ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সহজ জয়ে পাঁচে পাঁচ মাশরাফীর সিলেটের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে যেন জাদু আছে। যেই দলের নেতৃত্ব দেন, সেই দলই হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স যেমন।ঢাকায় টুর্নামেন্টের প্রথমপর্বে টানা চার জয় তুলে চট্টগ্রামে এসেছে মাশরাফির দল। এই পর্বেও প্রথম ম্যাচে তুলে নিলো জয়।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটরসকে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়ে ‘পাঁচে পাঁচ’ পূরণ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।

১০ জানুয়ারি মিরপুরে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে ৬২ রানে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামেও একই দলের বিপক্ষে সাফল্য পেলো তারা।

ঢাকা আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে সৌম্য সরকার ডাক মারেন রুবেল হোসেনের কাছে এলবিডব্লিউ হয়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দিলশান মুনাবিরা (১৭) ও রবিন দাসকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ইমাদ ওয়াসিম।

দশম ওভারে ঢাকার দ্বিতীয় সেরা স্কোরার উসমান গনিকে (২৭) ফেরান নাজমুল ইসলাম। মোহাম্মদ মিঠুনকে (১৫) নিজের তৃতীয় শিকার বানান ইমাদ। ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ঢাকার সর্বোচ্চ ৫০ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও আরিফুল হক।

ইনিংস সেরা ৩৯ রান করে রান আউট হন নাসির। ২০ রান করেন আরিফুল। ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা।

সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। ১টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ আমির এবং নাজমুল ইসলাম। মাশরাফি ১ ওভার বল করে ৪ রান দেন, উইকেট পাননি।

মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য। মোহাম্মদ হ্যারিস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫২ রানের জুটিতে দারুণ শুরু সিলেটের। কিন্তু নবম ওভারে নাসির জোড়া ধাক্কা দেন এই দুজনকে ফিরিয়ে। ৪৪ রান করেন হ্যারিস, ১২ রান করেন শান্ত। পরের ওভারে জাকির হাসানও (১) আরাফাত সানির শিকার।

এরপর রান রেট বাড়তে থাকে, সঙ্গে চাপও। একপ্রান্ত আগলে রাখা মুশফিকুর রহিম (২৭) বিদায় নিলে বড় ধাক্কা খায় সিলেট। শেষ তিন ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল তাদের। প্রথম বলেই তিনি আউট। থিসারা পেরেরা ও আকবর আলী ওই ওভারে মাত্র ৪ রান করেন। তাতে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য বেড়ে ২০ রানে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয় ঢাকা।

তবে ১৯তম ওভারে সব চাপের অবসান ঘটান ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান। সালমান ইর্শাদের প্রথম বলে থিসারা পেরেরা একটি চার মারেন, পরের বলে নেন দুটি রান। তৃতীয় বলে আরেকটি চারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন পেরেরা। পরের বলে তার সঙ্গে প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে এসে আকবর পঞ্চম বলে মারেন ছক্কা। ওই ওভারে ১৮ রান তুলে নেন দুজন।

শেষ ওভারে আর ২ বল খেলেই ম্যাচ জিতে যায় সিলেট। প্রথম বলে আকবর নেন সিঙ্গেল, পেরেরা পরেরটি মারেন ছয়। আকবর ১০ ও পেরেরা ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে সিলেট।
নাসির ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার তাসকিন আহমেদ আর আরাফাত সানির।

সিলেট ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ঢাকা ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সহজ জয়ে পাঁচে পাঁচ মাশরাফীর সিলেটের

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে যেন জাদু আছে। যেই দলের নেতৃত্ব দেন, সেই দলই হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স যেমন।ঢাকায় টুর্নামেন্টের প্রথমপর্বে টানা চার জয় তুলে চট্টগ্রামে এসেছে মাশরাফির দল। এই পর্বেও প্রথম ম্যাচে তুলে নিলো জয়।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটরসকে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়ে ‘পাঁচে পাঁচ’ পূরণ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।

১০ জানুয়ারি মিরপুরে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে ৬২ রানে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামেও একই দলের বিপক্ষে সাফল্য পেলো তারা।

ঢাকা আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে সৌম্য সরকার ডাক মারেন রুবেল হোসেনের কাছে এলবিডব্লিউ হয়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দিলশান মুনাবিরা (১৭) ও রবিন দাসকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ইমাদ ওয়াসিম।

দশম ওভারে ঢাকার দ্বিতীয় সেরা স্কোরার উসমান গনিকে (২৭) ফেরান নাজমুল ইসলাম। মোহাম্মদ মিঠুনকে (১৫) নিজের তৃতীয় শিকার বানান ইমাদ। ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ঢাকার সর্বোচ্চ ৫০ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও আরিফুল হক।

ইনিংস সেরা ৩৯ রান করে রান আউট হন নাসির। ২০ রান করেন আরিফুল। ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা।

সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। ১টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ আমির এবং নাজমুল ইসলাম। মাশরাফি ১ ওভার বল করে ৪ রান দেন, উইকেট পাননি।

মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য। মোহাম্মদ হ্যারিস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫২ রানের জুটিতে দারুণ শুরু সিলেটের। কিন্তু নবম ওভারে নাসির জোড়া ধাক্কা দেন এই দুজনকে ফিরিয়ে। ৪৪ রান করেন হ্যারিস, ১২ রান করেন শান্ত। পরের ওভারে জাকির হাসানও (১) আরাফাত সানির শিকার।

এরপর রান রেট বাড়তে থাকে, সঙ্গে চাপও। একপ্রান্ত আগলে রাখা মুশফিকুর রহিম (২৭) বিদায় নিলে বড় ধাক্কা খায় সিলেট। শেষ তিন ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল তাদের। প্রথম বলেই তিনি আউট। থিসারা পেরেরা ও আকবর আলী ওই ওভারে মাত্র ৪ রান করেন। তাতে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য বেড়ে ২০ রানে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয় ঢাকা।

তবে ১৯তম ওভারে সব চাপের অবসান ঘটান ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান। সালমান ইর্শাদের প্রথম বলে থিসারা পেরেরা একটি চার মারেন, পরের বলে নেন দুটি রান। তৃতীয় বলে আরেকটি চারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন পেরেরা। পরের বলে তার সঙ্গে প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে এসে আকবর পঞ্চম বলে মারেন ছক্কা। ওই ওভারে ১৮ রান তুলে নেন দুজন।

শেষ ওভারে আর ২ বল খেলেই ম্যাচ জিতে যায় সিলেট। প্রথম বলে আকবর নেন সিঙ্গেল, পেরেরা পরেরটি মারেন ছয়। আকবর ১০ ও পেরেরা ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে সিলেট।
নাসির ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার তাসকিন আহমেদ আর আরাফাত সানির।

সিলেট ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ঢাকা ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।