ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৯৯৯ এ ফোন করে শ্বশুর বাড়ি থেকে রক্তাক্ত গৃহবধূ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে সে টাকা শ্বশুর বাড়িতে দিতে অস্বীকার করায় দেবর ও শ্বশুর-শাশুড়ী মিলে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার (২৫) কে মারধর করে গৃহবন্ধি করে রাখে। অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে সেনবাগের সীমান্তবর্তী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলী গ্রামে। দুই সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর মোহাম্মপুর গ্রামের হাজ্বী আলী আহম্মেদের বাড়ির মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে।

পরে পিতার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহযোগীতায় ওই গৃহবধূ জেসমিন (২৫) ও রুবিনা (২৪) কে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে। ওই ঘটনায় গৃহবধূকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তার জা রুবিনাও মারধরের শিকার হয়।

ঘটনার দিন (১৪ মার্চ) মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে ফের অভিযুক্তরা তার বোন জেসনিমকে পিতার বাড়ি থেকে তার পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে ওই টাকা শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যেতে বললে সে তা অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে দেবর, শ্বশুর-শাশুড়ী মিলে গৃহবধুকে বেদম মারধর করে গৃহবন্ধি করে রাখে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ভিকটিমের ভাই আবদুল সাত্তার জরুরী ‘৯৯৯’ এ ফোন করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহযোগীতায় তার বোনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। লাঙ্গলকোট থানার ডিউটি অফিসার ফেরদাউস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভিকটিমের ভাই আবদুর সাত্তার জানায়, দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলা গ্রামের হাইস্কুলের পাশের বাড়ির আবদুল মতিনের ছেলে স্বপনের (৩৫) সঙ্গে তার বোনের বিবাহ হয়। এর কিছুদিন পর তার পিতা আবদুল খালেক মারা যায়। পরবর্তীতে ভগ্নিপতি স্বপন বিদেশ চলে যায়। সে বিদেশ গিয়ে সেখান থেকে রুস্তম (৩৫) , হাফেজ আহম্মেদ (৪০) ও শিউলীর (৩০) এর প্রত্যক্ষ মদদে তার ভাই মাসুদ (৩৫) ও শেখ ফরিদ (২৫) এবং পিতা আবদুল মতিন (৬৫) ও মা মাফিয়া খাতুন (৫৫) প্রতিনিয়ত তার বোন জেসমিন আক্তরকে পিতার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে ওই টাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মারধর করতো।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

৯৯৯ এ ফোন করে শ্বশুর বাড়ি থেকে রক্তাক্ত গৃহবধূ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে সে টাকা শ্বশুর বাড়িতে দিতে অস্বীকার করায় দেবর ও শ্বশুর-শাশুড়ী মিলে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার (২৫) কে মারধর করে গৃহবন্ধি করে রাখে। অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে সেনবাগের সীমান্তবর্তী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলী গ্রামে। দুই সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর মোহাম্মপুর গ্রামের হাজ্বী আলী আহম্মেদের বাড়ির মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে।

পরে পিতার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহযোগীতায় ওই গৃহবধূ জেসমিন (২৫) ও রুবিনা (২৪) কে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে। ওই ঘটনায় গৃহবধূকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তার জা রুবিনাও মারধরের শিকার হয়।

ঘটনার দিন (১৪ মার্চ) মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে ফের অভিযুক্তরা তার বোন জেসনিমকে পিতার বাড়ি থেকে তার পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে ওই টাকা শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যেতে বললে সে তা অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে দেবর, শ্বশুর-শাশুড়ী মিলে গৃহবধুকে বেদম মারধর করে গৃহবন্ধি করে রাখে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ভিকটিমের ভাই আবদুল সাত্তার জরুরী ‘৯৯৯’ এ ফোন করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহযোগীতায় তার বোনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। লাঙ্গলকোট থানার ডিউটি অফিসার ফেরদাউস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভিকটিমের ভাই আবদুর সাত্তার জানায়, দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলা গ্রামের হাইস্কুলের পাশের বাড়ির আবদুল মতিনের ছেলে স্বপনের (৩৫) সঙ্গে তার বোনের বিবাহ হয়। এর কিছুদিন পর তার পিতা আবদুল খালেক মারা যায়। পরবর্তীতে ভগ্নিপতি স্বপন বিদেশ চলে যায়। সে বিদেশ গিয়ে সেখান থেকে রুস্তম (৩৫) , হাফেজ আহম্মেদ (৪০) ও শিউলীর (৩০) এর প্রত্যক্ষ মদদে তার ভাই মাসুদ (৩৫) ও শেখ ফরিদ (২৫) এবং পিতা আবদুল মতিন (৬৫) ও মা মাফিয়া খাতুন (৫৫) প্রতিনিয়ত তার বোন জেসমিন আক্তরকে পিতার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে ওই টাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মারধর করতো।

 

বা/খ: জই