হুমকি প্রদান করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে লিখিতভাবে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগটি করেছেন ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের মালিথাপাড়া এলাকার মৃত বাবুল মালিথার ছেলে রঞ্জুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা থেকে বগুড়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইনের কাজের একাংশের টাওয়ার নির্মাণের কাজ করছেন ঢাকার স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিঃ নামের একটি বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি এলাকায় থাকা রঞ্জুল ইসলামের ৫ বিঘা জমি থেকে ৮ শতাংশ জমিতে বিগত ১০ মাস আগে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেই সময় রঞ্জুল, লুৎফর ও রবিসহ কয়েকজনের জমিতে থাকা সরিষা, ভুট্টা, শিম ও ধান নষ্ট করে। টাওয়ার নির্মাণে সরকারি আইন অনুসারে জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নোটিশের মাধ্যমে অবগত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ক্ষতি পূরণ চাইতে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিঃ কতৃক  কৃষকদের পুলিশী হয়রানিসহ ডিসি, এসপির ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকজন কৃষককে তাদের ফসলের নামকাওয়াস্তে ক্ষতি পূরণ দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু রঞ্জুল ইসলাম ঢাকা থাকায় তার জমির ক্ষতি পূরণ প্রদান করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রঞ্জুল জমির মালিকানা দাবী করে ক্ষতিপূরণ চান। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প পরিচালক পরিচয়দানকারী জাকির হোসেন রিগেন সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া, চাঁদাবাজি মামলা প্রদানসহ জমির মালিক রঞ্জুলকে হত্যার হুমকি দেন।
রঞ্জুল ইসলামের জমির বর্গাচাষী স্থানীয় মিন্টু জানান, বিগত ৯-১০ মাস আগে টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি আকস্মিকভাবে কোন কিছু না জানিয়ে মাঠে থাকা সরিষা, ভুট্টা, ধান, শিম ও ঢেঁড়শের জমিতে ইট, বালু, পাথর ও লোহার রড ফেলেন। ফসলের জমি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল শুরু করে। এতে প্রায় দুই বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও জমির মালিকরা কাজে বাধা দেন। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজের স্থানে পুলিশ আনেন। একই সঙ্গে পুলিশি হয়রানি করেন ও পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ করেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তারা মালিথাসহ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় কয়েকজন কৃষককে ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা প্রদান করেন।
জমির মালিক রঞ্জুল ইসলাম লিখিতভাবে জানান, সরকারী নিয়ম অনুসারে জমিতে কাজ শুরু করতে হলে অবশ্যই জমির মালিককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ফসল ও জমির ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। কিন্তু টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি তাকে কোন কিছুই জানায়নি। লোকমুখে শুনে টাওয়ার নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন রিগেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু রিগেন তাকে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে চাঁদাবাজি মামলা দেওয়াসহ হত্যার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেন রঞ্জুল ইসলাম।
মুলাডুলি ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার তারা মালিথা জানান, ফসল নষ্ট করে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করায় কৃষকরা বাঁধা সৃষ্টি করেন। বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। তখন থানায় বসে কৃষকদের ফসলের জন্য কিছু টাকা ক্ষতি পূরণ হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রদান করে। মেম্বার তারা মালিথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েসের বরাত দিয়ে বলেন, এই ব্যাপারে কৃষক ও জমির মালিকদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তখন ইউএনও জানিয়েছিলেন টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিকে ফসলের ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে। আর জমির মালিকরা জমির কাগজ দেখিয়ে কাজ চলমান সময়ে ফসল উৎপাদনে বাঁধাজনিত কারণে ও টাওয়ারের পোলের খুটির জন্য ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে।
টাওয়ার নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন রিগেন জানান, কৃষকদের ফসলের ক্ষতি পূরণ করা হয়েছে। জমির মালিক রঞ্জুল ইসলামকে কোনরুপ হুমকি প্রদান করা হয়নি। তার যদি কোন দাবী থাকে তাহলে দুই পক্ষ বসে সমাধান করা হবে।
টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে আবু বকর সিদ্দিক জানান, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। যদি জমির মালিক রঞ্জুল ইসলামের কোন দাবী থাকে তাহলে টাওয়ারে তার টানানোর সময় সমাধান করা হবে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, টাওয়ার নির্মাণ কাজ নিয়ে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে জমির মালিক রঞ্জুল ইসলাম বা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়নি।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, টাওয়ার নির্মাণের কাজটি সরকারী কাজ। তবে ফসল নষ্ট করায় টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই কৃষকদের ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষকের ফসল নষ্ট করে ১০ মাস ধরে চলছে টাওয়ারের কাজ

