ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২৪ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের ২৪ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। এ সময়ে দেশে সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে এবং সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে।

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে কনকনে শীতের আমেজ। সকালে সূর্য উঠলেও তা উত্তাপহীন। কুয়াশা ভেদ করে সূর্য চারদিক আলোকিত করলেও শীতের কনকনে ভাবকে দূর করতে পারেনি। সেই সঙ্গে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় এবং সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়া সহকারী আবুল আলিম বলেন, শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলো ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলের পর শুক্রবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ‘দ্বিতীয় স্থানে’ রয়েছে তেতুলিয়া, সেখানের তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে ‘তৃতীয় স্থানে’ রয়েছে ঈশ্বরদী।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বর্তমানে এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৪ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের ২৪ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। এ সময়ে দেশে সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে এবং সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে।

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে কনকনে শীতের আমেজ। সকালে সূর্য উঠলেও তা উত্তাপহীন। কুয়াশা ভেদ করে সূর্য চারদিক আলোকিত করলেও শীতের কনকনে ভাবকে দূর করতে পারেনি। সেই সঙ্গে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় এবং সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়া সহকারী আবুল আলিম বলেন, শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলো ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলের পর শুক্রবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ‘দ্বিতীয় স্থানে’ রয়েছে তেতুলিয়া, সেখানের তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে ‘তৃতীয় স্থানে’ রয়েছে ঈশ্বরদী।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বর্তমানে এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।