ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হারিকেন ও কুপি বাতির আলোয় লক্ষাধিক মানুষের চলছে জীবন

আব্দুর রাজ্জাক বাবু, সিরাজগঞ্জের প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৮২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের মানুষের এখনো হারিকেন ও কুপি বাতির আলোয় চলছে জীবন।
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত চৌহালী উপজেলার বিদুৎ বিহিন রয়েছে  বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। এখানকার মানুষের ক্ষোভ, যেখানে দেশ হাঁটছে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে; সেখানে কিনা এখনো বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত!
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নবাসী বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে হারিকেন, কুপি বাতি।
কিছু কিছু বাড়িতে রয়েছে সোলারবাতি, বাংলাদেশে শতভাগ বিদুতায়ন হলেও চৌহালীর উপজেলার উমারপুর বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের  চরাঅঞ্চলে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই এলাকার মানুষেরহারিকেন ও কুপি বাতিই তাদের এক মাত্র ভরসা।
বিদ্যুতের অভাবে ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়ান লাইনে কাজ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ হাসপাতাল, ব্যবসা বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূমূর্ণ কাজে নানান সমস্যায় পরতে হচ্ছে বলে জানা যায়।
চরাঞ্চলের অবহেলিত উমারপুর ইউনিয়নবাসীকে বিদ্যুত দিয়ে আলোকিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, কৃষক দিনজুর জেলেসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এই ইউনিয়নে রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুরুজ মিঞা  বলেন, বিদ্যুতের অভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদুৎ না থাকায় বিদ্যালয়ের অনলাইনের কাজে নানা সমস্যায় পারতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।   বিদ্যুতের সংযোগ না থাকার কারণে রাতে শিক্ষার্থীরা  ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছেনা। আমরা অতিদ্রুত বিদ্যুতের এই অবস্থার পরিবর্তন চাই।
উমারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন,  ভাষা মতিন ও বিশ্বসেরা হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ও বহু গাজীর জন্মস্থানে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে না। ২০৪১ উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে খ্যাত গুণীজনদের দিকে তাকিয়ে বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ও মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের দাবি জানাই।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার  বলেন, উমারপুর, বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউপির চরা অঞ্চলে বিদ্যুৎ এর আওতায় ও মোবাইল টাওয়ার স্থাপনে সকল পেশাজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে আগামী মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

হারিকেন ও কুপি বাতির আলোয় লক্ষাধিক মানুষের চলছে জীবন

আপডেট সময় : ০২:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের মানুষের এখনো হারিকেন ও কুপি বাতির আলোয় চলছে জীবন।
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত চৌহালী উপজেলার বিদুৎ বিহিন রয়েছে  বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। এখানকার মানুষের ক্ষোভ, যেখানে দেশ হাঁটছে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে; সেখানে কিনা এখনো বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত!
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নবাসী বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে হারিকেন, কুপি বাতি।
কিছু কিছু বাড়িতে রয়েছে সোলারবাতি, বাংলাদেশে শতভাগ বিদুতায়ন হলেও চৌহালীর উপজেলার উমারপুর বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের  চরাঅঞ্চলে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই এলাকার মানুষেরহারিকেন ও কুপি বাতিই তাদের এক মাত্র ভরসা।
বিদ্যুতের অভাবে ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়ান লাইনে কাজ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ হাসপাতাল, ব্যবসা বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূমূর্ণ কাজে নানান সমস্যায় পরতে হচ্ছে বলে জানা যায়।
চরাঞ্চলের অবহেলিত উমারপুর ইউনিয়নবাসীকে বিদ্যুত দিয়ে আলোকিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, কৃষক দিনজুর জেলেসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এই ইউনিয়নে রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুরুজ মিঞা  বলেন, বিদ্যুতের অভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদুৎ না থাকায় বিদ্যালয়ের অনলাইনের কাজে নানা সমস্যায় পারতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।   বিদ্যুতের সংযোগ না থাকার কারণে রাতে শিক্ষার্থীরা  ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছেনা। আমরা অতিদ্রুত বিদ্যুতের এই অবস্থার পরিবর্তন চাই।
উমারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন,  ভাষা মতিন ও বিশ্বসেরা হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ও বহু গাজীর জন্মস্থানে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে না। ২০৪১ উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে খ্যাত গুণীজনদের দিকে তাকিয়ে বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ও মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের দাবি জানাই।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার  বলেন, উমারপুর, বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউপির চরা অঞ্চলে বিদ্যুৎ এর আওতায় ও মোবাইল টাওয়ার স্থাপনে সকল পেশাজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে আগামী মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।