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে কৃষকের জমির ফসল নষ্ট করে গত ১০ মাস ধরে চলছে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের কাজ। আর জমি ও ফসলের ক্ষতি পূরণ চাওয়ায় টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জমির মালিকের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাঁধাদান, চাঁদাবাজি মামলা দেওয়াসহ হত্যার হুমকি প্রদান করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে লিখিতভাবে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগটি করেছেন ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের মালিথাপাড়া এলাকার মৃত বাবুল মালিথার ছেলে রঞ্জুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা থেকে বগুড়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইনের কাজের একাংশের টাওয়ার নির্মাণের কাজ করছেন ঢাকার স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিঃ নামের একটি বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি এলাকায় থাকা রঞ্জুল ইসলামের ৫ বিঘা জমি থেকে ৮ শতাংশ জমিতে বিগত ১০ মাস আগে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেই সময় রঞ্জুল, লুৎফর ও রবিসহ কয়েকজনের জমিতে থাকা সরিষা, ভুট্টা, শিম ও ধান নষ্ট করে। টাওয়ার নির্মাণে সরকারি আইন অনুসারে জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নোটিশের মাধ্যমে অবগত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ক্ষতি পূরণ চাইতে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিঃ কতৃক  কৃষকদের পুলিশী হয়রানিসহ ডিসি, এসপির ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকজন কৃষককে তাদের ফসলের নামকাওয়াস্তে ক্ষতি পূরণ দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু রঞ্জুল ইসলাম ঢাকা থাকায় তার জমির ক্ষতি পূরণ প্রদান করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রঞ্জুল জমির মালিকানা দাবী করে ক্ষতিপূরণ চান। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প পরিচালক পরিচয়দানকারী জাকির হোসেন রিগেন সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া, চাঁদাবাজি মামলা প্রদানসহ জমির মালিক রঞ্জুলকে হত্যার হুমকি দেন।
রঞ্জুল ইসলামের জমির বর্গাচাষী স্থানীয় মিন্টু জানান, বিগত ৯-১০ মাস আগে টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি আকস্মিকভাবে কোন কিছু না জানিয়ে মাঠে থাকা সরিষা, ভুট্টা, ধান, শিম ও ঢেঁড়শের জমিতে ইট, বালু, পাথর ও লোহার রড ফেলেন। ফসলের জমি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল শুরু করে। এতে প্রায় দুই বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও জমির মালিকরা কাজে বাধা দেন। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজের স্থানে পুলিশ আনেন। একই সঙ্গে পুলিশি হয়রানি করেন ও পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ করেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তারা মালিথাসহ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় কয়েকজন কৃষককে ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা প্রদান করেন।
জমির মালিক রঞ্জুল ইসলাম লিখিতভাবে জানান, সরকারী নিয়ম অনুসারে জমিতে কাজ শুরু করতে হলে অবশ্যই জমির মালিককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ফসল ও জমির ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। কিন্তু টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি তাকে কোন কিছুই জানায়নি। লোকমুখে শুনে টাওয়ার নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন রিগেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু রিগেন তাকে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে চাঁদাবাজি মামলা দেওয়াসহ হত্যার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেন রঞ্জুল ইসলাম।
মুলাডুলি ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার তারা মালিথা জানান, ফসল নষ্ট করে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করায় কৃষকরা বাঁধা সৃষ্টি করেন। বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। তখন থানায় বসে কৃষকদের ফসলের জন্য কিছু টাকা ক্ষতি পূরণ হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রদান করে। মেম্বার তারা মালিথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েসের বরাত দিয়ে বলেন, এই ব্যাপারে কৃষক ও জমির মালিকদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তখন ইউএনও জানিয়েছিলেন টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিকে ফসলের ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে। আর জমির মালিকরা জমির কাগজ দেখিয়ে কাজ চলমান সময়ে ফসল উৎপাদনে বাঁধাজনিত কারণে ও টাওয়ারের পোলের খুটির জন্য ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে।
টাওয়ার নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন রিগেন জানান, কৃষকদের ফসলের ক্ষতি পূরণ করা হয়েছে। জমির মালিক রঞ্জুল ইসলামকে কোনরুপ হুমকি প্রদান করা হয়নি। তার যদি কোন দাবী থাকে তাহলে দুই পক্ষ বসে সমাধান করা হবে।
টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে আবু বকর সিদ্দিক জানান, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। যদি জমির মালিক রঞ্জুল ইসলামের কোন দাবী থাকে তাহলে টাওয়ারে তার টানানোর সময় সমাধান করা হবে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, টাওয়ার নির্মাণ কাজ নিয়ে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে জমির মালিক রঞ্জুল ইসলাম বা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়নি।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, টাওয়ার নির্মাণের কাজটি সরকারী কাজ। তবে ফসল নষ্ট করায় টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই কৃষকদের ক্ষতি পূরণ প্রদান করতে হবে।
বা/খ: জই