ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাসপাতালে রোগীদের বারবার একই টেস্ট বন্ধ কর‍তে হবে : মেয়র আতিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেক হাসপাতালে টেস্ট বাণিজ্যের কথা শুনি। চিকিৎসকদের টেস্ট বাণিজ্য নয় বরং প্রকৃত সেবা দিতে হবে। একজন রোগীকে সেবার মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। একই টেস্ট, রিপোর্ট বারবার করা বন্ধ কর‍তে হবে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রান্তিক জনগণের পরিশ্রম ও অবদানের ফলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প খরচে তাদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পড়ালেখা শেষ করে সাদা অ্যাপ্রোন পরেই ডাক্তাররা মানবসেবার জগতে প্রবেশ করেন। মানবসেবাই পরম ধর্ম। ডাক্তার হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ডাক্তার হয়। তাই মানুষকে ভালোবেসে সুন্দর ব্যবহার করে সেবা দিতে হবে। রোগীকে মানসিক প্রশান্তি দিতে হবে। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার পাশাপাশি মানসম্মত সেবা দিতে হবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, উন্নত দেশে যেমন উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়, তেমনি করে আমরা আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। অল্প খরচে গুণগত চিকিৎসা দেওয়াকেই লক্ষ্য বানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনা মহামারী মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। ইতোমধ্যে তিনি অনেক ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন। আপনারাও ভালো ডাক্তার হবেন। দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবেন।

মেয়র আরও বলেন, আমি নগর পিতা না বরং আমি নিজেও একজন সেবক। নগর সেবক হিসেবে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছি। করোনা মহামারীর সময়ে মানুষকে চিকিৎসা দিতে আমরা ডিএনসিসির মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করেছি। মার্কেট থেকে আমরা চাইলে ২শত কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারতাম। কিন্তু টাকার দিকে না তাকিয়ে আমরা মানুষের সেবার দিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫৮টি দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দেই। আমরা এক হাজার বেড সম্পন্ন হাসপাতালটি নির্মাণ করেছি। এখানে ২১২টি আইসিইউ বেড রয়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যা এখন অনেক কম। এছাড়াও এই হাসপাতালে আমরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছি।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাসপাতালে রোগীদের বারবার একই টেস্ট বন্ধ কর‍তে হবে : মেয়র আতিক

আপডেট সময় : ০৯:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেক হাসপাতালে টেস্ট বাণিজ্যের কথা শুনি। চিকিৎসকদের টেস্ট বাণিজ্য নয় বরং প্রকৃত সেবা দিতে হবে। একজন রোগীকে সেবার মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। একই টেস্ট, রিপোর্ট বারবার করা বন্ধ কর‍তে হবে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রান্তিক জনগণের পরিশ্রম ও অবদানের ফলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প খরচে তাদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পড়ালেখা শেষ করে সাদা অ্যাপ্রোন পরেই ডাক্তাররা মানবসেবার জগতে প্রবেশ করেন। মানবসেবাই পরম ধর্ম। ডাক্তার হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ডাক্তার হয়। তাই মানুষকে ভালোবেসে সুন্দর ব্যবহার করে সেবা দিতে হবে। রোগীকে মানসিক প্রশান্তি দিতে হবে। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার পাশাপাশি মানসম্মত সেবা দিতে হবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, উন্নত দেশে যেমন উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়, তেমনি করে আমরা আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। অল্প খরচে গুণগত চিকিৎসা দেওয়াকেই লক্ষ্য বানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনা মহামারী মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। ইতোমধ্যে তিনি অনেক ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন। আপনারাও ভালো ডাক্তার হবেন। দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবেন।

মেয়র আরও বলেন, আমি নগর পিতা না বরং আমি নিজেও একজন সেবক। নগর সেবক হিসেবে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছি। করোনা মহামারীর সময়ে মানুষকে চিকিৎসা দিতে আমরা ডিএনসিসির মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করেছি। মার্কেট থেকে আমরা চাইলে ২শত কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারতাম। কিন্তু টাকার দিকে না তাকিয়ে আমরা মানুষের সেবার দিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫৮টি দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দেই। আমরা এক হাজার বেড সম্পন্ন হাসপাতালটি নির্মাণ করেছি। এখানে ২১২টি আইসিইউ বেড রয়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যা এখন অনেক কম। এছাড়াও এই হাসপাতালে আমরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছি।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।