ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল ও কৃষির সঙ্গে রাকাবের একীভূত চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্যাংক একীভূতকরণের দ্বিতীয় দফায় আজ চারটি সরকারি ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। জানা গেছে, চার ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়ে এখনও বৈঠক চলছে।

সরকারি চার ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) একীভূত হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আগে থেকে তাদের কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি, এমনকি আলোচনার বিষয়বস্তুও জানানো হয়নি।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের, নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম এবং সরকারি চার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, একটি সভায় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের চেয়ারম্যান-এমডিকে জানানো হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। আরেকটি সভায় বিকেবি ও রাকাবকে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এর আগে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের মধ্যে একীভূত চুক্তি সই হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের প্রথম একীভূতকরণ। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক-কোম্পানির একত্রীকরণের ক্ষেত্রে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় আইন-বিধান, একত্রিত হওয়ার পূর্বে ও পরে করণীয় এবং নীতি সহায়তাসহ ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একত্রিত হওয়ার পর কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখা এবং জনস্বার্থে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে প্রয়োজন মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৬ ধরনের নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।

গত কয়েক বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি বেশ কিছু ব্যাংক নানা সংকট নিয়ে ধুঁকছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার অবনতির মধ্যে একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের দিকনির্দেশনা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক নামে একটি গাইডলাইন জারি করে।

নেতিবাচক অবস্থা কাটিয়ে তুলতে ও সুশাসন নিশ্চিতে চলতি বছরের শুরুতে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালের আইন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বর্তমানে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে দুর্বল ১১টি ব্যাংক একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবগুলো দুর্বল ব্যাংক একত্রিত হলে ব্যাংকের সংখ্যা কমে ৫০টিতে দাঁড়াবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল ও কৃষির সঙ্গে রাকাবের একীভূত চুক্তি

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাংক একীভূতকরণের দ্বিতীয় দফায় আজ চারটি সরকারি ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। জানা গেছে, চার ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়ে এখনও বৈঠক চলছে।

সরকারি চার ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) একীভূত হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্যাংক চারটির চেয়ারম্যান ও এমডিকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আগে থেকে তাদের কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি, এমনকি আলোচনার বিষয়বস্তুও জানানো হয়নি।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের, নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম এবং সরকারি চার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, একটি সভায় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের চেয়ারম্যান-এমডিকে জানানো হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। আরেকটি সভায় বিকেবি ও রাকাবকে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এর আগে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের মধ্যে একীভূত চুক্তি সই হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের প্রথম একীভূতকরণ। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক-কোম্পানির একত্রীকরণের ক্ষেত্রে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় আইন-বিধান, একত্রিত হওয়ার পূর্বে ও পরে করণীয় এবং নীতি সহায়তাসহ ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একত্রিত হওয়ার পর কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখা এবং জনস্বার্থে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে প্রয়োজন মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৬ ধরনের নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।

গত কয়েক বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি বেশ কিছু ব্যাংক নানা সংকট নিয়ে ধুঁকছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার অবনতির মধ্যে একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের দিকনির্দেশনা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক নামে একটি গাইডলাইন জারি করে।

নেতিবাচক অবস্থা কাটিয়ে তুলতে ও সুশাসন নিশ্চিতে চলতি বছরের শুরুতে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালের আইন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বর্তমানে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে দুর্বল ১১টি ব্যাংক একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবগুলো দুর্বল ব্যাংক একত্রিত হলে ব্যাংকের সংখ্যা কমে ৫০টিতে দাঁড়াবে।