ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে রিয়াল

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার রাতে সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদে দ্বিতীয় লেগের মূল সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। প্রথম লেগেও ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। যে কারণে দুই লেগ মিলিয়ে ফলাফল দাঁড়ায় ৪-৪ সমতা।

প্রতিপক্ষের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের শুরুটা হয়েছে দারুণ। এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্প্যানিশ ক্লাবটি। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে ভালভার্দেকে খুঁজে নেন বেলিংহ্যাম। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার থেকে বল নিয়ে রদ্রিগোকে বাড়ান ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রথম শট এদারসন ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন।

গোল হজম করে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। ১৯তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় তারা। ডি ব্রুইনার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন লুনিন। ফিরতি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হেড নেন হালান্ড, যেটি গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি শটে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন বের্নান্দো সিলভা। ২৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত রিয়াল। তবে ভিনিসিয়ুসের দেওয়া দারুণ পাস ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি ভালভার্দে।

২৮তম মিনিটে ডি ব্রুইনা নৈপুণ্যে আরও এক দারুণ সুযোগ পায় সিটি। তবে তার দেওয়া ক্রস ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি হালান্ড। ফলে সহজেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন লুনিন। ৩২তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে গ্রিলিসের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন দানি কারভাহাল।

বিরতির পর আক্রমণ আরও বাড়ায় ম্যান সিটি। তার সুফলও পায় তারা। তবে অপেক্ষা করতে হয় লম্বা সময়। ৭৬তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সমতায় ফিরে ইংলিশ ক্লাবটি। বদলি হয়ে নামা দোকু বল টেনে নিয়ে শট নিলে সেটি ঠেকিয়ে দেন রুডিগার। কিন্তু বক্সে থাকা ডি ব্রুইনা ফিরতি বল লুনিনের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি আক্রমণ করে তারা। তবে নির্ধারিত সময়ে গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ম্যান সিটি। তবে সিলভার দেওয়া ক্রস ফোডেনের পায়ে লেগে লুনিনের কাছে চলে যায়। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে রুডিগারের বুলেট গতির ভলি উপর দিয়ে উড়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে সিটি। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে বল টেনে নিয়ে বক্স থেকে শট নেন আলভারেস। যদিও লুনিন সেটি সহজেই ঠেকিয়ে দেন। পরে আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

পেনাল্টি শ্যুটআউটে নেমে প্রথম ৩ শটের দুটিই মিস করে সিটির বার্নাডো সিলভা ও মাতেও কোবাসিস। অপরদিকে প্রথম ৩ শ্যুটের দুটিতেই গোল করে রিয়াল। যে কারণে স্বাগতিকরা এগিয়ে গিয়েছিল ২-১। এরপর চতুর্থ শটেও গোল করে রিয়াল। সিটিও চতুর্থ শ্যুটে গোল পায়। রিয়ালের জয় নির্ধারিতকারী শেষ শ্যুট এসে সফল হন অ্যান্টনিও রুডিগার। ফলে অতিধিদের জয় নিশ্চিত হয় ৪-২ ব্যবধানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে রিয়াল

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার রাতে সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদে দ্বিতীয় লেগের মূল সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। প্রথম লেগেও ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। যে কারণে দুই লেগ মিলিয়ে ফলাফল দাঁড়ায় ৪-৪ সমতা।

প্রতিপক্ষের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের শুরুটা হয়েছে দারুণ। এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্প্যানিশ ক্লাবটি। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে ভালভার্দেকে খুঁজে নেন বেলিংহ্যাম। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার থেকে বল নিয়ে রদ্রিগোকে বাড়ান ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রথম শট এদারসন ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন।

গোল হজম করে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। ১৯তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় তারা। ডি ব্রুইনার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন লুনিন। ফিরতি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হেড নেন হালান্ড, যেটি গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি শটে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন বের্নান্দো সিলভা। ২৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত রিয়াল। তবে ভিনিসিয়ুসের দেওয়া দারুণ পাস ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি ভালভার্দে।

২৮তম মিনিটে ডি ব্রুইনা নৈপুণ্যে আরও এক দারুণ সুযোগ পায় সিটি। তবে তার দেওয়া ক্রস ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি হালান্ড। ফলে সহজেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন লুনিন। ৩২তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে গ্রিলিসের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন দানি কারভাহাল।

বিরতির পর আক্রমণ আরও বাড়ায় ম্যান সিটি। তার সুফলও পায় তারা। তবে অপেক্ষা করতে হয় লম্বা সময়। ৭৬তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সমতায় ফিরে ইংলিশ ক্লাবটি। বদলি হয়ে নামা দোকু বল টেনে নিয়ে শট নিলে সেটি ঠেকিয়ে দেন রুডিগার। কিন্তু বক্সে থাকা ডি ব্রুইনা ফিরতি বল লুনিনের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি আক্রমণ করে তারা। তবে নির্ধারিত সময়ে গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ম্যান সিটি। তবে সিলভার দেওয়া ক্রস ফোডেনের পায়ে লেগে লুনিনের কাছে চলে যায়। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে রুডিগারের বুলেট গতির ভলি উপর দিয়ে উড়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে সিটি। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে বল টেনে নিয়ে বক্স থেকে শট নেন আলভারেস। যদিও লুনিন সেটি সহজেই ঠেকিয়ে দেন। পরে আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

পেনাল্টি শ্যুটআউটে নেমে প্রথম ৩ শটের দুটিই মিস করে সিটির বার্নাডো সিলভা ও মাতেও কোবাসিস। অপরদিকে প্রথম ৩ শ্যুটের দুটিতেই গোল করে রিয়াল। যে কারণে স্বাগতিকরা এগিয়ে গিয়েছিল ২-১। এরপর চতুর্থ শটেও গোল করে রিয়াল। সিটিও চতুর্থ শ্যুটে গোল পায়। রিয়ালের জয় নির্ধারিতকারী শেষ শ্যুট এসে সফল হন অ্যান্টনিও রুডিগার। ফলে অতিধিদের জয় নিশ্চিত হয় ৪-২ ব্যবধানে।